এ সপ্তাহের হাইলাইটস
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুমানোর অভ্যাস আপনাকে সারাদিন সতেজ রাখতে পারে। প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। ঘুম নিয়মিত করতে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার এবং ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন।
দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিন
মায়ের দাঁত ও মাড়ির সমস্যার সাথে গর্ভের শিশু সময়ের আগে প্রসব হয়ে যাওয়া, কম ওজনের শিশু জন্মানোসহ বিভিন্ন জটিলতার সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে।[১] তাই এই সপ্তাহেই ডেন্টিস্ট এর কাছে গিয়ে দাঁত ও মাড়ি পরীক্ষা করিয়ে ফেলুন। নিয়মিত দাঁত, জিহ্বা ও মাড়ির যত্ন নিন।
দ্বিতীয় চেকআপ করিয়ে ফেলুন
গর্ভের শিশু ঠিকমতো বেড়ে উঠছে কি না, আপনার স্বাস্থ্য কেমন আছে, কী করলে আপনারা দুজনই সুস্থ থাকবেন—এসব জানতে নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপে যাওয়া জরুরি। ২৮তম সপ্তাহ পর্যন্ত মাসে একবার করে চেকআপে যাওয়া প্রয়োজন। এই মাসের চেকআপ করানোর ব্যবস্থা করে ফেলুন।
মনে করে আয়রন-ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাবেন
শিশুর ব্রেইন এত দ্রুত বেড়ে উঠছে যে এখনো তার মাথাটা দেহের তুলনায় অনেকটা বড়সড়। মুখমণ্ডল, চোখ-নাক-কান তৈরিও এগিয়ে যাচ্ছে। এসব যাতে সঠিকভাবে তৈরি হতে পারে, সেজন্য আগের সপ্তাহগুলোর মতো এই সপ্তাহেও অবশ্যই মনে করে প্রতিদিন আয়রন–ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়া চালিয়ে যাবেন।[২]
- মাসে কত দিন? ২ মাস ২ সপ্তাহ
- কোন ট্রাইমেস্টার? প্রথম ত্রৈমাসিক
- আর কত সপ্তাহ বাকি? ৩০
১০ সপ্তাহে বাচ্চার বৃদ্ধি
আপনার গর্ভের শিশু এখন প্রায় ৩০ মিলিমিটার লম্বা—একটি ছোট্ট স্ট্রবেরির সমান।
শিশুর হার্ট খুব দ্রুত স্পন্দিত হচ্ছে
আপনার গর্ভের শিশুর হার্ট কয়েক সপ্তাহ আগে নিজে নিজে স্পন্দিত হতে শুরু করেছে। এখন সেই ছোট্ট হার্ট মিনিটে প্রায় ১৬০ বার করে স্পন্দিত হচ্ছে।[৩] অর্থাৎ শিশুর হার্টবিট আপনার হার্টবিটের তুলনায় প্রায় দুই গুণেরও বেশি দ্রুত গতিতে চলছে।
শিশু অল্প অল্প করে নড়াচড়া করতে শুরু করেছে
আপনার শিশু এখন হালকা ঝাঁকুনি দিয়ে নড়াচড়া করতে পারে।[৪] তবে বাইরে থেকে এই নড়াচড়া এখনো বোঝা সম্ভব নয়। আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে এই নড়াচড়া বোঝা যেতে পারে।
শিশুর মুখমণ্ডল সুগঠিত হচ্ছে
আপনার গর্ভে ছোট্ট শিশু খুব দ্রুত বেড়ে উঠছে। মুখমণ্ডলের বেশ কয়েকটা অংশ এখন অনেক স্পষ্ট।[৫] চোখের বিকাশ এগিয়ে যাচ্ছে। ছোটো ছোটো দুধ দাঁত তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।[৬] কান ও নাকের বিভিন্ন অংশ আরও বিকশিত হচ্ছে।
শিশুর লেজ মিলিয়ে যাবে
প্রথমদিকে শিশুর একটা ছোট্ট লেজ থাকে। এ সপ্তাহের মধ্যে সেই লেজটা মিলিয়ে যাবে।[৭][৮]
শিশুর হাত-পা বেশ দ্রুত বেড়ে উঠছে
আপনার শিশুর হাত–পাগুলো আরও লম্বা হচ্ছে। কনুই ও হাঁটু স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। সে এখন তার কনুই ভাজ করতে পারে।[৯] হাত–পায়ে ছোটো ছোটো জোড়া লাগানো আঙুলগুলো এ সপ্তাহে আলাদা হয়ে যাবে।[১০]
১০ সপ্তাহে মায়ের শরীর
এ সপ্তাহে আপনার গর্ভের আকার প্রায় একটি বড়সড় মালটার সমান হয়ে গেছে। আপনার আগের জামা–কাপড়গুলো পরতে গেলে এখন কিছুটা আঁটসাঁট লাগতে পারে।
ডেন্টিস্টের কাছে চেকআপ
