এ সপ্তাহের হাইলাইটস
এখন থেকে প্রতিদিন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবেন
আপনার ও গর্ভের শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য ক্যালসিয়াম খুব গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেড়ে যায়।[১] এই বাড়তি চাহিদা মেটাতে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের পাশাপাশি এখন থেকে প্রতিদিন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবেন।[২]
সহবাসের ইচ্ছা বেড়ে যেতে পারে
সহবাসের ইচ্ছা বেড়ে গেলে ঘাবড়ে যাবেন না। গর্ভকালীন কোনো জটিলতা কিংবা ডাক্তারের নিষেধ না থাকলে গর্ভাবস্থায় সহবাস সম্পূর্ণ নিরাপদ।[৩]
প্রতিদিন আয়রন-ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়া চালিয়ে যান
গর্ভের শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পুরো গর্ভাবস্থা জুড়ে আয়রন–ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়া প্রয়োজন।[৪] তাই আগের সপ্তাহগুলোর মতো এ সপ্তাহেও প্রতিদিন আয়রন-ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়া চালিয়ে যান।
এ মাসের চেকআপ করিয়ে ফেলুন
এ সপ্তাহে আপনার তৃতীয় গর্ভকালীন চেকআপের সময় হয়ে গিয়েছে। সেটার জন্য প্রস্তুতি নিন, কোনো প্রশ্ন মাথায় আসলে তা লিখে নিয়ে যান। এতে চেকআপের দিন তাড়াহুড়ায় থাকলেও প্রশ্ন ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
- মাসে কত দিন? ৩ মাস ১ সপ্তাহ
- কোন ট্রাইমেস্টার? প্রথম ত্রৈমাসিক
- আর কত সপ্তাহ বাকি? ২৭
১৩ সপ্তাহে বাচ্চার বৃদ্ধি
আপনার গর্ভের শিশু এখন প্রায় ৭.৪ সেন্টিমিটার লম্বা—একটি আমড়ার সমান। তার ওজন এখন প্রায় ২৫ গ্রাম। একটা টুথব্রাশে টুথপেস্ট নিলে যতটা ভারী লাগে, সে এখন প্রায় ততটা ভারী।
শিশু গর্ভে নড়াচড়া করছে
আপনার গর্ভের ছোটো জায়গাটুকুর মধ্যে শিশু চারপাশে ঘুরে–ফিরে নড়াচড়া শুরু করে দিয়েছে। প্রথম দিকে সে কিছুটা ঝাঁকুনির মতো করে নড়াচড়া করে।[৫] ধীরে ধীরে সে নানানভাবে নড়াচড়া করা শিখে যায়। তবে এখনো আপনি তার নড়াচড়া বুঝতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে আরও কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
শিশুর জনন অঙ্গ তৈরি হচ্ছে
গর্ভের শিশুর জনন অঙ্গ তৈরি হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে কয়েক সপ্তাহ আগে। তবে এখনো পুরোপুরি পরিণত হয়নি। ধীরে ধীরে তা বিকশিত হচ্ছে।[৬] এ সপ্তাহে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করলে সে ছেলে না কি মেয়ে সেটি সাধারণত বোঝা যায় না।[৭]
শিশুর শারীরিক কাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে
ইতোমধ্যে আপনার শিশুর পুরো শরীরের কাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। তার শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মাংসপেশি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এসব এখন ধীরে ধীরে পরিণত হতে থাকবে।
১৩ সপ্তাহে মায়ের শরীর
গর্ভাবস্থার সেরা তিনটি মাসের শুরুতে আপনাকে স্বাগতম! এখন থেকে পরবর্তী ৩ মাসকে অনেকেই গর্ভাবস্থার ‘হানিমুন পিরিয়ড’ বা ‘সোনালি সময়’ বলে। এ সময়ে আপনার বমি বমি ভাব ও ক্লান্তি কিছুটা কমে যেতে পারে। মনে হতে পারে যে, আপনি শরীরে পুনরায় শক্তি ফিরে পাচ্ছেন। পাশাপাশি আপনার ক্ষুধা এবং খাবারের প্রতি রুচিও বেড়ে যেতে পারে।
