২৪তম সপ্তাহ নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
এসময় গর্ভের আকার দ্রুত বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে স্ট্রেচ মার্কস। এছাড়া পেটের চারপাশে, স্তন, পাঁজর, পিঠ বা কোমরসহ শরীরের অনেক জায়গায় ব্যথা বা টান অনুভব হতে থাকে।
এছাড়া এ সপ্তাহে আরও কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেমন:
- বেশি ক্লান্ত অনুভব করা,
- ঘুমের সমস্যা হওয়া,
- দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া বা রক্ত পড়া,
- পেটে ব্যথা,
- কিছু ক্ষেত্রে নাক থেকে হালকা রক্ত পড়া,
- পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া,
- বদহজম ও বুক জ্বালাপোড়া করা,
- চাপ দিলে স্তনে ব্যথা অনুভব করা,
- পায়ে ব্যথা,
- অল্পতেই গরম লাগা কিংবা সামান্য গরম আবহাওয়াতেই অস্বস্তি বোধ করা বা হাঁসফাঁস করা,
- মাথা ঘুরানো বা মাথা ব্যথা,
- হাত-পায়ে পানি আসা বা ফুলে যাওয়া,
- প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া বা ইনফেকশন,
- যোনিপথে অর্থাৎ মাসিকের রাস্তায় ইনফেকশন,
- মুখের বা শরীরের অন্যান্য অংশের চামড়ায় ছোপ ছোপ দাগ পড়া,
- অনেকের ক্ষেত্রে মাথার চুল আগের চেয়ে ঘন, কালো হয়ে ওঠা।
যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
গর্ভাবস্থায় রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে অনেক মায়ের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বা জেসটেশনাল ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে। আপনার জেসটেশনাল ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে কিনা তা জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করাতে পারেন।
গর্ভের শিশু কীভাবে বড় হচ্ছে
২৪তম সপ্তাহে আপনার শিশু লম্বায় প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার বা পৌনে ১২ ইঞ্চি হয়। এসময় তার ওজন হয় প্রায় ৬০০ গ্রাম।
এ সময়ে তার মুখমন্ডলের পেশিগুলো সুগঠিত হতে থাকে। শিশু এই পেশিগুলোর সাহায্যে ধীরে ধীরে নানারকম অনুভূতি প্রকাশ (facial expressions) করতে শেখে৷
সাধারণত এই সময়ে এসে শিশুর দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো তৈরি হয়ে কাজ করতে শুরু করে। তাই কোন জরুরী কারণে এসময় আপনার সন্তান প্রসব হলে, তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তবে এসব ক্ষেত্রে শিশুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অনেক বেশি যত্ন নেওয়ার (নিওনেটাল কেয়ার) প্রয়োজন পড়ে। তবে, এই যত্নের পরেও শিশুটির প্রতিবন্ধীতার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।