গর্ভাবস্থায় দাঁত ক্ষয় ও মাড়ির বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।[১] এই সংক্রান্ত জটিলতা এড়ানোর সহজ উপায় হলো মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি দাঁতের ডাক্তার বা ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন সমস্যা
গর্ভাবস্থায় আপনি মুখের ভেতরে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করতে পারেন। যেমন—
- আপনার মাড়ি ফুলে যাওয়া
- মাড়ি থেকে রক্ত পড়া। দাঁত মাজার সময়ে থুতুর সাথে আপনি হালকা গোলাপি অথবা টকটকে লাল রক্ত খেয়াল করতে পারেন
- দাঁত ব্যথা হওয়া
- দাঁতে ছোটো ছোটো গর্ত হওয়া
- দাঁতে পাথর হওয়া
- দাঁত নড়বড়ে হয়ে যাওয়া, এমনকি পড়ে যাওয়া
গর্ভাবস্থায় কখন থেকে দাঁত ও মাড়ির সমস্যা হয়?
গর্ভকালের প্রথম ট্রাইমেস্টার থেকেই কারও কারও মাড়ি ফুলে যেতে পারে এবং মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তবে সাধারণত গর্ভকাল বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যার প্রকোপ বাড়ে। তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে মাড়ি ফোলা ও রক্ত পড়ার ঘটনা সাধারণত সবচেয়ে বেড়ে যায়।[২]
এসময় সঠিক চিকিৎসা না নিলে মাড়ি ও মুখের হাড়ের ইনফেকশন হতে পারে। এর ফলে দাঁত পড়ে যেতে পারে। এমনকি ইনফেকশন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গর্ভাবস্থায় মাড়ির সমস্যা হওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থায় মাড়ির সমস্যা হওয়ার পেছনে কিছু কারণ থেকে থাকে। যেমন—
১. হরমোনের তারতম্য: গর্ভকালে আপনার শরীরে কিছু হরমোনের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। এর ফলে শরীরে নানান ধরনের পরিবর্তন হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো আপনার মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যে পরিবর্তন আসা। একারণে দাঁতের মাড়িতে প্রদাহ হতে পারে এবং মাড়ি ফুলে যেতে পারে। এতে মাড়ি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দাঁত ও মাড়ির নানান ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: গর্ভকালে আপনার চিনিযুক্ত খাবার ও শর্করা খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে দাঁতে প্ল্যাক হওয়া, দাঁত ক্ষয় ও ক্যাভিটি বা গর্ত তৈরির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৩. গর্ভাবস্থায় বমির প্রতিক্রিয়া: মর্নিং সিকনেস বা গর্ভাবস্থায় বমির সমস্যা হলে বমিতে থাকা এসিড দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। এর প্রভাবে আপনার দাঁত ও মাড়িতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভের সন্তানের উপর প্রভাব
গবেষণায় গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের দাঁতের মাড়ির রোগের সাথে গর্ভের শিশুর অকাল প্রসব ও কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়ার যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে।[৩] তবে মায়ের দাঁত ও মাড়ির রোগ গর্ভের সন্তানকে কীভাবে প্রভাবিত করে সেই বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া প্রি-এক্লাম্পসিয়া নামক গর্ভকালীন মারাত্মক জটিলতার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ার সাথেও গর্ভবতীর মাড়ির রোগের সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে।[৪] তবে এই বিষয়েও গবেষণার পরিমাণ অপর্যাপ্ত। সবমিলিয়ে আপনার মাড়ি অথবা দাঁতের রোগ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
উল্লেখ্য, মাড়ির রোগের চিকিৎসা নেওয়া গর্ভাবস্থার উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাবের সাথে জড়িত নয়।[৫] বরং গর্ভাবস্থায় মাড়ির রোগের চিকিৎসা নেওয়া আপনার মুখের সুস্বাস্থ্যকে সাহায্য করে।
যেসব মায়েরা দাঁত পড়া ও দাঁতের ক্যাভিটি বা গর্ত বেড়ে যাওয়ার পরেও সঠিক চিকিৎসা করায় না, তাদের শিশুদের ছোটোবেলায় দাঁতে ক্যাভিটি হওয়ার সম্ভাবনা তিনগুণের বেশি বেড়ে যায়।[৬]
গর্ভাবস্থায় দাঁত ও মাড়ির চিকিৎসা
মাড়ির প্রদাহ কমানোর জন্য ডেন্টিস্ট আপনাকে মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক অথবা মাউথওয়াশ দিতে পারেন। এসব অ্যান্টিবায়োটিক ও মাউথওয়াশ সাধারণত গর্ভবতী নারীদের জন্য নিরাপদ হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই আপনার সন্তানসম্ভবা হওয়ার বিষয়টি ডাক্তারকে জানাবেন, যেন তিনি আপনার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর ঔষধটি বেছে নিতে পারেন।
