অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ

অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে প্রথমে সাধারণত পেটে ব্যথা হয়। পেটের মাঝখানের দিকে মাঝ বরাবর (নাভির আশেপাশে) এই ব্যথা শুরু হয়ে থাকে।

প্রথমে ব্যথাটি আসা-যাওয়া করতে থাকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই ব্যথা তলপেটের ডানদিকে গিয়ে স্থির হয়, যেখানে সাধারণত অ্যাপেন্ডিক্স অবস্থিত থাকে। তখন অনবরত তীব্র ব্যথা দেখা দেয়। এই পর্যায়ে ব্যথা আর আগের মতো আসা-যাওয়া করে না।

যেখানে ব্যথা হচ্ছে সেখানে চাপ দিলে অথবা কাশি দিলে কিংবা হাঁটাচলা করলে ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে।

অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে ব্যথা ছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেমন— 

যখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে

পেটের ব্যথা যদি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তবে দেরি না করে ডাক্তার দেখানো উচিত।

অ্যাপেন্ডিসাইটিস ছাড়াও অন্যান্য কিছু রোগে অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন—

এগুলো ছাড়াও নারীদের ক্ষেত্রে কিছু স্ত্রীরোগ হলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর মতো লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে—

তবে কারণ যেটাই হোক না কেন, পেটে একটানা ব্যথা হতে থাকলে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের কাছে যাওয়া আবশ্যক।

নিচের দুটি ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে—

  1. পেটের ব্যথা যদি হঠাৎ করেই অনেক বেড়ে গিয়ে পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়ে অথবা
  2. পেটের ব্যথা কিছুক্ষণের জন্য কমে গিয়ে এরপর আবার বেড়ে যায়

ব্যথা যদি কিছুক্ষণের জন্য কমে গিয়ে এরপর আবার বেড়ে যায়, তাহলে সেটি অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে। অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে গেলে নাড়িভুঁড়ির ভেতরের জীবাণুগুলো বাইরে বেরিয়ে আসে। এসব জীবাণু ছড়িয়ে গিয়ে পেটের ভেতরের আবরণের ইনফেকশন ঘটাতে পারে। পেটের আবরণের এই ইনফেকশনকে পেরিটোনাইটিস বলা হয়৷

পেরিটোনাইটিস হলে নাড়িভুঁড়ি, লিভার, কিডনিসহ পেটের ভেতরে থাকা অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুন: অ্যাপেন্ডিসাইটিস থেকে সৃষ্ট জটিলতা