গর্ভাবস্থায় দাঁত ও মাড়ির যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের দাঁত ও মাড়ির অসুস্থতার সাথে গর্ভের শিশু সময়ের আগে প্রসব হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশু জন্মানোর সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে।[১১] তাই এ সপ্তাহে দাঁতের ডেন্টিস্ট এর কাছে গিয়ে দাঁত ও মাড়ি পরীক্ষা করিয়ে ফেলুন এবং এসময়ে দাঁতের যত্নের প্রতি বিশেষ নজর দিন।
দিনে ২ বার ২ মিনিট ধরে ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। দিনে অন্তত একবার ফ্লস ব্যবহার করে আপনার দাঁতের মাঝে জমে থাকা ছোটো ছোটো খাবারের টুকরা পরিষ্কার করে ফেলুন।
গর্ভাবস্থায় দাঁত ও মাড়ির যত্নের ঘরোয়া উপায়গুলো জানতে আমাদের এই লেখাটা পড়তে পারেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
আপনার কি ঘুম থেকে উঠতে খুব কষ্ট হয়? ওঠার পর ফ্রেশ লাগে না? তাহলে হয়তো আপনি যথেষ্ট ঘুমাচ্ছেন না অথবা ঘুম ভালো হচ্ছে না। গর্ভাবস্থায় ঘুমে সমস্যার সাথে অনেকগুলো জটিলতার সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে সাম্প্রতিক গবেষণা। যেমন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ, সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব, প্রিম্যাচিউর সন্তান প্রসব বা সময়ের আগেই সন্তান প্রসব হওয়া, এমনকি মৃতপ্রসব হওয়া।[১২][১৩]
সাধারণত দিনে অন্তত ৭ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।[১৪][১৫] ঘুম নিয়মিত করতে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার এবং ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হওয়ার জন্য রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে পারেন।
এ সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে আমাদের এই লেখাটা পড়তে পারেন।
আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা
আপনার প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রাম করানোর সময় প্রায় চলে এসেছে। এই পরীক্ষার সাহায্যে আপনার গর্ভের ছবি তোলা হবে। আল্ট্রাসনোগ্রাম থেকে আপনার ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ, গর্ভে একাধিক শিশু আছে কি না, গর্ভের শিশু ঠিকমতো বেড়ে উঠছে কি না—এমন সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।
পরীক্ষাটা করতে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগে। এতে সাধারণত কোনো ব্যথা হয় না। ডাক্তার আপনাকে সাধারণত গর্ভাবস্থার ১০–১৪তম সপ্তাহে প্রথম আলট্রাসনোগ্রাম করানোর পরামর্শ দিবেন।
পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নিবেন, কী কী দেখা যাবে, শিশু ছেলে না কি মেয়ে বোঝা যাবে কি না—এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাদের এই লেখাটা পড়তে পারেন।
খাবারে অরুচি
এসময়ে আপনার কিছু খাবারে, এমনকি প্রিয় কোনো খাবারেও হঠাৎ করেই অরুচি শুরু হতে পারে। হতে পারে যে সেসব খাবার দেখলে বা গন্ধ পেলে আপনার বমি বমি লাগে। এই লক্ষণটা খুব কমন।
তাই দুশ্চিন্তা না করে যেসব খাবার খেতে ভালো লাগে, সেগুলোই খান। সাথে যে খাবারে আপনার অরুচি হয় তার পুষ্টিকর বিকল্প বেছে নিন। যেমন, মাংসে অরুচি হলে এর পরিবর্তে ডাল অথবা ডিম খেতে পারেন—যাতে প্রোটিন আছে। আর যেসব খাবার এমনিতেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, সেগুলোতে অরুচি হলে তো ভালোই হয়!