এসব চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি দাঁত ও মাড়ি খুব ভালোমতো পরিষ্কার করার জন্য দাঁতের ‘স্কেলিং’ করানোর পরামর্শ দিতে পারেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই প্রক্রিয়া গর্ভের শিশুর জন্য নিরাপদ।[৭]
আপনার ডেন্টিস্টের কাছ থেকে দাঁত ও মাড়ির যত্ন নেওয়ার উপায় জেনে নিন। নিচে ঘরোয়াভাবে দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিয়ে দাঁত ও মাড়ির অসুখ প্রতিরোধের উপায়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
গর্ভাবস্থায় দাঁত ও মাড়ির যত্ন
খাবারের ছোটো ছোটো টুকরা দাঁতের ফাঁকে জমে থেকে অপরিচ্ছন্নতা তৈরি করে, যার প্রভাব আপনার দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যের ওপর পড়তে পারে। তা ছাড়া গর্ভাবস্থায় অথবা এর আগেও আপনার দাঁত অথবা মাড়ির কোনো সমস্যা থাকতে পারে। গর্ভধারণের ফলে এসব সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।[৮]
এসবের নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য আপনি কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। যেমন—
১. প্রতিদিন দাঁত মাজুন: দিনে দুই বার দুই মিনিট করে দাঁত মাজবেন। টুথপেস্টের ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট বেছে নিতে। ফ্লোরাইড দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রাশ করার সময়ে দাঁতের সামনে ও পেছনে ভালোমতো ব্রাশ করবেন। সেই সাথে জিহ্বা ব্রাশ করতে ভুলবেন না। জিহ্বা পরিষ্কার করতে ‘Tongue Scraper’ ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে কিভাবে ব্রাশ করলে জমে থাকা ময়লা দূর করা যায় তা আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন।
২. দাঁতের মাঝে আটকে থাকা খাবার পরিষ্কার করুন: দিনে অন্তত একবার ফ্লস ব্যবহার করে আপনার দাঁতের মাঝে জমে থাকা ছোটো ছোটো খাবারের টুকরা পরিষ্কার করে ফেলুন। এতে করে দাঁতে ময়লা জমে প্ল্যাক বা পরত তৈরি হওয়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
৩. নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন: দাঁত ব্রাশ করার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় যদি ব্রাশের মাজার অংশটি ছোটো ও নরম বা সফট হয়। এজন্য ব্রাশ কেনার সময়ে ‘Soft’ লেখা আছে কি না দেখে নিতে পারেন। ব্রাশটি ধরতে আরামদায়ক কি না সেদিকেও লক্ষ রাখুন।
৪. অ্যালকোহলমুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন: মুখের পরিচ্ছন্নতায় মাউথওয়াশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে, খেয়াল রাখবেন গর্ভাবস্থায় যে মাউথওয়াশটি ব্যবহার করছেন তাতে যেন কোনো অ্যালকোহল না থাকে।
৫. লবণ-পানি দিয়ে কুলি করুন: দিনে একবার লবণ-পানি দিয়ে কুলি করে নিলে তা আপনার মাড়ির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এজন্য এক কাপ কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে সেটি ব্যবহার করতে পারেন। মুখ থেকে পানি ফেলে দেওয়ার আগে কয়েকবার ভালোমতো গড়গড়া করে নিন।
৬. চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় কমিয়ে দিন: খাবারের সময়ের মাঝে ক্ষুধা দূর করার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিন। যেমন: সবজি, ফল অথবা টক দই। সেই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। গর্ভাবস্থায় সাধারণত দৈনিক ২–৩ লিটার বা ৮–১২ গ্লাস পানি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে যথেষ্ট পরিমাণে লালা তৈরি হয়ে মুখকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করবে।
অস্বাস্থ্যকর চিনিযুক্ত খাবার ও অ্যাসিডিক খাবার এড়িয়ে চলুন। যেমন: চিনি দেওয়া চা-কফি ও কোমল পানীয়। গর্ভকালে চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি প্রায়ই দুর্বলতা কাজ করতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে খুব ঘন ঘন যাতে এসব খাবার খাওয়া না হয়। কেননা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খেলে দাঁত ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৭. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন: গর্ভাবস্থায় সাধারণভাবেই ধূমপান থেকে বিরত থাকা উচিত, কেননা ধূমপান গর্ভের শিশুর মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া ধূমপান আপনার মাড়ির রোগের জন্য আরও খারাপ হতে পারে। এমনকি মুখ ও মাড়ির ক্যান্সার ঘটাতে পারে।
৮. বমির পরে পানি দিয়ে কুলি করুন: অনেক মায়ের গর্ভকালে বমি হয়। বমির সাথে পেটের অ্যাসিডও মুখে চলে আসে—যা কিনা আপনার দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। তাই প্রতিবার বমি হওয়ার সাথে সাথে পানি দিয়ে ভালো করে কুলি করে নিন। এ ছাড়া বমি করার পর পরই দাঁত ব্রাশ না করে অন্তত এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন। কেননা বমির পর পর দাঁত একটু দুর্বল থাকে। সাথে সাথে ব্রাশ করলে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।