সহবাসের ইচ্ছা বেড়ে যাওয়া
এসময়ে আপনার কোমরের নিচের দিকে এবং জরায়ুর আশেপাশের এলাকায় রক্ত সরবরাহের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। এজন্য আপনার সহবাসের ইচ্ছা বেড়ে যাতে পারে। গর্ভকালীন জটিলতা না থাকলে এবং বিশেষ কোনো কারণে ডাক্তারের নিষেধ না থাকলে গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ। এতে গর্ভের সন্তানের আঘাত পাওয়ার বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।[৮]
ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা কমে আসা
এই সময়ে হয়তো বাইরে থেকে আপনার বাড়ন্ত পেট কিছুটা আঁচ করা সম্ভব। আপনার বারবার প্রস্রাবের বেগ আসার সমস্যা থাকলে এই সপ্তাহে সেটি কমে যেতে পারে। কেননা আপনার বাড়ন্ত জরায়ু মূত্রথলির ওপর থেকে কিছুটা দূরে সরে যাচ্ছে।
এই সপ্তাহে আপনার বমি বমি ভাব ও ক্লান্তি কিছুটা কমে যেতে পারে। মনে হতে পারে যে, আপনি শরীরে পুনরায় শক্তি ফিরে পাচ্ছেন। পাশাপাশি আপনার ক্ষুধা এবং খাবারের প্রতি রুচিও বেড়ে যেতে পারে।
এই সপ্তাহ থেকে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট
আপনাকে এই সপ্তাহ থেকে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করতে হবে। এখন থেকে শুরু করে ডেলিভারির আগ পর্যন্ত প্রতিদিন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া চালিয়ে যাবেন।[৯]
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার সময়ে ভরাপেটে খেলে ভালো হয়। তবে মনে রাখবেন, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের সাথে একই সময়ে আয়রন-ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাবেন না। এতে আয়রন ট্যাবলেটের কার্যকারিতা কমে যায়।[১০][১১] ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে অথবা ২ ঘণ্টা পরে আয়রন ট্যাবলেট খাবেন।[১২]
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলে আপনার প্রি-এক্লাম্পসিয়া নামক গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপজনিত মারাত্মক জটিলতার ঝুঁকি কমতে পারে।[১৩][১৪]
গর্ভাবস্থায় আর কোন কোন ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান বিশেষভাবে প্রয়োজন, সেগুলোর তালিকা পেতে আমাদের এই লেখাটা পড়তে পারেন।
বাড়তি খাওয়া
গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাসে ওজন তেমন বাড়ে না এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।[১৫] তবে গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস শেষ হয়ে গেলে খাবারের পরিমাণ একটু বাড়াতে হয়। যেহেতু এই সপ্তাহ থেকে আপনার গর্ভাবস্থার চতুর্থ মাস শুরু হলো, এখন আপনাকে কিছুটা বাড়তি খাবার খেতে হবে।
যদি গর্ভাবস্থার আগে আপনার ওজন স্বাভাবিক হয়ে থাকে, তাহলে এই সপ্তাহ থেকে আপনি দিনে ৩৪০ ক্যালরি পরিমাণ অতিরিক্ত খাবার খাবেন।[১৬] গর্ভাবস্থার ৬ মাস পূর্ণ হলে অতিরিক্ত খাবারের পরিমাণটা আরেকটু বাড়াতে হবে। অতিরিক্ত ক্যালরির চাহিদা মেটাতে স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিবেন।
কোন ধরনের খাবার ভালো হবে, তা জানতে গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা দেখে নিতে পারেন।
