এ সপ্তাহের হাইলাইটস
প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে ফেলুন
গর্ভধারণের সবচেয়ে কমন লক্ষণগুলোর মধ্যে একটা হলো সময়মত মাসিক না হওয়া। এ সপ্তাহে আপনার মাসিক সময়মত শুরু না হলে বাসায় বসেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে ফেলুন।
ডাক্তারের কাছে চেকআপে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন
কী করলে মা ও শিশু সুস্থ থাকবে, কোন ওষুধ খেতে হবে, কোন পরীক্ষা করতে হবে, এসব জানার জন্য গর্ভধারণের পর পরই দ্রুত ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। কোন ডাক্তার দেখালে ভালো হবে সে ব্যাপারে আপনার সঙ্গীর সাহায্য নিতে পারেন।
আয়রন-ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়া চালিয়ে যান
গর্ভের শিশুর ব্রেইন, স্নায়ুতন্ত্র ও অন্যান্য অঙ্গ যাতে স্বাভাবিকভাবে গড়ে ওঠে, সেজন্য নিয়মিত আয়রন–ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়া চালিয়ে যান।[১]
- মাসে কত দিন? ১ মাস ১ সপ্তাহ
- কোন ট্রাইমেস্টার? প্রথম ত্রৈমাসিক
- আর কত সপ্তাহ বাকি? ৩৫
৫ সপ্তাহে বাচ্চার বৃদ্ধি
বাইরে থেকে তেমন বোঝা না গেলেও আপনার গর্ভের শিশু খুব দ্রুত বেড়ে উঠছে। তবে সে আকারে এখনো খুব ছোটো—কেবল একটা তিলের দানার সমান লম্বা (২ মিলিমিটারের কাছাকাছি)।
এ সপ্তাহে শিশুর হার্ট বিট করা শুরু করবে
আপনার শিশুর হার্ট বা হৃৎপিণ্ড তৈরি হতে শুরু করেছে। এ সপ্তাহে তার ছোট্ট হার্ট জীবনে প্রথমবারের মতো স্পন্দিত হবে![২][৩] পাশাপাশি শিশুর কিছু নিজস্ব রক্তনালী ইতোমধ্যেই তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে।[৪]
আপনার ছোট্টমণির শরীর নিজস্ব রূপ নিতে শুরু করেছে
আপনার শিশুর শরীর এখন হাতেগোনা কিছু কোষ দিয়ে তৈরি। তবে এর মধ্যেই সে একটা ছোট্ট শিশুর রূপ নিতে শুরু করেছে। এখন তার মাথা বড় হচ্ছে, মুখের নিজস্ব আদল তৈরি হচ্ছে। শিশুর ব্রেইন ও স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য অংশও দ্রুত বিকশিত হচ্ছে।
শরীরের সবগুলো অঙ্গের ভিত তৈরি হচ্ছে
গত সপ্তাহে শিশুর দেহের কোষগুলো মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করা ছিল—বাইরের কোষ আর ভেতরের কোষ। ভেতরের কোষগুলো থেকে ধীরে ধীরে শিশুর দেহের বিভিন্ন অঙ্গ তৈরি হচ্ছে। অঙ্গ তৈরির এই কোষগুলো এ সপ্তাহে তিনটি স্তরে ভাগ হয়ে যাবে।[৫] শুনতে একটু আশ্চর্য লাগতে পারে, কিন্তু এই তিনটি স্তর থেকেই এক এক করে আপনার ছোট্টমণির সবগুলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হয়ে যাবে!
৫ সপ্তাহে মায়ের শরীর
বাইরে থেকে কেউ হয়তো আপনার মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ করছে না। এমনকি আপনি নিজেও হয়তো এখনো সেভাবে কিছু টের পাচ্ছেন না। কিন্তু আপনার শরীরের ভেতরে এখন কিছু অসাধারণ ঘটনা ঘটছে—একটা নতুন জীবন গড়ে উঠছে!