সাধারণ পানির পরিবর্তে পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলি করলে সেটা মুখে চলে আসা অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করতে পারে। ঘরেই এই মিশ্রণ তৈরির সহজ উপায় হলো এক কাপ পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা গুলিয়ে এই পানি দিয়ে ভালোভাবে কুলি করে নেওয়া। এতে দাঁতের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে উপকার পেতে পারেন।
মুখের যত্ন নিয়ে আরও জানতে ভিডিওটি দেখতে পারেন—
৯. অন্তত একবার দাঁতের চেকআপ করান: গর্ভাবস্থায় সময়ে দাঁতের ডাক্তার দেখানো আপনার জন্য একটি অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা হবে বলে মনে হতে পারে। মুখের ভেতর যন্ত্রপাতি ঢুকালে তা সন্তানকে কিভাবে প্রভাবিত করে—এ নিয়ে আপনার মনে সংশয় থাকতে পারে। অথবা এমনও হতে পারে যে এসময়ে বমি বমি ভাব থাকার কারণে দাঁতের ডাক্তার দেখাতে আপনি অস্বস্তি বোধ করছেন।
এরকম সব জড়তা কাটিয়ে, গর্ভকালে অন্তত একবার হলেও দাঁতের ডাক্তার দেখিয়ে নিন। তিনি আপনার দাঁত ও মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে দিবেন যা আপনার মুখের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। ঘরে কিভাবে আপনি মুখের যত্ন নিবেন তাও ডাক্তারের কাছ থেকেই জেনে নিতে পারবেন।
বেশিরভাগ ডেন্টাল প্রসিডিওর এই সময়ে নিরাপদ বলে বিবেচিত। তারপরও আপনি আপনার ডাক্তারকে অবশ্যই জানিয়ে নিবেন যে আপনি সন্তানসম্ভবা। এতে করে তিনি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী পদ্ধতিটি বেছে নিতে পারবেন।
দাঁতে ব্যথা হলে যদি ঘরোয়া পরামর্শগুলো মেনে চলার পরেও ব্যথা না কমে, তাহলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। এটি একটি ‘ওভার দা কাউন্টার’ ঔষধ। ওভার দা কাউন্টার ঔষধগুলো ফার্মেসি থেকে কিনে সাথে থাকা নির্দেশিকা অনুযায়ী সেবন করা নিরাপদ।
তবে আপনার জন্য উপযুক্ত ডোজ সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে কিংবা ঔষধের বিষয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন। গর্ভাবস্থায় যেকোনো ধরনের ঔষধ সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উত্তম। এরপরেও ব্যথা না কমলে দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তিনি গর্ভের শিশুর জন্য নিরাপদ একটি উপযুক্ত ব্যথা কমানোর ঔষধ দিতে পারেন।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন?
নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে চেকআপ করানো আপনার দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। সাধারণ অবস্থায় বছরে অন্তত দুইবার দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়ে দাঁত ও মাড়ি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গর্ভাবস্থায় আপনার যদি বিগত ছয় মাসের ভেতরে দাঁতের ডাক্তার দেখানো না হয়ে থাকে, তাহলে দ্রুত দাঁতের ডাক্তার দেখিয়ে নিন।[৯] এ ছাড়াও নিচের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে একজন দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ নিন—
- দাঁতে ব্যথা হলে
- মাড়ির কোনো রোগের লক্ষণ থাকলে। যেমন—
- ঘন ঘন মাড়ি ফোলা অথবা মাড়ি থেকে ঘন ঘন রক্ত পড়া
- মাড়িতে ব্যথা কিংবা মাড়ি ধরলে বা চাপ দিলে ব্যথা হওয়া
- মাড়ি ক্ষয় হয়ে যাওয়া
- মুখে লাগাতার দুর্গন্ধ থাকা
- দাঁত নড়বড়ে হয়ে যাওয়া
- মুখে কোনো ধরনের ফোলা বা বাড়তি মাংস দেখা গেলে
- মুখের ভেতরটা অনুভূতিহীন লাগলে
সাধারণ জিজ্ঞাসা
মুখের পরিচ্ছন্নতায় মাউথওয়াশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গর্ভাবস্থায় মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারবেন, তবে খেয়াল রাখবেন যাতে মাউথওয়াশটিতে কোনো অ্যালকোহল না থাকে।
গর্ভাবস্থায় দাঁতের স্কেলিং করানো নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়। গবেষণায় দেখা যায়, গর্ভাবস্থায় দাঁতের স্কেলিং করালে জন্মের সময়ে বাচ্চার কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।[১০]
গর্ভকালের প্রথম ট্রাইমেস্টার থেকেই কারও কারও মাড়ি ফুলে যেতে পারে এবং মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তবে সাধারণত গর্ভকাল বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যার প্রকোপ বাড়ে। তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে মাড়ি ফোলা ও রক্ত পড়ার ঘটনা সাধারণত সবচেয়ে বেড়ে যায়।[১১]