এ সপ্তাহের হাইলাইটস
নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ এড়িয়ে চলুন
জ্বর ও ব্যথার জন্য সচরাচর ব্যবহার করা হয় এমন কিছু ওষুধ (যেমন: আইবুপ্রোফেন ও ন্যাপ্রক্সেন) গর্ভাবস্থায় খাবেন না। এগুলো নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহনাশক ওষুধ হিসেবে পরিচিত। গর্ভধারণের ২০তম সপ্তাহ বা তারপরে গর্ভবতী নারী এই ওষুধ সেবন করলে গর্ভের শিশুর কিডনিতে সমস্যা হতে পারে।[১][২]
স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম খেতে পারেন
বাদাম হলো প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন ও বিভিন্ন মিনারেল সমৃদ্ধ মজাদার নাস্তা।[৩] তাই গর্ভাবস্থায় মাঝে মাঝে ছোটো একমুঠো বাদাম হালকা নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন। তবে লবণ বা চিনি না মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
নিয়মিত ব্লাড প্রেসার মাপুন
গর্ভাবস্থায় কারো কারো রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং এই সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেয়। সাধারণত গর্ভধারণের ২০তম সপ্তাহের পর থেকে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। আপনি হয়তো প্রেসার বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটা ঘরে বসে বুঝতে পারবেন না। তাই অবশ্যই নিয়মিত চেকআপে যাবেন এবং আপনার ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করাবেন। সম্ভব হলে বাড়িতেও নিয়মিত প্রেসার মাপবেন।
আয়রন-ফলিক এসিড ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া চালিয়ে যান
গর্ভের শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে আগের সপ্তাহগুলোর মতো এ সপ্তাহেও প্রতিদিন আয়রন-ফলিক এসিড ট্যাবলেট ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া চালিয়ে যান।[৪][৫]
- মাসে কত দিন? ৫ মাস
- কোন ট্রাইমেস্টার? দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক
- আর কত সপ্তাহ বাকি? ২০
২০ সপ্তাহে বাচ্চার বৃদ্ধি
এ সপ্তাহে আপনার গর্ভের শিশুর ওজন প্রায় ৩০০ গ্রাম। এরই মধ্যে সে প্রায় ২৫.৬ সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে গিয়েছে—প্রায় একটি শসার সমান। দৈর্ঘ্যের এই হিসাবটা শিশুর মাথা থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত।
এতদিন পর্যন্ত শিশুর মাথা থেকে নিতম্ব পর্যন্ত দৈর্ঘ্য মাপা হতো। কেননা তখন তার পা দুইটি কুঁকড়ে থাকতো। ফলে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত দৈর্ঘ্য মাপা সম্ভব হতো না। তবে এখন মাথা থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত মাপা যায়।
শিশুর ত্বকে তুলতুলে লোম আছে
এখনো শিশুর ত্বকের নিচের চর্বির স্তর তৈরি হয়নি। তাই এখনো তার ত্বক অনেক পাতলা।[৬] এরই মধ্যে আপনার শিশুর পুরো শরীর জুড়ে পাতলা ও তুলতুলে লোমের আবরণ তৈরি হয়েছে।[৭]
শিশুর ত্বক এখন একটি সাদা আবরণে ঢাকা আছে
এসময়ে আপনার শিশুর ত্বক এক ধরনের সাদা, তেলতেলে ও পিচ্ছিল আবরণে ঢাকা থাকে।[৮] ‘ভার্নিক্স’ নামের এই আবরণটি ছোট্ট শিশুর নাজুক ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।[৯] নাহলে হয়তো গর্ভের ভেতরের অ্যামনিওটিক তরলের সংস্পর্শে আসার কারণে শিশুর ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যেত।[১০]
