গর্ভধারণের ৪০তম সপ্তাহ নিয়ে যা জানা প্রয়োজন
শেষের সপ্তাহে এসে আপনি কোমরে ব্যথা অনুভব করতে পারেন, এটি প্রসববেদনা শুরু হতে যাওয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে।
প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগে লক্ষণগুলো আগের মতোই থাকবে:
- গর্ভাশয়ের পেশীগুলোর সংকোচনের ফলে হঠাৎ হঠাৎ পেটে টান পড়ার মত অনুভূতি হওয়া (ব্রাক্সটন-হিক্স কন্ট্রাকসন),
- ঘুমের সমস্যা হওয়া,
- স্ট্রেচ মার্কস (পেটের আকার বাড়াতে থাকায় চামড়ায় যে টান পড়ে তার কারণে ফাটা দাগের মত চিহ্ন দেখা দেওয়া),
- দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া বা রক্ত পড়া,
- পেটে ব্যথা,
- পাইলসের সমস্যা দেখা দেওয়া বা হঠাৎ এই সমস্যা বেড়ে যাওয়া,
- কিছু ক্ষেত্রে নাক থেকে হালকা রক্ত পড়া,
- পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া,
- বদহজম,
- চাপ দিলে স্তনে ব্যথা অনুভব করা,
- পায়ে ব্যথা,
- অল্পতেই গরম লাগা কিংবা সামান্য গরম আবহাওয়াতেই অস্বস্তি বোধ করা বা হাঁসফাঁস করা,
- মাথা ঘুরানো বা মাথা ব্যথা,
- হাত-পায়ে পানি আসা বা ফুলে যাওয়া,
- প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া বা ইনফেকশন,
- যোনিপথে অর্থাৎ মাসিকের রাস্তায় ইনফেকশন, এবং
- মুখের বা শরীরের অন্যান্য অংশের চামড়ায় ছোপ ছোপ দাগ পড়া।
যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
শেষ সময়টাতে যতটা সম্ভব টেনশন মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিন৷ অনাগত সন্তান কে স্বাগত জানানোর জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিন।
কোন লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার পর প্রসববেদনা শুরু হয় জেনে নিন
প্রসববেদনা ও প্রসবের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনার ডাক্তার বা নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে নিন। কোথায় কিভাবে ডেলিভারী হবে এ ব্যপারে পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে রাখুন। প্রসবকালীন প্রয়োজনীয় সব কিছু যেমন, পাতলা সুতী কাপড়ে তৈরী ঢিলেঢালা পোষাক, স্বাস্থ্যকর শুকনা খাবার, শিশুকে পরানোর জামা, তার ডায়পার ইত্যাদি গুছিয়ে রাখুন।
গর্ভের শিশু কীভাবে বড় হচ্ছে
৪০ তম সপ্তাহে শিশুটি লম্বায় প্রায় ৫১.২ সেন্টিমিটার দীর্ঘ হয় এবং এসময় তার ওজন হয় প্রায় ৩.৫ কেজি।
শিশুটি আকারে এখন আগের চেয়ে বেশ বড় হলেও সে গর্ভের ভেতরে তার স্বাভাবিক নিয়মে নড়াচড়া করবে৷ হঠাৎ নড়াচড়া কমে গেলে বা তার স্বাভাবিক নিয়মে ছন্দপতন হলে দেরি না করে অতি দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।