করোনা রোগীর খাবার তালিকা

কোন নির্ভরযোগ্য গবেষণাতে এমন তিনটি, পাঁচটি, বা দশটি খাবার পাওয়া যায়নি যা খেলে আপনি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন। এমনও কোন খাবার পাওয়া যায়নি, যেটা না খেলে আপনার করোনা সারবে না। এই লেখায় খাবার সংক্রান্ত তিনটি বিষয় তুলে ধরবো যা করোনা রোগীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

১. সুষম খাবার

প্রতি দিন ২ কাপ ফল, ২.৫ কাপ সবজি, ১৮০ গ্রাম শস্যদানা, ১৬০ গ্রাম মাংস অথবা ডাল বা শিম জাতীয় খাবার খেলে সেটাকে সুষম খাবার বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অনেক সময় এত সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেখলে আমরা ভয় পেয়ে যাই। বলি যে এত মেপে মেপে খাওয়া সম্ভব না। এক্ষেত্রে একটা জিনিস মনে রাখা ভালো – আপনি যদি এই পরামর্শ শতভাগ মানতে নাও পারেন, যত কাছাকাছি যাবেন ততই আপনার জন্য ভালো।

কোন খাবার গুলো পরিহার করবেন?
তেল-চর্বি-চিনি যুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, আর ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে।

সবজি রান্নার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত তাপে বা দীর্ঘ সময় রান্না না করা। তাতে ভিটামিন কমে যেতে পারে।

২. ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি তৈরি করতে শরীরের সূর্যের আলো প্রয়োজন। ঘরের ভেতর বহু দিন আটকে থাকায় অনেকে সূর্যের আলো পাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই ভিটামিন ডি আলাদা করে খেতে পারেন। NHS পরামর্শ দেয় ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি খেতে। আপনার ডাক্তার এর থেকে বেশী ও খেতে পরামর্শ দিতে পারে। তবে নিজে নিজে ডোজ বাড়িয়ে খাবেন না। তাতে মারাত্মক পরিণাম হতে পারে।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গুলো হল তৈলাক্ত মাছ যেমন কড, স্যামন ও টুনা, গরুর মাংস, যকৃত (বা কলিজা), ডিমের কুসুম, ভিটামিন ডি ফরটিফাইড cereal ইত্যাদি। তবে আমাদের যতটুকু ভিটামিন ডি প্রয়োজন, তার সবটুকু খাবার থেকে নেয়া প্রায় অসম্ভব। আমরা সাধারণত যখন বাইরে যাওয়া আসা করি, শরীর সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি তৈরি করে নেয়। তাই সেলফ আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় অন্যকে ঝুঁকিতে না ফেলে যদি সম্ভব হয়, সূর্যের আলোয় থাকতে পারলে ভালো হবে।

ভিটামিন ডি করোনা সারাবে এজন্য এই পরামর্শ না। আপনার শরীরে ঘাটতি থাকতে পারে, সেটা পূরণের জন্য এই পরামর্শ।

৩. পানি

দিনে ৮ থেকে ১০ কাপ পানি পান করতে হবে। আপনি যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করছেন কি না, সেটা বোঝার একটা উপায় হল প্রস্রাবের রং দেখা। প্রস্রাবের রং গাড় হলুদ মানে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করছেন না। যদি বমি বা ডায়রিয়া হয়, সেই ক্ষেত্রে স্যালাইন খেতে হবে। বমি বা ডায়রিয়া থাকলে আরো অনেক সচেতন ভাবে পানি শূন্যতা এড়িয়ে চলতে হবে।