অসুস্থ অবস্থায় ও বিশেষ সময়ে ডায়াবেটিস রোগীর যত্ন

আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডায়াবেটিস শুধুমাত্র একটি রোগ নয় বরং জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। অসুস্থ অবস্থায় ও বিশেষ সময়ে—যেমন বাড়ির বাইরে থাকাকালীন সময়ে, জরুরী অবস্থা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে, গর্ভধারণ করতে চাইলে অথবা গর্ভাবস্থায়—কীভাবে রোগীর যত্ন নিতে হবে সেটি জানা একজন ডায়াবেটিক রোগী ও তার পরিজনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

অসুস্থ অবস্থায়

অসুস্থ হলে শরীরের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। শরীর এই অসুস্থতা ও চাপ মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে। এসব হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে গেলে তা রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়াও ঠান্ডা-জ্বর, সর্দি-কাশি, ফ্লু অথবা অন্য কোনো ইনফেকশন রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

অসুস্থ থাকাকালীন সময়ে ডায়াবেটিস কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন সেই ব্যাপারে আগেভাগে একটি পরিকল্পনা করে রাখা উচিত। এক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হিসেবে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে নিচের বিষয়গুলো লিখে রাখতে হবে—

  • রক্তে সুগারের মাত্রা দৈনিক কয়বার মাপতে হবে
  • রক্ত অথবা প্রস্রাবের ‘কিটোন’ পরীক্ষা করাতে হবে কি না
  • ডায়াবেটিসের ঔষধের ডোজ পরিবর্তন করতে হবে কি না
  • খাওয়া দাওয়া কীভাবে করতে হবে
  • ডাক্তারের সাথে কখন যোগাযোগ করতে হবে

ইনসুলিন ব্যবহারকারী হলে করণীয়

  • অসুস্থ অবস্থায়—এমনকি বমি করলেও ইনসুলিন নেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
  • রক্তের সুগারের মাত্রার ভিত্তিতে কীভাবে ইনসুলিনের ডোজ ঠিক করতে হবে সেটি ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।

পড়ুন: ইনসুলিন কিভাবে নিতে হয়

ডায়াবেটিসের ঔষধ সেবনকারী হলে করণীয়

অসুস্থ অবস্থায়—এমনকি বমি করলেও ডায়াবেটিসের ঔষধ খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে।

অনেকে অসুস্থ হলে ঠিকমতো খাবার খেতে পারেন না। অনেকের মনে হতে পারে যে খেলে বমি হয়ে যাবে, এজন্য তারা ঠিকমতো খাবার খান না। এর ফলে রক্তে সুগারের লেভেল কমে যেতে পারে। শর্করাযুক্ত খাবার ও পানীয় খাওয়ার মাধ্যমে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে ‘হাইপো’ হওয়ার ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ডায়াবেটিস এর রোগী কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তার সাধারণত নিচের পরামর্শগুলো দিয়ে থাকেন—

  • দিনে অন্তত চারবার রক্তের সুগার মাপতে হবে এবং প্রতিবারের ফলাফল ডায়েরিতে লিখে রাখতে হবে। এই ডায়েরি হাতের কাছে রাখা উচিত, যেন সহজেই ডাক্তারকে দেখানো যায়।
  • ঠিকমতো খাবার খেতে না পারলেও ডায়াবেটিসের ঔষধ সেবন করা চালিয়ে যেতে হবে।
  • রোগী প্রতিদিন যতক্ষণ জেগে থাকে ততক্ষণ প্রতি ঘন্টায় অন্তত এক কাপ পানি পান করতে হবে। 
  • স্বাভাবিক খাবার খেতে না পারলে রক্তের সুগার কমে যাওয়া প্রতিরোধ করার জন্য নিচের যেকোনো পানীয় অথবা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন—
  • ফলের জুস
  • ক্র্যাকারস বিস্কুট
  • শুকনো টোস্ট
  • মুরগির অথবা সবজির পাতলা স্যুপ
  • ললি জাতীয় আইসক্রিম
  • দুধ ও দই
  • কোমল পানীয়। যেমন: কোক, পেপসি, ফান্টা ও সেভেন আপ (ডায়েট বা জিরো সুগার নয়)

