এ সপ্তাহের হাইলাইটস
ধূমপান থেকে দূরে থাকুন
ধূমপানের সংস্পর্শে আসলে আপনার নানান স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি তো বাড়েই, পাশাপাশি গর্ভের শিশু সময়ের আগে জন্ম নেওয়া, ওজন কম হওয়া, এমনকি মৃতপ্রসবের মতো বিভিন্ন মারাত্মক সমস্যার ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়।[১][২][৩] তাই গর্ভের শিশুকে সুস্থ রাখতে নিজেকে ধূমপানের প্রভাবমুক্ত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিয়মিত ওজন মাপুন
সঠিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ওজন বৃদ্ধির হার কম কিংবা বেশি হলে সেটি মা ও গর্ভের শিশুর জন্য বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।[৪] ওজন ঠিকমতো বাড়ছে কি না সেটা হিসেব করতে প্রতি সপ্তাহে ওজন মেপে ডায়েরিতে লিখে রাখুন। এতে হঠাৎ ওজন বাড়তে কিংবা কমতে শুরু করলেও সহজে ধরে ফেলতে পারবেন।
আয়রন-ফলিক এসিড ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া চালিয়ে যান
গর্ভের শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে আগের সপ্তাহগুলোর মতো এ সপ্তাহেও প্রতিদিন আয়রন-ফলিক এসিড ট্যাবলেট ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া চালিয়ে যান।[৫][৬]
- মাসে কত দিন? ৪ মাস ২ সপ্তাহ
- কোন ট্রাইমেস্টার? দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক
- আর কত সপ্তাহ বাকি? ২২
১৮ সপ্তাহে বাচ্চার বৃদ্ধি
এ সপ্তাহে আপনার গর্ভের শিশু প্রায় ১৪.২ সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে গিয়েছে—প্রায় একটি ঢেঁড়সের সমান লম্বা। তার ওজন প্রায় ১৯০ গ্রাম।
শিশু কানে শুনতে শিখছে
শিশুর মাথার দুই পাশে ছোট্ট দুটি কান উঁকি দিচ্ছে।[৭] সে এখন কানে শুনতে পায়![৮] আওয়াজ শুনলে শিশু বিভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, যা আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় বোঝা যেতে পারে।[৯]
এখন হয়তো তার নড়াচড়া বুঝতে পারবেন
দিন দিন আপনার শিশু আরও চঞ্চল হচ্ছে। সে হয়তো এখন আপনার পেটের ভেতর তার ছোটো ছোটো হাত–পা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত।[১০] আপনি হয়তো তার নড়াচড়া এরই মধ্যে বুঝতে শুরু করেছেন! মনে হতে পারে, পেটের মধ্যে বুদবুদের মতো কিছু নড়ছে কিংবা হালকা করে পাখির ডানার মতো কিছু একটা ঝাপটা দিয়ে যাচ্ছে। প্রথম দিকে অনেকটা এমন-ই হয় এই অনুভূতি। ধীরে ধীরে আপনি তার নড়াচড়া আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন।
দেহের আকৃতি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে উঠছে
শিশু এখন খুব দ্রুত লম্বা হচ্ছে।[১১] কয়েক সপ্তাহ আগেও গর্ভের শিশুর মাথাটি শরীরের বাকি অংশের তুলনায় বেশ বড়সড় ছিল। তবে এখন শরীরের অন্যান্য অংশগুলো খুব দ্রুত বেড়ে উঠছে। তাই মাথাটি দেখতে এখন আর অতটা বড় লাগে না।[১২] সময়ের সাথে সাথে ছোট্ট শিশুর দেহের আকৃতি আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে থাকবে।
১৮ সপ্তাহে মায়ের শরীর
আপনি হয়তো এতদিনে আপনার শরীরের পরিবর্তনগুলোর সাথে কিছুটা মানিয়ে নিয়েছেন। ধীরে ধীরে কাজ করার শক্তি ফিরে পাচ্ছেন। তবে মানিয়ে নিতে না পারলেও দুশ্চিন্তা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ওজন মাপার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ওজন মাপা প্রয়োজন। দিনের একই সময়ে ওজন মাপার চেষ্টা করবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুম সেরে কিছু খাওয়ার আগে ওজন মাপতে পারেন।
প্রতি সপ্তাহে ওজন মেপে ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন। এভাবে তালিকা তৈরি করলে ওজন ঠিকমতো বাড়ছে কি না সেটা বুঝতে পারবেন।
হঠাৎ ওজন বাড়তে কিংবা কমতে শুরু করলেও সহজে ধরে ফেলতে পারবেন। সেই অনুযায়ী আপনার খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারবেন। প্রয়োজনে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারবেন।
মায়ের স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি গর্ভের শিশুর সুস্থ–স্বাভাবিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর হারে ওজন বৃদ্ধি আপনাকে ও গর্ভের শিশুকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি সুস্থ ডেলিভারিতেও ভূমিকা রাখে। সঠিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ওজন বৃদ্ধির হার কম কিংবা বেশি হলে সেটি মা ও গর্ভের শিশুর জন্য বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।[১৩]