পেট ফাঁপা
আপনি হয়তো খেয়াল করবেন যে আপনার পেট ফাঁপা লাগছে, ঢেঁকুর হচ্ছে কিংবা বায়ুর সমস্যা হচ্ছে। এসবের পেছনে রয়েছে গর্ভকালীন হরমোনের প্রভাব। এমন একটি হরমোন হলো প্রোজেস্টেরন হরমোন, যার প্রভাবে হজমের সাথে জড়িত পেশিগুলো কিছুটা শিথিল হয়ে আসে এবং হজমের গতি কমে যায়।[১৬][১৭] ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে এবং পেট ফাঁপা লাগে।
আপনার খাবার ও খাবারের অভ্যাসে কিছু সহজ পরিবর্তন পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। একেবারে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খেতে পারেন। খাওয়ার সময়ে ধীরে-সুস্থে খাবেন। খাওয়ার পরে হালকা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।[১৮][১৯]
আরও কিছু সহজ ও কার্যকর সমাধান জানতে আমাদের এই লেখাটি পড়তে পারেন।
অন্যান্য লক্ষণ
এ সপ্তাহের অন্যান্য গর্ভকালীন লক্ষণের মধ্যে থাকতে পারে—
- ঘন ঘন মনমেজাজ বদলানো বা মুড সুইং। এই খুশি, আবার এই মন খারাপ—এমনটা হতে পারে। পাশাপাশি এসময়ে ছোটোখাটো বিষয়ে মন খারাপ লাগা অথবা কান্না করে ফেলার প্রবণতা দেখা দিতে পারে
- স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্ত লাগা
- বমি বমি ভাব বা বমি। একে অনেকসময় ‘মর্নিং সিকনেস’ বলে। তবে এই বমি ভাব দিনের যেকোনো সময়েই হতে পারে
- স্তনে হালকা ব্যথা হওয়া অথবা চাপ দিলে ব্যথা করা
- সাদাস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
- যোনিপথ দিয়ে হালকা রক্তপাত হওয়া। এমন হলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তার দেখাবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা কোনো মারাত্মক কারণে হয় না। তবে কখনো কখনো এটা গর্ভপাতের একটা লক্ষণ হতে পারে
- পিরিয়ড বা মাসিকের ব্যথার মতো তলপেটে মোচড় দিয়ে ব্যথা অনুভব করা
- বুক জ্বালাপোড়া করা ও বদহজম হওয়া
- খাবারের অভ্যাসে লক্ষণীয় পরিবর্তন আসা। হঠাৎ নতুন কোনো খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা দেখা দিতে পারে
- মুখে অদ্ভুত অথবা ধাতব স্বাদ পাওয়া
- মাথা ব্যথা
- মাথা ঘুরানো
- তীব্র ঘ্রাণশক্তি
- মুখে মেছতার মতো বাদামি ও ছোপ ছোপ দাগ পড়া
- ত্বক তেলতেলে হয়ে যাওয়া ও ত্বকে দাগ পড়া
- চুল ঘন ও ঝলমলে হওয়া
এ সপ্তাহে বাবার করণীয়
প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় আপনিও সাথে যান
গর্ভাবস্থায় সাধারণত তিনবার আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলা হয় গর্ভাবস্থার ১০-১৪তম সপ্তাহে। অর্থাৎ এই সপ্তাহে বা আগামী কয়েক সপ্তাহে শিশুর মা প্রথমবারের মত আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষাটি করাবেন।
এই পরীক্ষার সময়ে আপনিও তার সাথে যেতে চেষ্টা করেন। তাহলে শিশু গর্ভে ঠিকমতো বেড়ে উঠছে কি না, তা জানতে পারবেন। সম্ভব হলে হয়তো তার হার্টবিটও শুনতে পারবেন। সাথে আরও বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। যেমন—
- ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ কবে হতে পারে
- গর্ভে যমজ বা একাধিক শিশু আছে কি না
- এই পর্যায়ে শিশুর কোন শারীরিক ত্রুটি আছে কি না। যেমন: মেরুদণ্ড ঠিকমতো বন্ধ না হওয়া (স্পাইনা বিফিডা)
ঘুমানোর তিন ঘন্টা আগে রাতের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন
এ সময়ে আপনার সঙ্গীর বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত খাওয়ার পর পরই শুয়ে পড়লে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই আপনারা দুইজন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত তিন ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।[২০]
রাতের খাবার শোয়ার ৩–৪ ঘন্টা আগে খেয়ে নিলে বুক জ্বালাপোড়া হওয়ার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। পাশাপাশি রাতের খাবার দুইজনে একসাথে খাওয়ার সময়ে সারাদিনের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হালকা গল্প করতে পারেন। এতে করে দুইজনের মনও কিছুটা হালকা হবে। এ ছাড়াও আপনার সঙ্গী দিনের বেলা খাওয়ার পরও যেন তিন ঘন্টার মধ্যে শুয়ে না পড়ে সে বিষয়ে তাকে অনুরোধ করতে পারেন।
খাবারে স্বাস্থ্যকর বিকল্প খুঁজতে সাহায্য করুন
এসময়ে শিশুর মায়ের কিছু খাবারে অরুচি দেখা দিতে পারে। কিছু খাবার হয়তো তার একেবারেই সহ্য হবে না। এর মধ্যে থাকতে পারে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার, যা ডায়েট থেকে সাময়িকভাবে বাদ দিতে হবে। কিন্তু সেসবের পুষ্টি থেকে যেন বঞ্চিত না হন, সেজন্য যে খাবারে শিশুর মায়ের অরুচি হয় সেগুলোর পুষ্টিকর বিকল্প খুঁজে বের করুন।
যেমন, ইলিশ মাছে অরুচি হলে চাপিলা ও পুঁটির মতো বিকল্প বাজার থেকে কিনে আনতে পারেন। এর সবগুলোই তৈলাক্ত মাছ, যা গর্ভের শিশুর জন্য খুব উপকারী।[২১][২২],
মাংসে অরুচি হলে তার পরিবর্তে ডাল অথবা ডিম খেতে পারেন—যাতে প্রোটিন আছে। বাজার করা যদি আপনার দায়িত্ব হয়, তাহলে সঙ্গীর রুচি-অরুচির কথা মাথায় রেখেই বাজারের লিস্ট তৈরি করবেন।
শিশুর মায়ের ঘুমানোর পরিবেশ সৃষ্টিতে সাহায্য করুন
আপনার সঙ্গী প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘন্টা ঘুমাতে পারছে কি না সেদিকে লক্ষ রাখুন।[২৩][২৪] এসময়ে নিয়মিত ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
আপনার সঙ্গী যখন ঘুমাচ্ছে তখন চেষ্টা করুন ঘরের বাতি নিভিয়ে ফেলতে। জানালায় ভারী পর্দা লাগাতে পারেন, যাতে বাইরে থেকে আলো না আসে। সঙ্গীর ঘুমানোর সময়ে বিছানায় বসে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকুন। কেননা এসবের উজ্জ্বল আলো ঘুম আসতে বাধা দিতে পারে। সম্ভব হলে নিজের ঘুমের শিডিউল সঙ্গীর ঘুমানোর সময়ের সাথে মিলিয়ে নিন।
গর্ভাবস্থায় ঘুম নিয়ে আরও জানতে আমাদের এই লেখাটি পড়তে পারেন।