এ ছাড়াও এই আবরণটি পিচ্ছিল হওয়ার কারণে এটি পরবর্তীতে প্রসবের সময়ে শিশুকে সহজে বের হয়ে আসতে সাহায্য করে। শিশুর গায়ের নরম তুলতুলে লোম এই পিচ্ছিল আবরণ ধরে রাখতে সাহায্য করে।[১১]
শিশুর আঙ্গুলে ছাপ বসেছে
স্বাক্ষর হিসেবে আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করা হয়, কারণ একেকজনের আঙ্গুলের ছাপ একেকরকম হয়।[১২] ছোট্ট শিশুর হাত-পায়ের আঙ্গুলে এখন স্থায়ীভাবে ছাপ বসে গিয়েছে।[১৩][১৪] এই আঙ্গুলের ছাপ আপনার সোনামণির একান্ত নিজস্ব ও স্বতন্ত্র। সময়ের সাথে সাথে রেখাগুলো আরও বিকশিত হতে থাকবে।
২০ সপ্তাহে মায়ের শরীর
এ সপ্তাহটা পার হলেই গর্ভাবস্থার অর্ধেকটা সময় পার হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্যকর নাস্তা হিসেবে বাদাম খাওয়া
প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ভালো উৎস হলো বাদাম।[১৫] নিয়মিত বাদাম খাওয়ার সাথে হার্টের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমার সম্ভাবনা পাওয়া গেছে।[১৬] তাই মাঝে মাঝে হালকা নাস্তা হিসেবে ছোটো একমুঠো বাদাম বেছে নিতে পারেন।
চিনাবাদাম, আমন্ড বা কাঠবাদাম, ওয়ালনাট, কাজুবাদাম খেতে পারেন। কেনার সময়ে তেল ছাড়া ভাজা বাদাম বেছে নিবেন। তবে বাদাম খাওয়ার সময়ে লবণ মিশিয়ে খাবেন না! আবার একসাথে অনেক বাদাম খেয়ে ফেলবেন না। বাদাম পুষ্টিকর হলেও ক্যালরিবহুল। অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার কারণে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। তাই নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার কথা মাথায় রাখবেন।
পায়ের পাতার ব্যায়াম
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করলে, বিশেষ করে পায়ের ও গোড়ালির ব্যায়াম করলে পায়ের রক্ত চলাচলে উন্নতি হয়। এভাবে পা কামড়ানোর সমস্যা ঠেকানো যেতে পারে। এজন্য খুব সহজ কিছু পায়ের পাতার ব্যায়াম করতে পারেন।
প্রথমে ডান পা দিয়ে শুরু করতে পারেন। গোড়ালির জয়েন্ট ভাঁজ করে পায়ের পাতা ওপরের দিকে ওঠান, তারপর টানটান করে দ্রুত নিচের দিকে নামান। এভাবে দ্রুত ৩০ বার পায়ের পাতা ওঠানামা করবেন।
তারপর পায়ের পাতা বৃত্তাকারে, অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটার মতো করে ঘোরান। প্রথমে ডান দিক থেকে শুরু করে ৮ বার ঘোরাবেন। তারপর বাম দিকে থেকে শুরু করে ৮ বার ঘোরাবেন। অর্থাৎ প্রথমে ঘড়ির কাঁটা যেদিকে ঘুরে সেদিকে, তারপর ঘড়ির কাঁটা যেদিকে ঘুরে তার বিপরীত দিকে গোড়ালি এবং পায়ের পাতা ঘোরাবেন। এমন করে মোট ১৬ বার ঘোরাবেন। ডান পায়ের ব্যায়াম শেষ করে একই নিয়মে বাম পায়ের ব্যায়াম করুন।
দিনের বেলা কাজের ফাঁকে এসব ব্যায়াম করার অভ্যাস করে ফেলুন।
শরীর ফুলে যাওয়া ও প্রি-এক্লাম্পসিয়া
গর্ভাবস্থায় আপনার পায়ে, হাতে অথবা মুখে পানি জমে কিছুটা ফোলা ফোলা ভাব আসতে পারে। অনেকেরই এমনটা দেখা দেয়। এটা সাধারণত কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নয়। তবে কখনো কখনো ‘প্রি-এক্লাম্পসিয়া’ নামের গর্ভাবস্থার একটি জটিল সমস্যার কারণেও হাতে–পায়ে পানি আসতে পারে।
