পিঠ ও কোমর ব্যথা

পিঠ ও কোমর ব্যথা খুবই পরিচিত সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব ব্যথার পেছনে কোনো মারাত্মক কারণ থাকে না। এ সমস্যাগুলো সাধারণত আপনা আপনিই সেরে ওঠে। তবে কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

পিঠ ও কোমর ব্যথা কেন হয়?

লিগামেন্ট হলো সুতার মতো টিস্যু যা বিভিন্ন হাড় ও জয়েন্টের (গিরার) মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীরের পেশি ও লিগামেন্টে হঠাৎ করে টান অথবা চাপ খেলে কোমর ব্যথা হয়।

পিঠ ও কোমর ব্যথার কারণসমূহ

পিঠ ও কোমর ব্যথার সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—

  • ভারী জিনিস তোলা
  • আকস্মিক শারীরিক নড়চড়
  • দীর্ঘ সময় ধরে একই ভঙ্গিতে বসে থাকা
  • নিয়মিত ব্যায়াম না করা
  • হঠাৎ করে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা অথবা ভারী ব্যায়াম করা
  • নরম বিছানায় অথবা উঁচু বালিশে ঘুমানো
  • ওয়ার্ম আপ বা হালকা ব্যায়াম না করে খেলাধুলা করা এবং খেলার সময়ে পেশিতে টান পড়া
  • শরীরের জন্য অনুপযোগী উচ্চতা বা আকারের চেয়ার অথবা সোফাতে বসলে
  • অস্বাস্থ্যকর দেহভঙ্গিতে মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার চালানো অথবা টিভি দেখা
  • আঘাত অথবা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়া
  • গর্ভবতী হওয়া

পড়ুন: গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথা

বিভিন্ন রোগের কারণেও কোমর ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—

  • হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিস
  • মেরুদণ্ডের ফাটল, ইনফেকশন কিংবা জন্মগত সমস্যা
  • ‘সায়াটিকা’ নামক কোমরের নার্ভ বা স্নায়ুর সমস্যা
  • বিভিন্ন ধরনের আর্থ্রাইটিস
  • কিডনি, পিত্তথলি, অগ্ন্যাশয় ও নারী প্রজননতন্ত্রের কিছু রোগ
  • অটোইমিউন রোগ
  • হাড়ে ক্যান্সার হওয়া অথবা ভিন্ন কোনো অঙ্গের ক্যান্সার হাড়ে ছড়িয়ে পড়া

মেরুদণ্ডের হাড়গুলোর মাঝে কিছু বিশেষ চাকতি বা ডিস্ক থাকে। এসব ডিস্ক সরে গেলে পিঠ ও কোমর ব্যথা হয়। পাশাপাশি কোমর, নিতম্ব ও পায়ে ঝিম ঝিম বা খচখচ্ করা, বোধ কমে যাওয়া ও দুর্বলতার মতো লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে।

কখনো কখনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ব্যথা হতে পারে। এমনকি মানসিক চাপে থাকলেও এই ধরনের ব্যথা হয়।

পিঠ ও কোমর ব্যথার বিপদচিহ্ন

ব্যথার সাথে নিচের নয়টি লক্ষণের যেকোনোটি থাকলে সেটি গুরুতর কোনো সমস্যা নির্দেশ করতে পারে—

  1. যৌনাঙ্গ অথবা নিতম্বের আশেপাশে, বিশেষ করে পায়খানার রাস্তার চারিদিকে অবশ লাগা কিংবা খোঁচা খোঁচা লাগা
  2. স্বাভাবিক প্রস্রাব-পায়খানার চাপ ধরে রাখতে না পারা
  3. প্রস্রাব করতে সমস্যা হওয়া অথবা প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া
  4. কোমরের নিচ থেকে দুর্বল হয়ে যাওয়া
  5. বুকে ব্যথা
  6. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া (এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে)
  7. জ্বর আসা
  8. গুরুতর দুর্ঘটনা কবলিত হওয়া। যেমন: সড়ক দুর্ঘটনা
  9. পিঠ অথবা কোমরের কোথাও ফুলে কিংবা বেঁকে যাওয়া

পিঠ ও কোমর ব্যথার চিকিৎসা

সাধারণত পিঠ ও কোমর ব্যথা ঘরোয়া চিকিৎসাতেই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে রয়েছে—

১. দৈনন্দিন কাজ: দুই–তিন দিন বিশ্রাম নেওয়ার পরে দৈনন্দিন কাজে ফিরে যেতে হবে। এতে ব্যথা দ্রুত সেরে ওঠে।

২. শরীরচর্চা: সম্ভব হলে ব্যথা কমে যাওয়ার ২–৩ সপ্তাহ পর প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম শুরু করা উচিত। হাঁটা, যোগব্যায়াম বা ইয়োগা ও সাঁতার কাটার মতো ব্যায়ামও করা যেতে পারে। এতে করে পেট, পিঠ ও কোমরের পেশি শক্ত হয় এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে ব্যথা তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে।