এ ছাড়াও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে সেটি ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন।

পড়ুন: ডায়াবেটিস নিয়ে কমন প্রশ্নের উত্তর

নিচের ৭টি ক্ষেত্রে দেরী না করে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে—

  • ডায়াবেটিসের ঔষধ নেওয়ার পরও যদি রক্তে সুগারের মাত্রা ১১ পয়েন্ট (mmol/l) এর চেয়ে বেশি থাকে
  • প্রস্রাব অথবা রক্তে ‘কিটোন’ এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে
  • একাধিকবার বমি হয়
  • ৬ ঘন্টার বেশি সময় ধরে ডায়রিয়া থাকে
  • শ্বাসকষ্ট হয়
  • জ্বর বা গায়ের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়
  • ঠিকমতো চিন্তা করতে সমস্যা হয় অথবা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঝিমুনি আসে

স্কুলে অথবা কাজে থাকলে

স্কুলে অথবা কাজে থাকা অবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়—

  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা মেনে চলুন।
  • নিয়মমাফিক ডায়াবেটিস এর ঔষধ সেবন করুন। প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসুলিন নিন এবং রক্তের সুগার মাপুন।
  • শিক্ষক, বন্ধু ও কাছের সহকর্মীদের জানিয়ে রাখতে হবে যে আপনার ডায়াবেটিস আছে। তাদের রক্তের সুগার কমে যাওয়ার লক্ষণগুলো বুঝিয়ে দিন। আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা অনেক কমে গেলে তারা দ্রুত সাহায্য করতে পারবে।
  • রক্তের সুগার কমে যাওয়ার চিকিৎসার জন্য সবসময় আপনার সাথে চিনিযুক্ত শর্করা জাতীয় শুকনো নাস্তা রাখুন।
  • আপনার আইডি কার্ডে ডায়াবেটিস এর বিষয়টি লিখে রাখতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা হলে অন্যদের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।

পড়ুন: সুগার কমে গেলে করণীয়

বাসা থেকে দূরে থাকলে

বাসা থেকে দূরে থাকলে নিচের বিষয়গুলো আপনাকে সাহায্য করবে—

  • ভ্রমণে যাওয়ার আগে কোনো টিকা নেওয়া দরকার হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সেটি নিয়ে নিন। যেমন—করোনার টিকা ও ফ্লু এর টিকা।
  • বাইরে খাবার খেলে যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সবসময় নিজের কাছে কোনো শর্করা জাতীয় শুকনো নাস্তা রাখুন যাতে খাবার খেতে দেরী হলে আপনি নাস্তাটি খেয়ে নিতে পারেন।
  • লম্বা সময় ধরে গাড়ি চালাতে হলে গাড়ি চালানোর আগে রক্তে সুগারের মাত্রা পরিমাপ করতে হবে। এরপর ২ ঘন্টা পরপর রক্তের সুগার মেপে হবে।
  • ডায়াবেটিসের ঔষধ সবসময় হাতের কাছে রাখুন।
  • অনেক সময় বাসায় ফিরতে দেরী হতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্বিগুণ পরিমাণ ঔষধ, সুগার মাপার মেশিন ও অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে নিয়ে নিতে হবে।
  • ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার সময়ে আরামদায়ক ও ভালো ফিট হয় এমন জুতা সাথে নিতে হবে। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হাঁটার প্রয়োজন হলে পায়ে আঘাত পাওয়া প্রতিরোধ করা যাবে।
  • ভ্রমণে যাওয়ার সময়ে একটি ক্লিয়ার ফাইল এ প্রেসক্রিপশন এর ফটোকপি, ডায়াবেটিসের বই, ও নিকটাত্মীয়দের ফোন নাম্বার লিখে সাথে রাখা উচিত। সেই সাথে ‘ডায়াবেটিস এর রোগী’ কথাটি বড় বড় করে একটি কাগজে লিখে ফাইলে রেখে দিতে পারেন।
  • একটি ছোটো ফার্স্ট এইড কিট সবসময় হাতের কাছে রাখা ভালো।
  • দীর্ঘদিনের জন্য কোথাও গেলে ডাক্তারের কাছ থেকে একটি প্রেসক্রিপশন লিখিয়ে নিন। আপনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানে কোন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞকে দেখানো যায় সেই বিষয়েও পরামর্শ নিতে পারেন।
  • ভ্রমণে থাকা অবস্থায় ডায়াবেটিসের ঔষধ কিনে নিবেন—এমন চিন্তা না করাই ভালো। যাওয়ার সময়ে ডায়াবেটিসের ঔষধ সাথে নিয়ে যাওয়া উচিত। বিশেষ করে অন্য কোনো দেশে গেলে এই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
  • অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় (যেমন: মদ) পান করা থেকে বিরত থাকুন।

