সিজারিয়ান অপারেশনের পুরো প্রক্রিয়ায় শেষ হতে সাধারণত ৪০–৫০ মিনিট সময় লাগে। কী কারণে সিজার করানো হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে অপারেশনের প্রক্রিয়ায় ভিন্নতা আসতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিচের পদ্ধতিতে সিজারিয়ান ডেলিভারি করানো হয়—
অপারেশনের আগে
সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে অপারেশনের আগে হাসপাতালে আপনার কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো কোন ধরনের অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে আলোচনা করা।
অ্যানেস্থেসিয়া
সিজার অপারেশনের প্রস্তুতি পর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া বা সহজ ভাষায় অচেতন করা। সিজারের জন্য আপনাকে আংশিকভাবে (যেমন: কোমর থেকে পা পর্যন্ত) অথবা পুরোপুরি অচেতন করা হতে পারে। ফলে আপনি অপারেশন চলাকালে অসংবেদনশীল থাকবেন, ব্যথা পাবেন না এবং অপারেশন সহজ হবে।
কী ধরণের অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহার করা হবে তা বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন: আপনার ও আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের অবস্থা, সিজারের কারণ এবং আপনার পছন্দ বা মতামত। সম্ভব হলে গাইনী বিশেষজ্ঞ ও অ্যানেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞের সাথে এই বিষয়ে আগেভাগে আলোচনা করে ঝুঁকি ও উপকারিতাগুলো বিস্তারিত জেনে নিন। সচরাচর যেসব অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহার করা হয়—
- স্পাইনাল ব্লক: স্পাইনাল ব্লক আপনার শরীরকে কোমরের নিচ থেকে অবশ করে ফেলে। এক্ষেত্রে আপনার কোমরের লেভেলে একটি চিকন সুঁইয়ের সাহায্যে মেরুদণ্ডের ভেতর দিয়ে অ্যানেস্থেসিয়ার ঔষধ দেওয়া হয়। আমাদের দেশে সাধারণত এই পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়।
- এপিডিউরাল ব্লক: এপিডিউরাল ব্লকও আপনার শরীরের নিচের অংশকে অবশ করে ফেলে। এক্ষেত্রেও স্পাইনাল ব্লকের মতোই কোমরে ইনজেকশন দেওয়া হয়। তবে সাথে একটি ছোটো ও নরম টিউব বা ক্যাথেটারও লাগানো থাকে, যাতে দরকার হলে পরে এই নল দিয়ে আরও অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া যায়।[১]
উল্লেখ্য, অনেকসময় অ্যানেস্থেসিয়ার জন্য স্পাইনাল ও এপিডিউরাল ব্লক একত্রে ব্যবহার করা হতে পারে।
- জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়া: এক্ষেত্রে আপনি অপারেশনের সময়ে সম্পূর্ণ অচেতন থাকবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থায় এই ধরনের অ্যানেস্থেসিয়া বেছে নেওয়া হয়।[২] অনেকসময় স্পাইনাল অথবা এপিডিউরাল ব্লক দিয়ে অপারেশন শুরু করার পরে বিশেষ জটিলতা দেখা দিলে গর্ভবতীকে জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়ার মাধ্যমে পুরোপুরি অজ্ঞান করা হতে পারে।
সিজারের আগে প্রস্তুতি
- ডাক্তারের কাছ থেকে অপারেশন ও অ্যানেস্থেসিয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আপনাকে ও পরিবারের আরেকজন সদস্যকে একটি বিশেষ কাগজে সম্মতিসূচক সই করতে হবে।
- অপারেশনের কয়েক ঘন্টা আগে থেকে আপনার সব ধরনের খাবার ও পানীয়, এমনকি পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হবে। এভাবে কতক্ষণ না খেয়ে থাকতে হবে তা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন। অপারেশনের ধরনভেদে ২–৮ ঘন্টা পর্যন্ত না খেয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।
- কাপড় বদলে হাসপাতালের গাউন পরার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। অপারেশনের সময়ে ইনফেকশনের ঝুঁকি কমাতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়।
- আপনার হাতে ইনজেকশন দেওয়ার জন্য একটি ক্যানুলা বসানো হবে। এর মাধ্যমে অপারেশন চলাকালীন সময়ে আপনাকে স্যালাইন, অ্যান্টিবায়োটিক ও প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হবে।
- অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে আপনার পেট, যৌনাঙ্গ ও উরুর অংশবিশেষ পরিষ্কার করা হবে। যৌনাঙ্গের চুল কাঁচি অথবা ট্রিমার দিয়ে কেটে ফেলা হবে। তবে আগে থেকে সিজার করার পরিকল্পনা থাকলে অপারেশনের আগে আগে সেখানে শেভ করা থেকে বিরত থাকবেন। কেননা রেজার দিয়ে শেভ করলে ত্বক খুব ছোটো ছোটো করে কেটে যেতে পারে, যা অপারেশনের জায়গায় ইনফেকশনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।[৩]
- আপনার রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলে তা প্রতিরোধের জন্য ঔষধ দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া সিজার ও প্রসব সংক্রান্ত রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমাতে পায়ে বিশেষ ধরনের মোজা পড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।
- অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানোর পরে আপনাকে সঠিক সময়ে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হবে।
- আপনার প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে একটি সরু নল বা ক্যাথেটার ঢোকানো হবে। এর মাধ্যমে প্রস্রাব বের করে আপনার মূত্রথলি খালি করা হবে। মূত্রথলি ও জরায়ু খুব কাছাকাছি থাকে। তাই এভাবে মূত্রথলি খালি করে ফেলার মাধ্যমে অপারেশনের সময়ে তাতে আঘাত লাগার সম্ভাবনা কমে।
গর্ভের শিশুর জন্মের পরে অনেক দম্পতি জন্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সিজারের সময়ে শিশুর ডেলিভারির পর একেবারে জরায়ুতে কাঠি পরিয়ে দেওয়া যায়। ধরনভেদে এসব জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ৩–১০ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। তাই আপনারা এমন সিদ্ধান্ত নিলে অপারেশনের আগেই তা ডাক্তারকে জানান।
অপারেশনের সময়ে
অপারেশনের সময়ে গর্ভের শিশু অনেকগুলো স্তর ভেদ করার পর পৃথিবীর আলো দেখতে পায়। এর মধ্যে রয়েছে আপনার ত্বক, ত্বকের নিচের চর্বি, পেটের পেশি, পেটের ভেতরের পর্দা (পেরিটোনিয়াম), জরায়ু ও প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল। অপারেশনের জন্য—
- প্রথমে আপনাকে অপারেশনের টেবিলে সোজা করে শুইয়ে দেওয়া হবে।
- আপনার পেট ও বুকের মাঝে একটি পর্দা দেওয়া হবে। অপারেশনের জটিল ও ক্ষেত্রবিশেষে ভয়ংকর প্রক্রিয়া দেখা থেকে বিরত রাখতে এই পর্দা দেওয়া হয়।
- পুরোপুরি কিংবা আংশিক অচেতন হওয়ার পর পেটের ত্বকে অপারেশনের ছুরি দিয়ে ১০–২০ সেমি লম্বা করে কাটা হবে। এক্ষেত্রে সাধারণত তলপেটের একেবারে নিচের অংশে আড়াআড়িভাবে কাটা হয়। এর পরিবর্তে কখনো কখনো নাভির নিচ থেকে লম্বালম্বি করে কাটা হতে পারে।
- ত্বক ও ত্বকের নিচের টিস্যু কাটার পর আসে পেশি। পেশি কাটার পরিবর্তে ছড়িয়ে ছড়িয়ে আলাদা করে রাখা হয়।
- এরপর পেটের ভেতরের পর্দা ও জরায়ু কাটা হয়। এক্ষেত্রেও আড়াআড়িভাবে অথবা লম্বালম্বিভাবে কাটা যায়। সাধারণত জরায়ুর নিচের পাতলা অংশে কাটা হয়। এতে রক্তপাত কম হয় এবং অপারেশনের পর জরায়ু ভালোমতো সেরে ওঠে।[৪] উল্লেখ্য, পেটের ত্বকের কাটা ও জরায়ুর কাটা সবসময় একই রকম না-ও হতে পারে।
- অবশেষে কাটা অংশগুলো মিলে তৈরি হওয়া রাস্তা দিয়ে আপনার শিশুকে বের করা আনা হয়। এই পর্যায়ে ৫–১০ মিনিট সময় লাগতে পারে। এসময়ে আপনি হালকা টান অনুভব করতে পারেন।
- শিশুকে পেট থেকে বের করার পর আপনাকে অক্সিটোসিন নামক একটি ঔষধ ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হবে। অক্সিটোসিন জরায়ুর সংকোচন ঘটিয়ে রক্তপাত কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
- শিশুর ডেলিভারির প্রায় ১ মিনিট পর আম্বিলিকাল কর্ড বা নাড়ি ক্ল্যাম্প করা হয়। এরপর ক্ল্যাম্পের পরের অংশ কেটে শিশুকে আলাদা করা হয়। এরপর শিশুকে পরিষ্কার করা হবে। শিশুর স্বাস্থ্যের অবস্থা ও ওজন দেখে আপনার অথবা আপনার পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের হাতে দেওয়া হবে কিংবা প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য বিশেষ শিশু ইউনিটে রেফার করা হবে।