তাই এমন হলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারকে জানাবেন। তিনি আপনার রক্তচাপ মেপে দেখবেন এবং অন্যান্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে শরীর ফুলে যাওয়ার কারণ খুঁজে দেখতে পারবেন।
সাধারণত গর্ভধারণের ২০তম সপ্তাহের পর থেকে শুরু করে ডেলিভারির চার সপ্তাহ পর্যন্ত প্রি-এক্লাম্পসিয়া রোগ দেখা দিতে পারে। তাই এখন থেকেই এই রোগের লক্ষণগুলো আপনার জানা থাকা জরুরি। যেমন: তীব্র মাথাব্যথা, দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয়ে যাওয়া কিংবা চোখে আলোর ঝলকানি দেখা, হঠাৎ করেই হাত, পা, অথবা মুখ ফুলে যাওয়া, অথবা এমন যেকোনো লক্ষণের পাশাপাশি বমি হওয়া।[১৭] এমন হলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যাবেন।
প্রি-এক্লাম্পসিয়া রোগ নিয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই লেখাটা পড়তে পারেন।
চিকেনপক্স থেকে সুরক্ষা
গর্ভাবস্থায় ২০ তম সপ্তাহের পরে চিকেনপক্স হলে তা আপনার জন্য মারাত্মক ভয়ের কারণ হতে পারে। তবে ছোটোবেলায় আপনার যদি চিকেনপক্স হয়ে থাকে, তাহলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।[১৮] কারণ একবার চিকেনপক্স হলে সাধারণত দ্বিতীয়বার আর হয় না।[১৯]
আপনার যদি আগে কখনো চিকেনপক্স না হয়ে থাকে, চিকেনপক্স হয়েছে কি না সেটা জানা না থাকে অথবা কোন কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়, তাহলে চিকেনপক্স থেকে খুব সাবধানে থাকবেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলবেন। শুধু ত্বকের সংস্পর্শ নয়, বাতাসের মাধ্যমেও চিকেনপক্স ছড়াতে পারে।[২০] তাই চিকেনপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির আশেপাশে যাবেন না।
যদি কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার যাতে চিকেনপক্স না হয়, তিনি সেজন্য চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন।
অন্যান্য লক্ষণ
এ সপ্তাহেও আগের সপ্তাহের মতো আপনার যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো—
- দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়া
- পেটের আকার বাড়ার সাথে সাথে পেটের চারপাশে ব্যথা হওয়া
- মাথা ব্যথা
- নাক থেকে রক্ত পড়া
- পেট ফাঁপা লাগা ও কোষ্ঠকাঠিন্য
- বদহজম ও বুক জ্বালাপোড়া করা
- স্তনে ব্যথা
- বেশি গরম লাগা
- মাথা ঘুরানো
- প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশন
- যোনিপথে ইনফেকশন
- মুখে মেছতার মতো বাদামি ও ছোপ ছোপ দাগ পড়া
- তৈলাক্ত ত্বক ও ত্বকে দাগ পড়া
- চুল ঘন ও ঝলমলে হওয়া
এ ছাড়া গর্ভাবস্থার প্রথমদিকের কিছু লক্ষণ থেকে যেতে পারে। যেমন—
- তীব্র ঘ্রাণশক্তি
- ঘন ঘন মনমেজাজ বদলানো বা মুড সুইং। এই খুশি, আবার এই মন খারাপ—এমনটা হতে পারে। পাশাপাশি এসময়ে ছোটোখাটো বিষয়ে মন খারাপ লাগা অথবা কান্না করে ফেলার প্রবণতা দেখা দিতে পারে
- সাদাস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
- যোনিপথ দিয়ে হালকা রক্তপাত হওয়া। এমন হলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তার দেখাবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা কোনো মারাত্মক কারণে হয় না। তবে কখনো কখনো এটা গর্ভপাতের একটা লক্ষণ হতে পারে
এ সপ্তাহে বাবার করণীয়
