ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো কী?

লক্ষণগুলো না জানার কারণে অনেকে নিজের অজান্তে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগেন। প্রায়ই দেখা যায়, ভিন্ন ধরনের কোনো অসুখ বা সমস্যার জন্য যখন রক্ত কিংবা প্রস্রাব পরীক্ষা করানো হয় তখন এই ডায়াবেটিস ধরা পড়ে।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্রই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। কিছু কারণে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে আপনার মধ্যে ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো দেখা দিচ্ছে কি না সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

কী কারণে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়?

  1. আপনার বয়স যদি ৪০ বছরের বেশি হয় (দক্ষিণ এশীয়দের ক্ষেত্রে ২৫ বছরের বেশি)।
  2. আপনার কোন নিকটাত্মীয়ের (যেমন: বাবা, মা, ভাই অথবা বোন) ডায়াবেটিস হয়ে থাকে।
  3. যদি আপনি স্থূলকায় বা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হন।
  4. আপনি যদি এশীয়, আফ্রিকান-ক্যারিবিয়ান বা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত হন (যদিও বা আপনি অন্য কোন দেশে জন্মগ্রহণ করে থাকেন)। 

টাইপ ২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ

কমন লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  1. স্বাভাবিকের তুলনায় ঘন ঘন প্রস্রাব করা, বিশেষ করে রাতের বেলায় বারবার প্রস্রাব হওয়া,
  2. সব সময় পিপাসা অনুভব করা,
  3. খুব ক্লান্ত অনুভব করা,
  4. কোন রকম চেষ্টা ছাড়াই শরীরের ওজন কমে যাওয়া,
  5. যৌনাঙ্গের চারপাশে চুলকানো বা বারবার ইনফেকশন (ছত্রাকের সংক্রমণ বা থ্রাশ – Thrush) হওয়া,
  6. কেটে যাওয়া কোন জায়গা বা ক্ষত সহজে না শুকানো, এবং
  7. চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।

আপনার টাইপ ২ ডায়াবেটিসের কোন লক্ষণ থাকলে কিংবা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকার সম্ভাবনা নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস আছে কিনা কিভাবে নিশ্চিত হবেন?

নিচের তিনটি ধাপে আপনি এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেন:

  1. আপনার লক্ষণগুলোর ব্যাপারে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
  2. ডাক্তার আপনার প্রস্রাব ও রক্ত পরীক্ষা করে রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি আছে কি না তা নির্ণয় করবেন।
  3. ডায়াবেটিস ধরা পড়লে ডাক্তার আপনাকে রিপোর্টে আসা ফলাফল বুঝিয়ে দিবেন এবং আপনার এখন কী করণীয় তা জানাবেন।

বিশেষ তথ্য
যত তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস সনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করে দেয়া যায়, রোগীর জন্য ততই মঙ্গল। শুরু থেকেই  চিকিৎসা গ্রহণ করলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সাথে অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও অনেক কমে যায়।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস ধরা পড়লে কী করবেন জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।


আর্টিকেলটি লেখা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন: ডা. বিদিশা কুন্ডু প্রমা এবং ডা. ইমা ইসলাম।