৩. সেঁক: ঠান্ডা অথবা গরম সেঁক নিলে সাময়িকভাবে আরাম পেতে পারেন। প্রথম দুই–তিনদিন ঠান্ডা সেঁক দিয়ে এরপর গরম সেঁক দেওয়া ভালো।

ঠান্ডা সেঁকের জন্য তোয়ালে বা মোটা গামছা দিয়ে বরফ মুড়ে এরপর ব্যথার স্থানে লাগাতে পারেন। ফ্রিজে বরফ না থাকলে ফ্রোজেন সবজির প্যাকেট ব্যবহার করা যায়। গরম সেঁকের জন্য একইভাবে হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

৪. ব্যথানাশক ঔষধ: প্যারাসিটামল অথবা আইবুপ্রোফেন এর মতো ব্যথানাশক সেবন করতে পারেন। এ ছাড়া ব্যথানাশক জেল ও ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্যাকেটের ভেতরে থাকা নির্দেশিকা ভালোমতো পড়ে নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ব্যথানাশক সেবনের আগে সেটি আপনার জন্য নিরাপদ কি না সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। এই বিষয়ে সন্দেহ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৫. ম্যাসাজ ও মালিশ: ব্যথার স্থানে হালকা ম্যাসাজ, অর্থাৎ আলতোভাবে মালিশ করলে আরাম লাগতে পারে। তবে জোরে জোরে মালিশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৬. ইতিবাচক মনোভাব: মানসিকভাবে দৃঢ় থাকতে হবে। পিঠ ও কোমর ব্যথা হওয়া সত্ত্বেও যারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে স্বাভাবিক জীবনধারা বজায় রাখে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।

ভুল ধারণা: পিঠ অথবা কোমর ব্যথা হলে সম্পূর্ণ বিশ্রাম বা বেড রেস্ট-এ থাকতে হবে।

ব্যথা হলে প্রথম কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে পারেন। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কাজে ফিরে যেতে হবে। দুই–তিন সপ্তাহ পর থেকে আস্তে আস্তে ব্যায়াম শুরু করতে পারেন।

২–১ দিনের বেশি পূর্ণ বিশ্রামে থাকলে ব্যথা আরও বাড়তে পারে। ওপরে উল্লেখকৃত নয়টি বিপদচিহ্নের কোনোটি না থাকলে আপনি যত তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করতে পারবেন, ততই ভালো।

তবে মনে রাখতে হবে, পিঠ ও কোমর ব্যথার ছয় সপ্তাহের মধ্যে ভারী কাজ কিংবা পিঠ ও কোমর বাঁকাতে হয় এমন কাজ করা যাবে না।

যখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে

অনেকের ক্ষেত্রেই পিঠ ও কোমর ব্যথা এক সপ্তাহের মধ্যেই কমে যায়। সাধারণত চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা পুরোপুরি সেরে যায়।

পিঠ ও কোমর ব্যথার জন্য সাধারণত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে নিচের ক্ষেত্রগুলোতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত—

  • ব্যথা শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেও কোনো উন্নতি না হলে
  • ব্যথার কারণে দৈনন্দিন কাজে বাধা সৃষ্টি হলে
  • ব্যথা খুবই তীব্র হলে অথবা দিন দিন বাড়তে থাকলে
  • আগে থেকেই কোনো রোগের কারণে পিঠ অথবা কোমর ব্যথা থাকলে
  • ব্যথা নিয়ে বেশি চিন্তিত হলে অথবা মানিয়ে নিতে সমস্যা হলে

ডাক্তার রোগীর সাথে কথা বলে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় করবেন। সেই অনুযায়ী তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ দিবেন। কিছু ক্ষেত্রে রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হতে পারে।

পিঠ ও কোমর ব্যথায় সবসময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। তবে প্রয়োজনবোধে এক্স-রে, এমআরআই ও সিটি স্ক্যান এর মতো পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

ডাক্তার ফিজিওথেরাপি নেওয়ার পরামর্শ দিতে পারে। এ ছাড়া কিছু ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম শিখিয়ে দিতে পারে। দ্রুত সুস্থতা লাভের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা, ব্যায়াম করা এবং নিয়মিত ঔষধ সেবন করা গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য, অল্প সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রেই অপারেশনের কথা বিবেচনা করা হয়। সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু রোগের কারণে পিঠ ও কোমর ব্যথা হলে কেবল সেসব ক্ষেত্রেই অপারেশন এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

যখন জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের কাছে যাবেন

কিছু ক্ষেত্রে রোগীকে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এগুলো গুরুতর কোনো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে এবং ইমারজেন্সি ভিত্তিতে বিশেষ চিকিৎসা শুরু করতে হতে পারে। এসব ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে—

  • উপরে উল্লেখিত ৯টি বিপদচিহ্ন থাকা
  • বিশ্রামের পরেও ব্যথার উন্নতি না হওয়া অথবা রাতে ব্যথা বেড়ে যাওয়া
  • এতটাই তীব্র ব্যথা হওয়া যে ঘুমের সমস্যা হয়
  • হাঁচি, কাশি ও পায়খানা করার সময়ে ব্যথা বেড়ে যাওয়া
  • ব্যথার জন্য সাধারণ কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটা
  • ঘাড় থেকে ব্যথা হওয়া