বিভিন্ন দেশে ডায়াবেটিসের জন্য বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করা হয়। সেই দেশের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসি থেকে ঔষধ না-ও কেনা যেতে পারে। এতে পূর্বে ঔষধ কিনে না নিলে, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ঝামেলাসাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে আপনার সুস্থতায় ব্যাঘাত ঘটার ঝুঁকি থাকে।

গর্ভধারণের পরিকল্পনা থাকলে

মা ও গর্ভের শিশুর সুস্থতার জন্য গর্ভধারণের আগে এবং গর্ভবতী অবস্থায় রক্তের সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভধারণের আগে থেকেই রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি হওয়া উচিত।

গর্ভধারণের আগে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারী ইতোমধ্যেই গর্ভধারণ করে থাকলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে হবে।

পড়ুন: ডায়াবেটিক নারীর সুস্থ গর্ভধারণ

গর্ভাবস্থায় ইনসুলিন ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে কিংবা আগে থেকে ইনসুলিন ব্যবহার করলে ডোজে পরিবর্তন আসতে পারে। এই সময়ে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আরও ঘন ঘন রক্তের সুগার পরিমাপের প্রয়োজন হয়। এসব বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

গর্ভধারণের পরিকল্পনা থাকলে—

  • ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রক্তের সুগার যতটা সম্ভব স্বাভাবিকের কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করুন।
  • গর্ভবতী নারীর ডায়াবেটিস চিকিৎসায় অভিজ্ঞ এমন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • ধূমপান ও মদপান এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া যেকোনো ঔষধ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা মেনে চলুন ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

গর্ভাবস্থা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। তাই নিয়মিত চোখ, হার্ট, রক্তনালী, রক্তচাপ ও কিডনির পরীক্ষা করানো উচিত। সেই সাথে হাত-পায়ের স্নায়ুর (বোধশক্তি ও অন্যান্য বিষয়) পরীক্ষা করানোও গুরুত্বপূর্ণ।

পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

প্লেনে করে কোথাও গেলে

প্লেনে করে কোথাও যাওয়ার সময়ে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করুন—

  • দেশের বাইরে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে ডাক্তারের কাছ থেকে আগেই ঔষধ—বিশেষ করে ইনসুলিনের ডোজ সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো নিয়ে—বিস্তারিত জেনে নিন।
  • ডাক্তারের কাছ থেকে একটি চিঠি নিয়ে নিন যাতে লেখা থাকবে আপনার ডায়াবেটিস আছে। এই চিঠিতে বিমানে আপনার যেসব ঔষধ লাগবে সেটিরও একটি তালিকা থাকা উচিত। ইনসুলিন ব্যবহারকারী হলে ইনসুলিন নেওয়ার জন্য ও রক্তের সুগার মাপার জন্য বিশেষ কিছু জিনিস বহন করা প্রয়োজন—এই বিষয়টিও যেন উল্লেখ করা থাকে।

