পরিচ্ছেদসমূহ
টাইপ ২ ডায়াবেটিস কী?
ডায়াবেটিস বলতে সচরাচর আমরা যেই রোগকে বুঝে থাকি তা আসলে ‘টাইপ ২’ ডায়াবেটিস। এটি খুবই পরিচিত একটি রোগ, যা রক্তে সুগারের পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত পিপাসা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তির মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে আপনার মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো থাকলেই যে আপনি অসুস্থ বোধ করবেন – ব্যাপারটা এমন নয়। এ ছাড়াও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের অন্যান্য লক্ষণ রয়েছে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস আপনার দৃষ্টিশক্তি, হার্ট এবং স্নায়ু (নার্ভ)-এর বিভিন্ন মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে। এসব রোগের ঝুঁকি কমাতে হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন হতে পারে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের স্বাস্থ্য জটিলতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস কেন হয়?
শরীরে ‘ইনসুলিন’ নামের হরমোনের সমস্যার কারণে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগ দেখা দেয়। ইনসুলিন আপনার রক্তে গ্লুকোজ তথা সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই হরমোনটি পাকস্থলীর পেছনে থাকা অগ্ন্যাশয় বা Pancreas নামের একটি গ্রন্থি থেকে তৈরি হয়। যখন খাবার পরিপাক হয়ে আপনার রক্তে প্রবেশ করে, তখন এই ইনসুলিন রক্ত থেকে সুগারকে কোষের ভেতরে ঢুকিয়ে সেটাকে ভেঙ্গে শক্তি উৎপাদন করে।
কিন্তু টাইপ ২ ডায়াবেটিস হলে দেহে পর্যাপ্ত পরিমানে ইনসুলিন তৈরি হয় না, অথবা পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হলেও দেহের কোষগুলো সেই ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীল থাকে না। একারণে আপনার দেহ সুগারকে ভেঙে এভাবে শক্তি উৎপাদন করতে পারে না।
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সাথে প্রায়ই নিচের ব্যাপারগুলোর সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়:
- অতিরিক্ত ওজন,
- শারীরিক পরিশ্রমের অভাব,
- পরিবারের কোন সদস্য যেমন বাবা, মা, ভাই বা বোনের টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকা
অনেকেই নিজের অজান্তে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগেন। প্রায়ই দেখা যায়, ভিন্ন ধরনের কোনো অসুখ বা সমস্যার জন্য যখন রক্ত কিংবা প্রস্রাব পরীক্ষা করানো হয় তখন এই ডায়াবেটিস ধরা পড়ে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ে আরও জানতে আমাদের এই সংক্রান্ত আর্টিকেলগুলো পড়ুন:
- ডায়াবেটিস সনাক্ত করার উপায়
- ডায়াবেটিস ধরা পড়লে করণীয়
- ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট
- ডায়াবেটিস রোগীর ব্যায়াম ও ওজন
- টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা
- টাইপ ২ ডায়াবেটিসের স্বাস্থ্য জটিলতা
আর্টিকেলটি লেখা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন: ডা. বিদিশা কুন্ডু প্রমা এবং ডা. ইমা ইসলাম।