২৯তম সপ্তাহ নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
এসময় গর্ভের আকার ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ফুসফুসের উপর কিছুটা চাপ পড়ে, ফলে এসময় অনেকে হালকা শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে পারেন। পায়ের গোড়ালি ফুলে যেতে পারে, তাছাড়া পায়ে ব্যথাও হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব আরামদায়ক জুতা পরে চলাফেরা করুন।
এছাড়া এসময় আরও যে লক্ষণগুলো থাকতে পারে তা হল:
- অনেক বেশি ক্লান্ত অনুভব করা,
- স্ট্রেচ মার্কস (পেটের আকার বাড়াতে থাকায় চামড়ায় যে টান পড়ে তার কারণে ফাটা দাগের মত চিহ্ন দেখা দেওয়া),
- দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া বা রক্ত পড়া,
- পেটে ব্যথা,
- কোমরে ব্যথা,
- ঘুমের সমস্যা হওয়া,
- কিছু ক্ষেত্রে নাক থেকে হালকা রক্ত পড়া,
- পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া,
- বদহজম,
- চাপ দিলে স্তনে ব্যথা অনুভব করা,
- পায়ে ব্যথা,
- অল্পতেই গরম লাগা কিংবা সামান্য গরম আবহাওয়াতেই অস্বস্তি বোধ করা বা হাঁসফাঁস করা,
- মাথা ঘুরানো বা মাথা ব্যথা,
- হাত-পায়ে পানি আসা বা ফুলে যাওয়া,
- প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া বা ইনফেকশন,
- যোনিপথে অর্থাৎ মাসিকের রাস্তায় ইনফেকশন,
- মুখের বা শরীরের অন্যান্য অংশের চামড়ায় ছোপ ছোপ দাগ পড়া।
যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
- নিজের এবং বাড়ন্ত শিশুর শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। গর্ভাবস্থার স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে প্রয়োজনে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
- গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়, এ সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
গর্ভের শিশু কীভাবে বড় হচ্ছে
এ সপ্তাহে আপনার শিশু লম্বায় প্রায় ৩৮.৬ সেন্টিমিটার বা ১৫.২ ইঞ্চি হয়। ওজন হয় প্রায় ১.২ কেজি।
গর্ভে শিশুর নড়াচড়া অনেকখানি বেড়ে যায়, ফলে আপনি প্রায় সারাক্ষণই এই নড়াচড়া টের পাবেন। এসময় শিশুরা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ধাঁচে বা প্যাটার্নে নড়াচড়া করে থাকে। আপনার সন্তানের নড়াচড়ার ধরনটি খেয়াল করুন, এতে হঠাৎ কোন পরিবর্তন বা অস্বাভাবিকতা টের পেলে দ্রুত আপনার ডাক্তারকে জানান।
গর্ভের শিশুর নড়াচড়ার ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের এ সংক্রান্ত আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।