এ ছাড়া রক্তের সুগার মাপার যন্ত্র অথবা ইনসুলিন ইনজেকশন যদি এক্স-রে মেশিনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার মতো না হয়, সেই বিষয়টি এই চিঠিতে উল্লেখ করে দেওয়া উচিত। এর ফলে এসব ব্যাপারে বিমানবন্দরে নানান সমস্যা এড়ানো যাবে।

  • ডায়াবেটিসের ঔষধ ও রক্ত পরীক্ষা করার জিনিস বিমানে আপনার সাথেই রাখুন। কখনোই এগুলো চেক হয়ে যাওয়া লাগেজ এর ভেতর রাখবেন না।
  • নাস্তার জন্য শুকনো খাবার বিমানে সাথে করে নিয়ে নিন।
  • আপনি যদি ইনসুলিন পাম্প ব্যবহার করে থাকেন তাহলে বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের বলুন এটি হাতে পরীক্ষা করতে। ইনসুলিন পাম্প আপনার দেহে অথবা লাগেজে যেখানেই থাকুক না কেন, এক্সরে মেশিন এর ভেতর দিয়ে গেলে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে
  • বিমানে থাকা অবস্থায় যদি সম্ভব হয় আসন থেকে উঠে আশেপাশে সামান্য হাঁটাহাঁটি করুন। এতে রক্তনালীর বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি কমানো যাবে।

ইনসুলিন ব্যবহার করলে

আপনার ইনসুলিন একটি বিশেষ ধরনের ‘ইনসুলেটেড ব্যাগ’ এ রাখুন, যেন এটি বেশি ঠান্ডা অথবা বেশি গরমে নষ্ট না হয়ে যায়। ঢাকার বিএমএ মার্কেট সহ বিভিন্ন বড় ঔষধের দোকানে এমন ব্যাগ কিনতে পাওয়া যায়।

ইনসুলিন নেওয়ার জন্য ও রক্তে সুগারের মাত্রা পরিমাপের জন্য বাড়তি কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে নিন। এতে কিছু হারিয়ে অথবা ভেঙে গেলে বাড়তি জিনিসগুলো ব্যবহার করা যাবে।

কোনো জরুরী অবস্থা অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত হলে

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত সকলেরই যেকোনো জরুরী অবস্থা অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকা উচিত। এটি হতে পারে লোডশেডিং, ঝড়বৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা লকডাউন। সবসময় এমন অবস্থার জন্য একটি ব্যাগ প্রস্তুত করে রাখুন। ডায়াবেটিসের জন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের জিনিস এক সেট করে ব্যাগের মধ্যে রাখুন।

নিচে ডায়াবেটিসের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে—

  • রক্তের সুগার মাপার যন্ত্র, ল্যানসেট ও টেস্টিং স্ট্রিপ
  • ডায়াবেটিসের ঔষধ
  • ইনসুলিন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন, সঠিক ইনসুলিন সিরিঞ্জ ও ইনসুলিন ঠান্ডা রাখার বিশেষ ইনসুলেটর ব্যাগ
  • রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যাওয়ার চিকিৎসার জন্য গ্লুকোজ বা ডেক্সট্রোজ ট্যাবলেট, গ্লুকোজ জেল ও চিনিযুক্ত শুকনো খাবার অথবা পানীয়
  • অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম অথবা অয়েন্টমেন্ট
  • মেডিকেল তথ্যের এক সেট ফটোকপি। এতে রোগের বিবরণ, ঔষধ ও সাম্প্রতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট থাকা প্রয়োজন
  • প্রেসক্রিপশন এর ফটোকপি। এতে ঔষধের নাম ও ডোজ সংক্রান্ত তথ্য থাকবে

উল্লেখ্য, ডাক্তার যদি হাইপো এর চিকিৎসায় গ্লুকাগন কিট ব্যবহারের পরামর্শ দেন এবং যদি এটি ব্যবহারের উপায় জানা থাকে তাহলে এটিও সাথে রাখতে পারেন। সেই সাথে নষ্ট হবে না—এমন কিছু শুকনো খাবার ও এক বোতল পানি রাখতে পারেন।