তৃতীয় চেকআপ
আপনার তৃতীয় গর্ভকালীন চেকআপের সময় হয়ে এসেছে। সেটার জন্য প্রস্তুতি নিন, কোনো প্রশ্ন মাথায় আসলে তা লিখে নিয়ে যান। এতে চেকআপের দিন তাড়াহুড়ায় থাকলেও প্রশ্ন ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
নিয়মিত চেকআপে যাওয়া আপনার ও গর্ভের শিশুর সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চেকআপে কোনো সমস্যা ধরা পড়লে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেটার চিকিৎসা শুরু করা যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনাকে মাসে একবার করে চেকআপে যেতে হবে, গর্ভাবস্থার ২৮তম সপ্তাহ পর্যন্ত।
অন্যান্য লক্ষণ
এ সময়ে আপনার পিপাসা বেড়ে যেতে পারে। তাই বেশি বেশি পানি ও তরল খাবার খাবেন। সেই সাথে এ সপ্তাহে আপনার আরও যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো—
- দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং মাড়ি থেকে রক্ত পড়া
- পেটের আকার বাড়ার সাথে সাথে পেটের চারপাশের পেশিতে ব্যথা করা। একে লিগামেন্টের ব্যথা বলা হয়।
- মাথা ব্যথা
- নাক থেকে রক্ত পড়া
- পেট ফাঁপা লাগা
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- বদহজম ও বুক জ্বালাপোড়া করা
- স্তনে ব্যথা
- পা কামড়ানো
- বেশি গরম লাগা
- মাথা ঘুরানো
- হাত–পা ফুলে যাওয়া
- প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশন হওয়া
- যোনিপথে ইনফেকশন হওয়া
- মুখে মেছতার মতো বাদামি ও ছোপ ছোপ দাগ পড়া
- তৈলাক্ত ত্বক ও ত্বকে দাগ পড়া
- চুল ঘন ও ঝলমলে হওয়া
এ ছাড়া গর্ভাবস্থার প্রথমদিকের কিছু লক্ষণ থেকে যেতে পারে। যেমন—
- খাবারের অভ্যাসে লক্ষণীয় পরিবর্তন আসা। হঠাৎ কোনো খাবারে অরুচি কিংবা নতুন কোনো খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা দেখা দিতে পারে। আবার নির্দিষ্ট কিছু খাবারের গন্ধে বমি বমিও লাগতে পারে
- তীব্র ঘ্রাণশক্তি
- ঘন ঘন মনমেজাজ বদলানো বা মুড সুইং। এই খুশি, আবার এই মন খারাপ—এমনটা হতে পারে। পাশাপাশি এ সময়ে ছোটোখাটো বিষয়ে মন খারাপ লাগা অথবা কান্না করে ফেলার প্রবণতা দেখা দিতে পারে
- সাদাস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
- যোনিপথ দিয়ে হালকা রক্তপাত হওয়া। এমন হলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তার দেখাবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা কোনো মারাত্মক কারণে হয় না। তবে কখনো কখনো এটা গর্ভপাতের একটা লক্ষণ হতে পারে।
এ সপ্তাহে বাবার করণীয়
গর্ভাবস্থার সেরা তিনটি মাসের শুরুতে আপনাকে স্বাগতম! গর্ভাবস্থার মাঝের ৩ মাসকে অনেকেই গর্ভাবস্থার ‘সোনালি সময়’ বা ‘হানিমুন পিরিয়ড’ বলে। শিশুর মাকে এখন বাইরে থেকে দেখে গর্ভবতী মনে হচ্ছে। বমিভাবসহ বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধা হয়তো অনেকটাই চলে গিয়েছে। তাই এখনকার এই সময়টা দুজনে মিলে যতটা সম্ভব উপভোগ করার চেষ্টা করুন।
শিশুর মায়ের সহবাসের ইচ্ছায় পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক
এ সময়ে শিশুর মায়ের সহবাসের ইচ্ছা বেড়ে যেতে পারে। কোনো গর্ভকালীন জটিলতা না থাকলে এবং ডাক্তারের বিশেষ নিষেধাজ্ঞা না থাকলে গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ। এতে গর্ভের সন্তানের আঘাত পাওয়ার বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।[১৭]