প্রি-এক্লাম্পসিয়া সম্পর্কে সতর্ক থাকুন
গর্ভাবস্থায় কারো কারো প্রি-এক্লাম্পসিয়া নামের রোগ দেখা দিতে পারে। এই রোগের অন্যতম লক্ষণ ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়া ও প্রস্রাবের সাথে প্রোটিন বেরিয়ে যাওয়া। এগুলো ঘরে বসে বোঝা কঠিন। তাই নিয়মিত চেকআপে গিয়ে ব্লাড প্রেসার ও প্রস্রাব পরীক্ষা করানো খুব জরুরি। মেশিন থাকলে বাড়িতেও নিয়মিত শিশুর মায়ের প্রেসার মাপতে পারেন।
এই রোগের অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে হঠাৎ করেই হাত, মুখ অথবা পা ফুলে যাওয়া, তীব্র মাথাব্যথা, দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয়ে যাওয়া, চোখে আলোর ঝলকানি দেখা, অথবা এসব যেকোনো লক্ষণের পাশাপাশি বমি হওয়া। এমন কোনো লক্ষণ দেখা দিলে শিশুর মাকে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন। গর্ভধারণের ২০তম সপ্তাহের পর থেকে শুরু করে ডেলিভারির চার সপ্তাহ পর্যন্ত এই রোগ দেখা দিতে পারে।
নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ এড়িয়ে চলতে মনে করিয়ে দিন
অন্য সময়ে ব্যবহার করা যায় এমন কিছু ওষুধ গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলতে হয়। যেমন: আইবুপ্রোফেন ও ন্যাপ্রক্সেন।[২১] জ্বর বা ব্যথার জন্য এই ওষুধগুলো অনেকেই দোকান থেকে কিনে সেবন করেন। এগুলো নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহনাশক ওষুধ হিসেবে পরিচিত।
গর্ভাবস্থায় এই ওষুধগুলো এড়িয়ে চলতে হয় এবং শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে এই ওষুধ সেবন করা যায়। বিশেষ করে গর্ভধারণের ২০তম সপ্তাহ বা তারপরে গর্ভবতী নারী এই ওষুধ সেবন করলে গর্ভের শিশুর কিডনিতে সমস্যা হতে পারে।[২২][২৩]
তাই শিশুর মাকে আজই এই বিষয়ে সতর্ক করুন। জ্বর বা ব্যথার জন্য আপনাকে ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনতে বললে বিষয়টা মাথায় রাখবেন। প্রয়োজনে শিশুর মা প্যারাসিটামল খেতে পারেন, যা গর্ভাবস্থায় সেবন করা নিরাপদ।
চিকেনপক্স থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন
গর্ভাবস্থায় চিকেনপক্স হলে তা শিশুর মায়ের জন্য গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থার ২০ তম সপ্তাহের পরে।[২৪] তাই বাড়ির সব সদস্যকে সতর্ক করে দিন, যাতে তারা চিকেনপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে। নাহলে তাদের মাধ্যমে শিশুর মায়ের কাছে চিকেনপক্স ছড়াতে পারে।
দুজনে মিলে ‘বেবিমুন’ কাটিয়ে আসুন!
এসময়ে সাধারণত শিশুর মায়ের অস্বস্তিকর লক্ষণগুলো প্রথম কয়েক মাসের তুলনায় কিছুটা কমে আসে। আবার শেষের মাসগুলোর মতো চলাফেরায় অস্বস্তি, ব্যথা-বেদনা কিংবা যেকোনো মুহূর্তে প্রসব শুরু হয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা থাকে না। তাই এখন সময় করে হানিমুনের মতো ‘বেবিমুন’ কাটিয়ে আসতে পারেন!
আপনাদের পছন্দের কোনো জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। দূরে কোথাও যেতে ইচ্ছে না করলে কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতেই একসাথে সময় কাটাতে পারেন। দুজনেরই পছন্দ—এমন কোনো কাজ করে একান্তে সময় কাটান। নিজেদের জন্য সুন্দর সুন্দর কিছু স্মৃতি তৈরি করে রাখুন।