পিঠ ও কোমর ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, সঠিক দেহভঙ্গি ও সুস্থ জীবনধারা মেনে চলার মাধ্যমে সহজেই পিঠে ব্যথা প্রতিরোধ করা যায়।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

কিছু খাবার হাড়ের জন্য খুব উপকারী। যেমন: ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে ও বিভিন্ন মিনারেল বা খনিজ লবণযুক্ত খাবার। এগুলো পিঠে ব্যথার ঝুঁকি কমায়, তাই এসব পুষ্টি উপাদানযুক্ত খাবার আমাদের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত থাকা উচিত। এই ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে—

  • দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
  • সবুজ শাক-সবজি
  • মাছ ও মাছের কাঁটা
  • বাদাম
  • ডিম
  • ডাল

সঠিক দেহভঙ্গি

অস্বাস্থ্যকর দেহভঙ্গিতে কাজ করলে অথবা বিশ্রাম নিলে অনেক ক্ষেত্রেই পিঠ ও কোমর ব্যথা প্রকট আকার ধারণ করে। তাই—

  • অতিরিক্ত শক্ত অথবা নরম বিছানা পরিহার করে মেরুদন্ডকে সঠিকভাবে সাপোর্ট দেয় এমন বিছানা ব্যবহার করুন। জাজিম ও একটি পাতলা তোষকের বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। বিছানা থেকে ওঠার সময়ে একপাশে কাত হয়ে উঠুন।
  • দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা পরিহার করে মাঝে মাঝে উঠে হাঁটাচলা করুন। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে কোমরের মাংসপেশিতে চাপ পড়ে, ফলে ব্যথা হয়।
  • একটানা বসে থাকতে হলে নরম গদি অথবা স্প্রিং যুক্ত চেয়ারের পরিবর্তে কাঠ অথবা প্লাস্টিকের চেয়ার ব্যবহার করুন। কোমরের পেছনে ভাঁজ করা তোয়ালে, চাদর অথবা ছোটো বালিশ ব্যবহার করতে পারেন।
  • একটানা দাঁড়িয়ে কাজ করবেন না। যদি করতেই হয় তাহলে একটি টুলে এক পা রেখে সেটিকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিন। এরপর সেই পা সরিয়ে অন্য পা টুলে রাখুন।
  • কোমর সোজা রেখে চেয়ারে বসুন। কোথাও বসার সময়ে এভাবে বসবেন যেন আপনার হাঁটু কোমরের চেয়ে একটু ওপরের লেভেলে থাকে। প্রয়োজনে ছোটো টুল ব্যবহার করতে পারেন।
  • পিঠ ও কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করতে ১ ইঞ্চি পরিমাণের কম হিলের আরামদায়ক জুতা পরুন। এতে দাঁড়ানোর সময়ে মেরুদণ্ডের ওপর কম চাপ পড়বে।
  • সতর্কতার সাথে হাঁটাচলা করুন। হাঁটার সময় সতর্কতা না থাকলে পা পিছলে ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • লম্বা সময় ধরে গাড়ি চালাতে হলে প্রতি ঘন্টায় বিরতি নিয়ে একটু হাঁটুন। সিট যথাসম্ভব পিছিয়ে নিন, যেন সিটে বসতে শরীর ভাঁজ করতে না হয়। গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে ভারী জিনিস তোলা থেকে বিরত থাকুন।
  • ভারী জিনিস তোলা ও বহন করার সময়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন। যেমন—
    • অন্যের সাহায্য নিয়ে ভালোমতো ধরে ওঠান
    • পা ফাঁকা করে নিন। এতে ভার বহনে সুবিধা হবে
    • জিনিস শরীরের যতটা সম্ভব কাছাকাছি রেখে এরপর তুলুন
    • নিচু হতে কোমর সামনের দিকে না বাঁকিয়ে বরং হাঁটু ভাঁজ করুন
    • বহন করার সময়ে কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে বহন করুন। মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিয়ে কাজ করুন
    • কখনও ভারী জিনিস তোলার কিংবা বহন করার সময়ে শরীর বাঁকাবেন না

সুস্থ জীবনধারা

সুস্থ জীবনধারা মেনে চলার মাধ্যমে পিঠ ও কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন—

  • উচ্চতার তুলনায় ওজন বেশি হওয়া পিঠ ও কোমর ব্যথার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এজন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • নিয়মিত মাঝারি ধরনের শরীরচর্চার মধ্যে থাকুন। যেমন: দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো ও সাঁতার কাটা। এতে মাংসপেশিগুলো শক্তিশালী হয় এবং পিঠ ও কোমর ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে।
  • ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো। তাই প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য সূর্যের আলোতে থাকুন। তবে রোদে পোড়া ও ক্যান্সার প্রতিরোধে রোদে যাওয়ার আগে শরীরে অন্তত এসপিএফ ১৫ (SPF 15) শক্তিমাত্রার সানস্ক্রিন লাগানো উচিত।
  • ধূমপান ও মদপান হাড় ক্ষয় বৃদ্ধি করে। তাই এগুলো ছেড়ে দিন।