করোনাভাইরাস মহামারি আমাদের অনেকের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে তুলে ধরছি এমন ১৫ টি বিষয় যা আমাদেরকে ডিপ্রেশন বা এংজাইটির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
যে ১৫টি করোনা-চিন্তা বিষণ্ণতা ও এংজাটির দিকে ঠেলে দেয়
- সাহায্য চাওয়া দরকার কিন্তু সাহায্য চাইলে একটা দায় হয়ে দাঁড়াবেন কিনা এই রকম দ্বিধায় ভোগা।
- মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাওয়া। এই করোনায় আপনার পরিবারে কয়েকজন ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আছেন। আপনি চান রাস্তা-ঘাটে, অফিসে, বাজারে সবাই যেন সাবধানতা মেনে চলে, দায়িত্বশীল আচরণ করে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটছে না। আপনি যেমনটা আসা করেন সেইভাবে অনেকেই সাবধানতা অবলম্বন করছে না।
- ভ্যাক্সিন যদি না পাওয়া যায়। যদি কখনো করোনার প্রতিষেধক না আসে?
- আগে একটা ইতি বাচক মনোভব নিয়ে থাকতেন। মনে করতেন সবকিছুই কোন না কোন ভাবে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু করোনা আসার পর ইতিবাচক মনোভবে পরিবর্তন আসছে। মনে হচ্ছে সব কিছু হয়ত এক সময়ে ঠিক হয়ে যায় না।
- খুব ভালবাসার কোন মানুষকে হারানোর ভয়। যেমন, যদি করোনাভাইরাসের কারণে আমার দাদা দাদী, বাবা মা কে হারিয়ে ফেলি।
- চাকরি হারানোর ভয়। অনেক মানুষের চাকরি হারানোর খবর পাচ্ছি। যদি আগামীকাল চাকরি থেকে আমাকে ছাটাই করা হয়। আগামী কাল যদি আমার মায়ের বা ভাইয়ের চাকরি চলে যায়।
- ভবিষ্যতের ব্যপারে নিরাশা অনুভব করা। করোনা গেলেও তো আমার সব ঠিক হবে না।
- বর্তমান নিয়ে হতাশা অনুভব করা। দেশ-বিদেশের অর্থনীতিতে মন্দা যাচ্ছে। দুশ্চিন্তার উদ্রেক করে এমন সংবাদ পড়ছি প্রতিনিয়ত, বা ব্যক্তগত জীবনে অনেকদিন কোন সুসংবাদ আসছে না।
- মনে হছে এই করোনা কোন দিনও যাবে না।
- মনে হচ্ছে আমি সব হারিয়েছি। বন্ধুবান্ধব দুরে চলে গেছে।
- বর্তমানে যে স্ট্রাগল এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন (যেমন আর্থিক টানাটানি) মনে হচ্ছে এটা আর কাটিয়ে উঠতে পারবেন না।
- নিজেকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা। যেমন আমি নিজেকে মানসিকভাবে যতটা স্ট্রং ভেবেছিলাম, আসলে ততটা স্ট্রং নই।
- করোনা আসার আগে জীবন যতটা সুন্দর ছিল সেটা নিয়ে মন খারাপ করা।
- যদি আমার পরিবারের খরচ চালাতে না পারি
- সারাক্ষণ দ্বিধায় থাকা। কি করবেন ভেবে বের করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
এই চিন্তা গুলো আসলেই যে আপনার ডিপ্রেশন বা এংজাইটি হয়ে যাবে, সেটা কিন্তু নয়। আমরা যে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তাতে এই চিন্তা গুলো আসা খুবই স্বাভাবিক। তবে যেটা খেয়াল রাখতে হবে তা হল আপনি বা আপনার কাছের কেও যেন এমন চিন্তায় সারাক্ষণ নিমজ্জিত না থাকেন।
আপনার কাছের কারো হলে তার সাহায্যে এগিয়ে আসবেন। নিজের ক্ষেত্রে এমনটি হলে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এমন কাওকে এই ভিডিওটি দেখান, ট্যাগ করা বা শেয়ার করার মাধ্যমে।
কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেন?
দুশ্চিন্তার উদ্রেক করে এমন খবর দেখা কমিয়ে ফেলবেন। নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে খবর পড়ুন, এতে করোনার টিকা ও ওষুধ সংক্রান্ত ফেক অনিরভরজোগ্য খবর শুনে দুশ্চিন্তা বাড়বে না। কাছের মানুষের সাথে এক সাথে সময় কাটাবেন। এমন কাজ বেশি বেশি করবেন যা আপনার মনে প্রশান্তি আনে। শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেন। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন
এই দুশ্চিন্তাগুলো যদি আপনার প্রতিদিনের জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটাতে থাকে, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।