মাসিক হতে দেরি হওয়া
পিরিয়ড বা মাসিক সময়মতো না হওয়ায় আপনি হয়তো এ সপ্তাহে গর্ভধারণের ব্যাপারটা আঁচ করতে পারেন। অবশ্য আপনার মাসিক যদি প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে না হয়ে কিছুটা আগে বা পরে হয়, তাহলে গর্ভধারণের ব্যাপারটি টের পেতে আরও একটু সময় লাগতে পারে।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট
সময়মতো মাসিক না হলে অথবা গর্ভধারণ করেছেন বলে ধারণা করলে, বাড়িতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করান। অনেকে এটাকে কাঠি পরীক্ষা নামে চেনেন। মাসিক মিস হওয়ার প্রথম দিনই আপনি এই পরীক্ষা করাতে পারেন।
সচরাচর যেসব প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট পাওয়া যায়, সেগুলোর প্যাকেটের ভেতরে ১–২টা লম্বা কাঠি থাকে। কাঠিতে প্রস্রাব করার কয়েক মিনিটের মধ্যে কাঠির নির্ধারিত স্থানে ফলাফল ভেসে ওঠে। তবে ব্র্যান্ডভেদে প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের ব্যবহারবিধি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
তাই আগে প্যাকেটের ভেতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার পদ্ধতি পড়ে নিবেন। এরপর সহজেই ঘরে বসে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে ফেলতে পারবেন।
ফলাফল পজিটিভ আসলে অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে আপনি গর্ভবতী। তবে ফলাফল নেগেটিভ আসলে আপনি গর্ভবতী নন তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না, কারণ নেগেটিভ আসার পেছনে আরও কিছু কারণ থাকতে পারে।
প্রেগন্যান্সি টেস্টের ফলাফল বের করা নিয়ে আরও জানতে আমাদের এই লেখাটি পড়তে পারেন।
ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং
গর্ভধারণ করলে মাসিকের রাস্তা দিয়ে হালকা রক্তপাত হতে পারে। মায়ের জরায়ুর গায়ে যখন ভ্রূণ এসে গেঁথে বসে, তখন এই রক্তপাত দেখা দেয়। এটাকে ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং বলে। যখন মাসিক হওয়ার কথা, সেই সময়ের আশেপাশে এই রক্তপাত দেখা দেয়। ফলে এটাকে অনেকে ভুলে মাসিকের রক্তপাত মনে করেন। তবে সবার ক্ষেত্রে এই ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং দেখা যায় না।
আপনার যদি মনে হয় যে, মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্তপাতের ধরন বা প্যাটার্নটা অন্য সময়ের মাসিকগুলোর সাথে মিলছে না, তাহলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নিতে পারেন।
প্রথম চেকআপ
গর্ভধারণের পর যত দ্রুত সম্ভব চেকআপ করানো প্রয়োজন। আপনার সুস্বাস্থ্য ও গর্ভের শিশু সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য এই চেকআপ খুবই জরুরি।[৬] তাই প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ আসার পর পরই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। কোন ডাক্তার দেখাবেন এখনো ঠিক করে না থাকলে এ সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন। এ বিষয়ে আপনার সঙ্গীর সহায়তা নিতে পারেন।
চেকআপে আপনাকে কিছু রক্ত পরীক্ষা আর প্রস্রাব পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেয়া হবে, যাতে রক্তস্বল্পতা বা প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশনের মত কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো আগেভাগেই ধরে ফেলে চিকিৎসা করা যায়।
কীভাবে এই চেকআপের জন্য প্রস্তুতি নিবেন, কোথায় এই চেকআপ করাতে পারবেন, এবং চেকআপে কী কী করা হয়—এসব নিয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের গর্ভকালীন চেকআপ লেখাটি পড়ুন।
গর্ভধারণ করার পর মানসিক অবস্থা
আপনি গর্ভবতী—এটা জানার পর মনে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি একটু-আধটু চিন্তাও ঘোরাঘুরি করতে পারে। এসময়ে দুশ্চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক। এসব চিন্তা-দুশ্চিন্তা নিজের মধ্যে না রেখে আপনার সঙ্গী কিংবা পরিবারের বিশ্বস্ত কোনো সদস্যের সাথে ভাগাভাগি করে নিন।
ডাক্তারকেও আপনার মানসিক অবস্থার কথা জানাতে পারেন। মনকে হালকা করার জন্য পছন্দের গান অথবা আবৃত্তি শুনতে পারেন। মেডিটেশন ও নিঃশ্বাসের ব্যায়ামও করতে পারেন।
অন্যান্য লক্ষণ
গর্ভধারণের পর ভ্রূণের কোষগুলো বিশেষ এক ধরনের হরমোন তৈরি করে, যার নাম সংক্ষেপে এইচসিজি (hCG)। এই হরমোনের ফলে মাসিক হওয়া বন্ধ হয়। পাশাপাশি ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নামের হরমোনগুলোও আপনার দেহে এখন বেশি পরিমাণে আছে। এসব হরমোনের প্রভাবে মাসিক বন্ধ থাকার পাশাপাশি আপনার শরীরে গর্ভাবস্থার আরও কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
এসব লক্ষণ থেকে গর্ভধারণের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে অনুমান করা যায়। কয়েকটা লক্ষণ আপনার মধ্যে থাকতে পারে, আবার কোনো লক্ষণই দেখা না-ও দিতে পারে। সবগুলোই স্বাভাবিক। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে—
- স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্ত লাগা
- স্তনে হালকা ব্যথা হওয়া বা চাপ দিলে ব্যথা করা
- বমি বমি ভাব বা বমি। একে অনেকসময় মর্নিং সিকনেস বলে। তবে এই বমি ভাব দিনের যেকোনো সময়েই হতে পারে
- খাবারের অভ্যাসে লক্ষণীয় পরিবর্তন আসা। হঠাৎ প্রিয় কোনো খাবারে অরুচি কিংবা নতুন কোনো খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা দেখা দিতে পারে। আবার নির্দিষ্ট কিছু খাবারের গন্ধে বমি বমিও লাগতে পারে
- ঘন ঘন মনমেজাজ বদলানো বা মুড সুইং। এই খুশি, আবার এই মন খারাপ—এমনটা হতে পারে। পাশাপাশি এসময়ে ছোটোখাটো বিষয়ে মন খারাপ লাগা অথবা কান্না করে ফেলার প্রবণতা দেখা দিতে পারে
- যোনিপথ দিয়ে হালকা রক্তপাত হওয়া। এমন হলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তার দেখাবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা কোনো মারাত্মক কারণে হয় না। তবে কখনো কখনো এটা গর্ভপাতের একটা লক্ষণ হতে পারে।
- ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসা
- মুখে অদ্ভুত/ধাতব স্বাদ পাওয়া
- তীব্র ঘ্রাণশক্তি
- সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
- পিরিয়ড বা মাসিকের ব্যথার মতো তলপেটে মোচড় দিয়ে ব্যথা অনুভব করা
- পেটে অস্বস্তি বা পেট ফাঁপা হয়েছে এমন মনে হওয়া
- মুখে মেছতার মতো বাদামি রঙের ছোপ ছোপ দাগ পড়া
- ঘন ও ঝলমলে চুল
এ সপ্তাহে বাবার করণীয়
আপনার সঙ্গী হয়তো এ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ধারণা করতে পারবেন যে তিনি গর্ভবতী। পরিবারে নতুন সদস্য যোগ হওয়ার সংবাদটি একদিকে যেমন আনন্দ-উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করতে পারে, তেমনি নানান চিন্তা ও ভয় এসে হাজির হতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সঙ্গীর পাশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
ডাক্তারের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে সহায়তা করুন
গর্ভধারণের পরে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। কোন ডাক্তার দেখালে ভালো হবে, আপনার সঙ্গীকে এই সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করুন। যেসকল ডাক্তার দেখানোর সুযোগ আছে, তাদের কয়েকজনের ব্যাপারে খোঁজখবর নিন। তারা কোথায় বসেন, কোথায় ডেলিভারি করান, ছুটিতে গেলে কাকে দায়িত্ব দিয়ে যান, ডেলিভারিতে খরচ কেমন লাগে—এ বিষয়গুলো জানা থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।
গর্ভকালীন চেকআপে সঙ্গীর সাথে আপনিও যান
গর্ভকালীন চেকআপগুলোতে আপনিও সাথে যাওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে প্রথম চেকআপটা মিস করবেন না। কারণ এই চেকআপে গর্ভাবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কী কী নিয়ম মেনে চলা লাগবে, কোন কোন ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন, কোথায় কোন টেস্ট করাতে হবে, কত ঘন ঘন ডাক্তার দেখাতে হবে, জরুরি অবস্থায় কোথায় যোগাযোগ করবেন—এসব নিয়ে আলোচনা হয়, যা আপনারও জানা থাকা প্রয়োজন।
চেকআপের দিনক্ষণ অনুযায়ী আগে থেকেই সময় বের করে রাখুন। রাস্তার ট্র্যাফিক ও সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষার সময়টা হিসাব করতে ভুলবেন না। অফিসে কাজ করলে আগে থেকেই বিষয়টা জানিয়ে রাখুন। প্রয়োজনে আধাবেলা ছুটি নিয়ে রাখতে পারেন।
গর্ভকালীন সময়ের সুন্দর স্মৃতিগুলো সাজিয়ে রাখুন
এই সময়টাতে শিশুর জন্য একটা সুন্দর উপহার তৈরি করা শুরু করতে পারেন। শিশু গর্ভে থাকা অবস্থায় আপনাদের সুন্দর স্মৃতিগুলো একটা জায়গায় গুছিয়ে রাখুন। যেমন, যেদিন আপনারা গর্ভধারণের বিষয়টা জানতে পেরেছেন, সেদিনের খবরের কাগজের প্রথম পাতাটা হয়তো রেখে দিলেন।
শিশুর কী কী নাম রাখার চিন্তা করছেন সেগুলো ছোটো ছোটো কাগজে লিখে রাখতে পারেন। ছোট্টমণির বিষয়ে নেওয়া এমন ছোটো-বড় নানান সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা তুলে রাখতে পারেন।
এটা গর্ভধারণের পুরো যাত্রার একটা রেকর্ড হয়ে থাকবে। এখন কাজটা খুব সামান্য মনে হতে পারে। কিন্তু অনেক বছর পর যখন আপনার শিশু বড় হয়ে যাবে, তখন তার জন্য এটা অসাধারণ স্মৃতিগুলোর ভাণ্ডার হয়ে থাকবে।
গর্ভধারণের সংবাদ অন্যদের জানাবেন কি না সিদ্ধান্ত নিন
আপনি হয়তো বাবা হওয়ার খবরটা অন্যদের জানাতে মুখিয়ে আছেন। কিন্তু শিশুর মা এখনই অন্যদের সাথে এই খবরটা ভাগাভাগি করে নিতে প্রস্তুত কি না, সেটা না জেনে খবরটা শেয়ার না করাই ভালো।
তার মনে হয়তো প্রথমদিকে মিসক্যারেজের সম্ভাবনা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকতে পারে। আরও অনেক কারণে সংকোচ ভর করতে পারে। তাই দুজনে মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন কবে নাগাদ সুসংবাদটা অন্যদের জানাবেন।
বাবা হওয়ার সংবাদ পেলে কী বলবেন
প্রথম যখন আপনি বাবা হওয়ার কথাটা জানতে পারবেন, তখন আপনার সঙ্গীকে কী বলবেন তা আগে থেকেই ভেবে রাখতে পারেন। শিশুর মা যেমন আবেগ নিয়ে আপনাকে বিষয়টা জানাবেন, আপনিও সেই আবেগের প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করতে পারেন। সঙ্গীর উচ্ছ্বাসে আপনিও উচ্ছ্বাস দেখানোর চেষ্টা করুন।
সঙ্গী দুশ্চিন্তায় থাকলে অন্তত প্রথম কয়েক মিনিট আপনার উচ্ছ্বাস কিছুটা দমিয়ে রাখতে পারেন। এসময়ে উৎসাহ দেওয়ার মতো দুই-একটা সাপোর্টিভ কথা বলতে পারেন। যেমন, নতুন অতিথি কিভাবে আপনাদের পরিবারকে আনন্দে রাঙিয়ে তুলবে, তা নিয়ে কথা বলে পরিবেশ হালকা করার চেষ্টা করতে পারেন।