গর্ভাবস্থার কোন মাসে কতটুকু ওজন বাড়া উচিত, ঠিকমতো ওজন বাড়াতে করণীয় কী, নাহলে শিশুর কী ধরনের ক্ষতি হবে—এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সহজ উত্তর পেতে আমাদের গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন লেখাটা পড়তে পারেন।
গর্ভাবস্থার জন্য নিরাপদ ব্যায়াম
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত শরীরচর্চা করা আপনার ও গর্ভের শিশুর—দুজনের স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী।[১৪] নিয়মিত শরীরচর্চা করলে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিসের মতো জটিলতার সম্ভাবনা কমে।[১৫] এমনকি ডেলিভারির সময়ে সিজার হওয়ার সম্ভাবনাও কমতে পারে।[১৬]
তবে এসময়ে ব্যায়াম এড়িয়ে চলার কথা আপনার মাথায় আসতে পারে। গর্ভের সন্তানকে সব ধরনের আঘাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে আপনি একটু বেশি সতর্ক হয়ে পড়তে পারেন এবং সেই চিন্তা থেকে গর্ভের শিশুর জন্য ব্যায়াম ক্ষতিকর মনে হতে পারে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ব্যায়াম করা সম্পূর্ণ নিরাপদ।[১৭]
আপনার যদি আগে থেকে ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকে, তাহলে হঠাৎ করে তীব্র শারীরিক কসরত শুরু না করে অল্প অল্প করে ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন। হাঁটাহাঁটি দিয়েই শুরু করতে পারেন।
আপনার কোনো স্বাস্থ্য জটিলতা থাকলে, চিকিৎসকের সাথে গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম নিয়ে আলাপ করুন। গর্ভাবস্থায় নিরাপদে করা যায় এমন কিছু ব্যায়ামের টিউটোরিয়াল পেতে আমাদের এই লেখাটা পড়তে পারেন।
নির্যাতনের শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়
গর্ভকালীন সময়ে যদি আপনি আপনার পরিবারের সদস্য অথবা অন্য কারও দ্বারা কোনো রকম শারীরিক অথবা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে দ্রুত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানান। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের হটলাইন নম্বর ১০৯/১০৯২১ অথবা জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য নিতে পারেন।[১৮]
গর্ভকালীন চেকআপের সময়ে যেকোনো নির্যাতনের কথা আপনার ডাক্তারকে জানাবেন। শারীরিক নির্যাতন অথবা অন্য কোনো কারণে আপনি কোথাও আঘাত পেয়ে থাকলে সেটাও অবশ্যই আপনার ডাক্তারকে জানাবেন। তখন ডাক্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিতে পারবেন।
ধূমপান থেকে দূরে থাকা
আপনার বাড়ির কোনো সদস্যের ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটি ছেড়ে দেওয়া জরুরি। আপনি ধূমপানের সংস্পর্শে আসলে আপনার নানান স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি তো বাড়েই, পাশাপাশি গর্ভের শিশু সময়ের আগে জন্ম নেওয়া, ওজন কম হওয়া, এমনকি মৃত শিশু জন্মানোর মতো বিভিন্ন মারাত্মক সমস্যার ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়।[১৯][২০][২১] তাই গর্ভের শিশুকে সুস্থ রাখতে চাইলে ধূমপান করছে এমন কারও থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডেলিভারি নিয়ে চিন্তাভাবনা
আপনি কোথায় ও কোন পদ্ধতিতে ডেলিভারি করাতে চান, ডেলিভারির সময়ে পরিবারের কোন সদস্যদের আপনার পাশে রাখতে চান—এসব নিয়ে এখন থেকেই পরিকল্পনা করুন। এমন কয়েকজন ডাক্তার অথবা হাসপাতালের তালিকা তৈরি করুন, যাদের তত্ত্বাবধানে আপনি ডেলিভারি করাতে ইচ্ছুক। এরপর সেই তালিকার ডাক্তার ও হাসপাতালগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিন।
চিকিৎসার ধরন, খরচ, সময়মতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা ও আপনাদের বাড়ি থেকে জায়গাটার দূরত্ব—এমন বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখুন।
এ ছাড়া ডেলিভারির সময়ে কারা আপনার সাথে হাসপাতালে যাবেন, সেই বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিন। আপনার সঙ্গী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
অন্যান্য লক্ষণ
এই সপ্তাহেও আগের সপ্তাহের মতো আপনার যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো—
- দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়া
- পেটের আকার বাড়ার সাথে সাথে পেটের চারপাশে ব্যথা হওয়া
- মাথা ব্যথা
- নাক থেকে রক্ত পড়া
- পেট ফাঁপা লাগা ও কোষ্ঠকাঠিন্য
- বদহজম ও বুক জ্বালাপোড়া করা
- স্তনে ব্যথা
- পা কামড়ানো
- বেশি গরম লাগা
- মাথা ঘুরানো
- হাত–পা ফুলে যাওয়া
- প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশন
- যোনিপথে ইনফেকশন
- মুখে মেছতার মতো বাদামি ও ছোপ ছোপ দাগ পড়া
- তৈলাক্ত ত্বক ও ত্বকে দাগ পড়া
- চুল ঘন ও ঝলমলে হওয়া
এ ছাড়া গর্ভাবস্থার প্রথমদিকের কিছু লক্ষণ থেকে যেতে পারে। যেমন—
- তীব্র ঘ্রাণশক্তি
- ঘন ঘন মনমেজাজ বদলানো বা মুড সুইং। এই খুশি, আবার এই মন খারাপ—এমনটা হতে পারে। পাশাপাশি এসময়ে ছোটোখাটো বিষয়ে মন খারাপ লাগা অথবা কান্না করে ফেলার প্রবণতা দেখা দিতে পারে
- সাদাস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
- যোনিপথ দিয়ে হালকা রক্তপাত হওয়া। এমন হলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তার দেখাবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা কোনো মারাত্মক কারণে হয় না। তবে কখনো কখনো এটা গর্ভপাতের একটা লক্ষণ হতে পারে
এ সপ্তাহে বাবার করণীয়
সঙ্গীর ওজন খেয়াল রাখতে সাহায্য করুন
গর্ভকালীন সময়ে শিশুর মায়ের ওজন ঠিকমতো না বাড়লে গর্ভের শিশু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করতে পারে।[২২][২৩] পাশাপাশি নবজাতক শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম (২.৫ কেজির কম) হতে পারে।[২৪][২৫] কম ওজনের শিশুরা জন্মের পর থেকেই অনেক দুর্বল থাকে এবং নানান ধরনের জটিলতায় ভোগে।[২৬]
অন্যদিকে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিও মা ও শিশু উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ ও প্রি-এক্লাম্পসিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।[২৭] সিজারের সম্ভাবনাও বাড়তে পারে।[২৮] তাই শিশুর মায়ের ওজন তার জন্য সঠিক অনুপাতে বাড়ছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে সাহায্য করতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন কত হওয়া উচিত তা আমাদের লেখা থেকে পড়ে নিতে পারেন। চেকআপের সময়ে ডাক্তারের কাছ থেকেও জেনে নিতে পারেন। সঙ্গীকে নিয়মিত ওজন মাপার কথা মনে করিয়ে দিন। তার সাথে কথা বলে ওজনের চার্ট বানাতে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনাদের বাড়িতে ওজন মাপার মেশিন না থাকে, তাহলে সঙ্গীকে সাধ্যের মধ্যে একটা ভালো ওজন মাপার মেশিন গিফট করতে পারেন।
আপনার ওজনও কি বাড়ছে?
শিশুর মায়ের পাশাপাশি আপনারও কি ওজন বাড়ছে? সঙ্গীর বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার তীব্র ইচ্ছার সময়ে আপনিও হয়তো পাশে ছিলেন। তখন হয়তো খাওয়াদাওয়া একটু বেশিই হয়ে গিয়েছে। আবার কাজের চাপে এবং সঙ্গীর কোনো অসুস্থতার কারণে হয়তো নিয়মিত ব্যায়ামের রুটিনে ছেদ পড়েছে। এসব মিলিয়ে আপনার ওজনটাও বেড়ে যেতে পারে।
আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার চেষ্টা করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। শিশুর মায়ের সাথে একসাথে ব্যায়াম করতে পারেন। যদি চেষ্টা করার পরও আপনার ওজন না কমে বরং শিশুর মায়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে, তাহলে একজন ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিতে পারেন।
সিগারেট থেকে দূরে থাকুন
শিশুর মায়ের আশেপাশে ধূমপান করলে গর্ভের শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন, শিশু সময়ের আগে জন্ম নেওয়া, ওজন কম হওয়া, এমনকি মৃত শিশু জন্মানোর মতো বিভিন্ন মারাত্মক সমস্যার ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়।[২৯][৩০][৩১]
আপনি অথবা বাড়ির কোনো সদস্য ধূমপান করলে সেটা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। ধূমপান ছাড়ার কার্যকর উপায়গুলো জেনে নিতে পারেন। অন্তত শিশুর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন। বাসায় অন্য কেউ ধূমপান করলে তার কাছে ব্যাপারটির গুরুত্ব তুলে ধরুন।