গর্ভাবস্থা জুড়ে শিশুর মায়ের সহবাসের ইচ্ছার পরিবর্তন হতে পারে। কখনো ইচ্ছা বেড়ে যেতে পারে, আবার কখনো একেবারেই কমে যেতে পারে। এমন হওয়া স্বাভাবিক, এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। এই ব্যাপারে আপনাদের মধ্যে যোগাযোগ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই বিষয়ে আপনার মনে কোনো প্রশ্ন বা দ্বিধা থাকলে সঙ্গীর সাথে খোলাখুলি কথা বলুন।
যেসব ক্ষেত্রে সহবাস করা থেকে বিরত থাকবেন
গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহবাস করলে গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশুর জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।[১৮] যেমন—
- যদি গর্ভাবস্থায় কোনো কারণে আপনার সঙ্গীর মাসিকের রাস্তা দিয়ে ভারী রক্তপাত হয়ে থাকে
- যদি আপনার সঙ্গীর প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল নিচে থাকে—ডাক্তারি ভাষায় একে ’প্লাসেন্টা প্রিভিয়া’ বলে
- যদি গর্ভে একই সময়ে দুই বা তার বেশি সন্তান থাকে
- যদি পূর্বের প্রেগন্যান্সিতে সময়ের আগেই অপরিণত অবস্থায় বা প্রিম্যাচিউর সন্তান প্রসব হয়ে থাকে
- যদি আপনার সঙ্গীর জরায়ুমুখে (সারভিক্সে) কোনো দুর্বলতা কিংবা জটিলতা থাকে
- যদি আপনার সঙ্গীর পানি ভাঙ্গে
এসব ক্ষেত্রে ডাক্তার আপনাকে সহবাস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিবেন।[১৯]
আয়রন-ফলিক এসিড ও ক্যালসিয়াম খেতে মনে করিয়ে দিন
গর্ভের শিশুর ব্রেইন, স্নায়ুতন্ত্র, হাড় ও অন্যান্য অঙ্গ স্বাভাবিকভাবে গড়ে ওঠার জন্য এ সপ্তাহ থেকে গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত আয়রন–ফলিক এসিড ট্যাবলেট ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে।[২০][২১] তবে আয়রন-ফলিক এসিড ট্যাবলেটের সাথে একই সময়ে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না। কারণ তাতে আয়রনের কার্যকারিতা কমে যায়।[২২][২৩]
শরীরের নানান পরিবর্তন ও সারাদিনের ব্যস্ততার ভিড়ে হয়তো এসব প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে মনে নাও থাকতে পারে। তাই আপনি মাঝে মাঝে খোঁজ নিতে পারেন যে দিনের ওষুধগুলো খাওয়া হয়েছে কি না। কোনো বেলার ওষুধ আপনি এক গ্লাস পানিসহ এগিয়ে দিতে পারেন।
তৃতীয় চেকআপের প্রস্তুতি নিন
শিশুর মায়ের তৃতীয় গর্ভকালীন চেকআপের সময় হয়ে এসেছে। সেটার জন্য দুজনে মিলে প্রস্তুতি নিন। কোনো প্রশ্ন মাথায় আসলে সেটা লিখে নিয়ে যান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে গর্ভাবস্থার ২৮তম সপ্তাহ পর্যন্ত মাসে একবার করে চেকআপে যেতে হবে। এরপর ৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতি ২ সপ্তাহে একবার, তারপর প্রসবের আগ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একবার চেকআপে যেতে হবে।
চেকআপের সময় শিশুর মা তার সাথে সমস্যার কথাগুলো ভালোভাবে বলতে পারছে কি না তা জেনে নিন। যদি গত চেকআপগুলোর অভিজ্ঞতা ভালো না হয়, তাহলে আপনারা ডাক্তার অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিবর্তনের কথা চিন্তা করতে পারেন। সঙ্গীর সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিন।