গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা খুব কমন সমস্যা না হলেও, গর্ভবতীরা এই সমস্যাটিরও সম্মুখীন হতে পারেন। আর দশ জনের যেসব কারণে পাতলা পায়খানা হয়, গর্ভবতী নারীরও একই কারণে পাতলা পায়খানা হতে পারে।
সেই সাথে গর্ভাবস্থার বিশেষ কিছু বিষয়ও ডায়রিয়া হওয়ার পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে বেশি বেশি পানি খেয়ে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পারলে সাধারণত ডায়রিয়া গুরুতর কোনো সমস্যা তৈরি করে না।
ডায়রিয়া বলতে ঘন ঘন—দিনে তিন বার বা তার বেশি—পাতলা পায়খানা হওয়া বোঝায়।[১][২] পায়খানা স্বাভাবিক পায়খানার চেয়ে কিছুটা নরম হতে পারে আবার একেবারে তরলও হতে পারে। সেই সাথে আপনার পেটে ফোলা ফোলা ভাব, বমি বমি ভাব ও পেটে ব্যথা থাকতে পারে। পেট মোচর দিচ্ছে বলে মনে হতে পারে। ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়ার তাগিদ থাকতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া হওয়ার কারণ
সাধারণ সময়ে যে সকল কারণে পাতলা পায়খানা হয় সেগুলো গর্ভাবস্থাতেও ডায়রিয়া ঘটাতে পারে। যেমন—
- খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিং[৩]
- ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত পরিপাকতন্ত্রের অন্য কোনো রোগ
- ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। যেমন: অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে ডায়রিয়া হতে পারে[৪][৫][৬]
- দূরে যাতায়াত ও যাত্রাপথে খাদ্যাভ্যাসে গড়বড় হলে ‘ট্রাভেলার’স ডায়রিয়া’ হতে পারে
- ‘ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট’, অর্থাৎ দুগ্ধজাতীয় খাবার হজমে যাদের সমস্যা হয় তারা দুধ বা দুধের তৈরি কোনো খাবার খেলে ডায়রিয়া হতে পারে[৭][৮]
- ক্যাফেইন, অর্থাৎ চা-কফি জাতীয় পানীয় সেবনে অনেকের ডায়রিয়া হতে পারে বা ডায়রিয়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে[৯]
- অন্যান্য কিছু শারীরিক সমস্যা ডায়রিয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। যেমন: ক্রোন্স ডিজিজ[১০], সিলিয়াক ডিজিজ[১১], আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম[১২], হাইপার-থাইরয়েডিজম[১৩]
তবে গর্ভাবস্থায় পাতলা পায়খানা হওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো ছাড়াও আরও কিছু বিশেষ বিষয়ের ভূমিকা থাকতে পারে, যেগুলো গর্ভাবস্থার সাথেই সম্পৃক্ত। যেমন—
- শারীরিক পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে থাকে। এসময় আপনার বাড়ন্ত জরায়ু আপনার পেটের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। গর্ভাবস্থায় পরিপাক নালীর ভেতরে খাবারের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হতে পারে, এর ফলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। যেমন: বুক জ্বালাপোড়া, বমি বমি ভাব ও বমি, পেটের অস্বস্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য, অথবা ডায়রিয়া।[১৪]
- খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: গর্ভবতী হওয়ার পর দেখা যায় মায়েরা কী খাচ্ছেন, না খাচ্ছেন—তা নিয়ে সচেতন হয়ে যান। অনেকে হঠাৎ করে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস থেকে পুষ্টিকর, আঁশযুক্ত খাদ্যাভ্যাসে সরে আসেন। হঠাৎ এমন পরিবর্তনে মানিয়ে নেওয়া আপনার পরিপাকতন্ত্রের জন্য কঠিন হতে পারে এবং আপনার ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ও মিনারেলের ট্যাবলেট: গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি সঠিক মাত্রায় নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ট্যাবলেট দেওয়া হয়। যেমন: ফলিক এসিড, আয়রন, জিংক। এসব ট্যাবলেট আপনার সন্তানের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এগুলো শরীরে কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
গর্ভাবস্থার ভিটামিন ট্যাবলেট সেবনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বমি বমি ভাব, বমি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর পাশাপাশি ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে।[১৫]
গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়ার ঘরোয়া চিকিৎসা
