২০তম সপ্তাহ নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
আপনি ইতোমধ্যেই গর্ভাবস্থার প্রায় অর্ধেক পথ পার করে ফেলেছেন। ২০তম সপ্তাহে এসে আপনার যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে সেগুলো হল:
- স্ট্রেচ মার্কস (পেটের আকার বাড়াতে থাকায় চামড়ায় যে টান পড়ে তার কারণে ফাটা দাগের মত চিহ্ন দেখা দেওয়া),
- বেশি ক্লান্ত লাগা,
- ঘুমের সমস্যা হওয়া,
- দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া বা রক্ত পড়া,
- মাথা ব্যথা,
- পেটে ব্যথা,
- কিছু ক্ষেত্রে নাক থেকে হালকা রক্ত পড়া,
- পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া,
- বদহজম ও বুক জ্বালাপোড়া করা,
- চাপ দিলে স্তনে ব্যথা অনুভব করা,
- পায়ে ব্যথা,
- অল্পতেই গরম লাগা কিংবা সামান্য গরম আবহাওয়াতেই অস্বস্তি বোধ করা বা হাঁসফাঁস করা,
- মাথা ঘুরানো,
- হাত-পায়ে পানি আসা বা ফুলে যাওয়া,
- প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া বা ইনফেকশন,
- যোনিপথে অর্থাৎ মাসিক/পিরিয়ডের রাস্তায় ইনফেকশন,
- মুখের বা শরীরের অন্যান্য অংশের চামড়ায় ছোপ ছোপ দাগ পড়া,
- অনেকের ক্ষেত্রে মাথার চুল আগের চেয়ে ঘন, কালো হয়ে ওঠা।
যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে:
- এ সপ্তাহে আপনার একটি আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করানো উচিৎ। ২০তম সপ্তাহের আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানে গর্ভের সন্তানের কোন জন্মগত ত্রুটি আছে কিনা দেখা হয়।
- গর্ভাবস্থার এ সময়টাতে পায়ের ব্যথা ও কোমড় ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। ব্যথা কমানোর জন্য হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় ব্যায়ামের ধরন সম্পর্কে জানতে একজন ব্যায়াম প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিতে পারেন।
গর্ভের শিশু কীভাবে বড় হচ্ছে
২০তম সপ্তাহে আপনার শিশু লম্বায় প্রায় ২৫.৬ সেন্টিমিটার বা প্রায় ১০ ইঞ্চি হয়। এসময় শিশুর ওজন হয় প্রায় ৩০০ গ্রাম।
এ সপ্তাহের মধ্যে শিশুটির ত্বকের উপর ‘ভার্নিক্স’ নামের একটি সাদা রঙের পিচ্ছিল স্তর তৈরি হবে। শিশুটি গর্ভের ভেতরে যেই অ্যামনিওটিক তরল দিয়ে ঘেরা থাকে, তার সংস্পর্শে শিশুর নাজুক ত্বক যেন খসখসে না হয়ে যায় তাই চামড়ার উপর এই সুরক্ষা স্তরটি তৈরি হয় বলে ধারণা করা হয়৷ এছাড়া এই স্তরটি পিচ্ছিল হওয়ার কারণে প্রসবের সময় শিশুকে সহজে বের করে আনতেও সাহায্য করে।
শিশুটি এখন আগের চেয়ে আরো বেশি নড়াচড়া করতে শুরু করবে। গর্ভবতী মায়েরা এ সময় থেকে নিয়মিত ও স্পষ্টভাবে গর্ভের শিশুর উপস্থিতি অনুভব করতে পারবে।