অনেকসময় অল্প মাত্রার ডায়রিয়া দুই একদিনের মতো সময় দিলে নিজেই সেরে যায়। তবে গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব অথবা বুক জ্বালাপোড়ার মতো পাতলা পায়খানাও শুধু একটি অস্বস্তিকর উপসর্গ হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়ার ঘরোয়া চিকিৎসায় যেসব নিয়ম মেনে চলতে পারেন——
১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও তরল খাবার খাওয়া
ডায়রিয়া হলে পায়খানার সাথে বিপুল পরিমাণ পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়। শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বের হয়ে যাওয়া পানি পুনরায় পূরণ করার জন্য বেশি করে পানি পান করতে হবে।
পানির সাথে বিভিন্ন তরল খাবারও (যেমন: স্যুপ অথবা জুস) খাওয়া যেতে পারে। তবে চা, কফি কিংবা দুধ ও দুধের তৈরি খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এগুলো ডায়রিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে।[১৬]
২. সহজে হজম করা যায় এমন খাবার খাওয়া
যেসব খাবার সহজেই হজম হয়ে যায় সেগুলো খেলে আপনার পরিপাকতন্ত্রে বাড়তি কোনো চাপ পড়বে না। এসব খাবারের মাঝে রয়েছে—
- কাচঁকলা
- সাদা ভাত
- টোস্ট বিস্কুট
- সিদ্ধ আলু
- মুরগি বা সবজির স্যুপ—এগুলো বাজারে প্যাকেট আকারে পাওয়া যায় যা সহজে শুধুমাত্র গরম পানি দিয়েই তৈরি করে নেওয়া সম্ভব
পেট খারাপ হলে অনেকে খাবারের তালিকায় কেবল সাদা ভাত কিংবা জাউ ভাত রাখে। এর পরিবর্তে ভাতের সাথে সিদ্ধ অথবা রান্না করা কাঁচকলা মিশিয়ে খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কাঁচকলা পাতলা পায়খানা ও বমি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।[১৭]
ডায়রিয়া অথবা বমি হলে শরীর থেকে পানি ও অন্যান্য লবণের সাথে পটাশিয়ামও বেরিয়ে যায়। পাকা কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, এটি হজম করাও সহজ। একারণে পটাশিয়াম এর অভাব পূরণ করতে পাকা কলাও খেতে পারেন।
খেয়াল করুন, ডায়রিয়া হলে পাতলা পায়খানা কমানোর যেসব খাবার খাওয়ার উপদেশ দেওয়া হয় সেগুলো বেশি খাওয়া হয়ে গেলে আবার কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। তাই পরিমিত ভাবে এসব খাবার খেতে হবে এবং সেই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি শরীরকে সক্রিয় রাখতে হবে।
একই সাথে কিছু খাবার সতর্কভাবে এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন—
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
- অতিরিক্ত ঝাল খাবার
- তৈলাক্ত খাবার
- ভাজা-পোড়া খাবার
পাতলা পায়খানা হলে খাবার দাবার কেমন হওয়া উচিৎ তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে পেটের গণ্ডগোল হলে যা খাবেন আর্টিকেলটি পড়ুন।
৩. খাবার স্যালাইন
সাধারণত প্রতিবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর এক প্যাকেট ওরস্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে খাওয়ার উপদেশ দেওয়া হয়। বাসায় খাবার স্যালাইনের প্যাকেট না থাকলেও ঘরোয়া উপায়ে খাবার স্যালাইন তৈরি করে নিতে পারেন।
এ ছাড়া চিড়ার পানি, ভাতের মাড় কিংবা ডাবের পানিও খাওয়া যেতে পারে। ভাতের মাড়ে সামান্য লবণ দিতে পারেন। বমি ভাব হলে স্যালাইন ছোটো ছোটো চুমুকে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।[১৮]
৪. পরিছন্নতা বজায় রাখা
পাতলা পায়খানা হলে আপনার পরিপাকতন্ত্র থেকে জীবাণু সহজে প্রস্রাবের রাস্তায় যেয়ে ইনফেকশন করার আশংকা থাকে। তাই পাতলা পায়খানা হলে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। প্রতিবার পায়খানার পর পানি দিয়ে সামনে থেকে পেছনের দিকে ভালো মতো ধুয়ে নিবেন। বাথরুম থেকে বের হওয়ার আগে সাবান অথবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিবেন।
গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়ার জন্য ঔষধ
সাধারণত গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়ার জন্য কোনো ঔষধ ব্যবহার করা হয় না। খাবার স্যালাইন, পানি ও তরল খাবার দিয়ে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করাই এর চিকিৎসা।
খুব গুরুতর অবস্থায় ‘লোপেরামাইড’ নামক একটি ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে তা একেবারে কম পরিমাণে।[১৯][২০] গবেষণায় এখনো গর্ভাবস্থায় এই ঔষধটির নিরাপত্তা নিয়ে খুব বেশি জানা যায়নি। তাই পারতপক্ষে গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধটির ব্যবহার না করাই ভালো।[২১]
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
সাধারণত ডায়রিয়া স্বল্প মাত্রায় হয়ে অল্প সময়ের মাঝে নিজে নিজে সেরে যায়। তবে নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে[২২]—
- ডায়রিয়া দুইদিনের বেশি সময় স্থায়ী হলে[২৩]
- ২৪ ঘন্টায় ৬ বার কিংবা তার চেয়ে বেশি পাতলা পায়খানা হলে
- পেটে প্রসবের টানের মতো টান অনুভূত হয়
- গর্ভের সন্তানের নড়াচড়া কমে যায়
- তাপমাত্রা ১০২.২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে[২৪]
- পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দেয়
- বারবার বমি হতে থাকে[২৫]
- পায়খানার সাথে লাল রক্ত গেলে কিংবা আলকাতরার মতো কালো আঠালো পায়খানা হলে
- পায়খানার সাথে পুঁজ গেলে[২৬]
- তলপেটে কিংবা পায়খানার রাস্তায় যদি প্রচণ্ড ব্যথা হয়
- ডায়রিয়া সেরে যাওয়ার পরিবর্তে আরও বাড়তে থাকে
পানিশূন্যতার লক্ষণ
কিছু ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ভয়াবহ আকারে হতে পারে যার ফলে পায়খানার সাথে অনেক বেশি পরিমাণে পানি শরীর থেকে হারিয়ে যায়। এই পানিশূন্যতাই ডায়রিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ জটিলতা।
পানিশূন্যতার ফলে শরীরে, বিশেষ করে রক্তে লবণের মাত্রায়, নানান ধরনের অস্বাভাবিকতা তৈরি হতে পারে যা আপনার জন্য বিপজ্জনক। তাই পাতলা পায়খানা হলে বেশি করে পানি ও তরল খাবার খেয়ে শরীরের পানির অভাব পূরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পানিশূন্যতা তৈরি হলে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে[২৭]—
- ঘন ঘন পিপাসা পাওয়া
- মুখ শুকিয়ে যাওয়া
- স্বাভাবিকের চেয়ে কম পরিমাণে প্রস্রাব হওয়া
- গাড় রঙের প্রস্রাব
- ক্লান্তি
- মাথা ঘুরানো
- চামড়ায় চিমটি দিয়ে ধরে কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে তা সাথে সাথে পূর্বের অবস্থানে ফিরে না যাওয়া বা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগা
- চোখ দেবে যাওয়া বা কোটরের ভেতরে ঢুকে গেছে বলে মনে হওয়া
এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া নিয়ে কিছু প্রচলিত ধারণা
ডায়রিয়া গর্ভধারণের একটি লক্ষণ
গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে শরীরের হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন হওয়ার ফলে পেটের কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে যার মধ্যে পাতলা পায়খানাও রয়েছে। তবে ডায়রিয়া কখনোই গর্ভধারণের সুনির্দিষ্ট লক্ষণ নয়।
গর্ভবতী হলে আপনি প্রথম যেই উপসর্গ খেয়াল করতে পারেন সেটি হলো পিরিয়ড বাদ যাওয়া। এ ছাড়া স্তনে ব্যথা হওয়া, মাথা ঘুরানো, বমি বমি লাগা—এরকম কিছু উপসর্গ আপনি লক্ষ করে থাকতে পারেন। তারপর, প্রেগন্যান্সি টেস্টের মাধ্যমে গর্ভধারণ নিশ্চিত করা যায়।
পড়ুন: গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
ডায়রিয়া গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়
অনেকসময় ডায়রিয়া হলে গর্ভবতী নারীরা দুশ্চিন্তায় পরে যান যে, এর ফলে গর্ভের সন্তানের উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে অথবা গর্ভপাত হতে পারে। পাতলা পায়খানার সাথে পেটে ব্যথা হলে সেই ব্যথা গর্ভপাতের ব্যথার মতো মনে হতে পারে।
তবে আপনার প্রজননতন্ত্র ও পরিপাক নালি শরীরের সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইটি অঙ্গ-তন্ত্র। গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া হলে যদি পানিশূন্যতা ও ইনফেকশনের জন্য যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া হয় তা হলে সাধারণত গর্ভাবস্থার উপর এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।
গর্ভাবস্থার শেষের দিকে ডায়রিয়া প্রসবের লক্ষণ
প্রোস্টাগ্ল্যানডিন আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক উপাদান যা প্রসবেও সহায়তা করে। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে শরীরে এর মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে পাতলা পায়খানা হতে পারে।[২৮] সাধারণত প্রসবের দুই একদিন আগে এমন হয়ে থাকে, তবে সবার ক্ষেত্রে এমনটা নাও হতে পারে।
তাই গর্ভাবস্থার শেষের দিকে ডায়রিয়া হলে প্রসবের সময় কাছে চলে এসেছে বলে ধারনা করা যেতে পারে। তবে প্রসব শুরু হওয়ার আরও জোরালো কিছু লক্ষণ রয়েছে যা আপনাকে প্রসবের প্রস্তুতি নিতে আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে সহায়তা করবে। যেমন: পেটে টান বা প্রসব ব্যথা অনুভব করা, পানি ভাঙা, রক্ত মিশ্রিত স্রাব নির্গত হওয়া।
পড়ুন: প্রসবের লক্ষণ