- যদি সম্ভব হয়, তাহলে শিশুকে পরিষ্কার করে আপনার বুকের ওপরে শুইয়ে দেওয়া হবে। এতে আপনার ত্বকের সাথে শিশুর ত্বক লেগে থাকবে। একে ইংরেজিতে ‘স্কিন টু স্কিন কনট্যাক্ট’ বলা হয়, যা ডেলিভারির পরে মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।[৫] যদি শিশুকে আপনার কাছে রাখা সম্ভব না হয় তাহলে পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের কাছে শিশুকে হস্তান্তর করা হবে।
- অন্যদিকে শিশুর ডেলিভারির পর প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল ডেলিভারি চলতে থাকবে। এরপর ধাপে ধাপে ভেতর থেকে বাইরে স্তর অনুযায়ী সবগুলো কাটা সেলাই করা হবে।
- সেলাইয়ের সময়ে সার্জিক্যাল সুঁই-সুতার পরিবর্তে অথবা সুতার পাশাপাশি সার্জিক্যাল স্টেপলার ও সার্জিক্যাল গ্লু ব্যবহার করা হতে পারে। সাধারণত এসব সেলাইয়ে এমন সুতা ব্যবহার করা হয় যেগুলো শরীরের সাথে মিশে যায়। তবে স্টেপলার ও বিশেষ কিছু সুতা অপারেশনের কয়েকদিন পর তুলে ফেলতে হয়। কতদিন পরে সেলাই কাটতে হবে সেটা হাসপাতাল থেকে দেওয়া ছুটির কাগজে লিখিয়ে নিবেন।
অপারেশনের পরে
- অপারেশনের পর আপনাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে পোস্ট অপারেটিভ রুমে নেওয়া হবে। সেখানে আপনার রক্তচাপ, হৃৎস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি, রক্তক্ষরণের পরিমাণ, পেটের সেলাই ও সামগ্রিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
- অ্যানেস্থেসিয়ার প্রভাব কেটে যেতে শুরু করলে এবং সবকিছু ভালো থাকলে ডাক্তার-নার্স আপনাকে সাধারণত ঘন্টাখানেক পর পর পর্যবেক্ষণ করে যাবেন। এরপর অবস্থা অনুযায়ী আপনাকে ওয়ার্ডে বা কেবিনে পাঠানো হবে।
- আপনি খেতে পারার আগ পর্যন্ত আপনাকে শিরায় স্যালাইন দেওয়া হবে। অপারেশনের পর আপনার যখন থেকে ভালো লাগবে, তখন থেকেই সাধারণত খাওয়াদাওয়া শুরু করতে পারবেন।
- আপনার অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল হলে শিশু আপনার কাছেই থাকবে। এসময়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করবেন। এই বিষয়ে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হলে ওয়ার্ডের নার্স ও ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- অপারেশনের পর প্রথম কয়েক ঘন্টা বিছানা থেকে ওঠানামা করতে হলে অন্য কারও সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে। আপনার যদি মনে হয় যে আপনার ভারসাম্য এখনো পুরোপুরি ফিরে আসেনি, তাহলে একা একা উঠে দাঁড়ানোর অথবা হাঁটাহাঁটি করার চেষ্টা করবেন না।
- অপারেশনের পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিছানা থেকে নেমে হাঁটাহাঁটি শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে রক্ত জমাট বেঁধে প্রাণঘাতী শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়।[৬] নিজে নিজে হাঁটতে কষ্ট হলে অন্য কারও সাহায্য নিয়ে খানিকটা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
- আপনি হাঁটাহাঁটি শুরু করতে পারলে এবং অপারেশনের সময়ে বিশেষ জটিলতা দেখা না দিলে প্রস্রাবের নল সাধারণত অপারেশনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুলে ফেলা হবে।
- অপারেশনের জায়গায় কয়েকদিন বেশ ব্যথা থাকবে। হাঁচি-কাশি ও নড়াচড়ার সময়ে বেশি ব্যথা লাগতে পারে। ব্যথা কমাতে অপারেশনের পর পর শিরায় শক্তিশালী ব্যথার ঔষধ দেওয়া হবে। পরবর্তীতে মুখে খাওয়ার ব্যথার ঔষধ অথবা পায়খানার রাস্তা দিয়ে দেওয়ার সাপোজিটরি দেওয়া হবে। সেই সাথে অপারেশনের জায়গায় নিয়মমতো ড্রেসিং করানো হবে।
সিজারিয়ান অপারেশনের পর গড়ে ৩ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। তবে কী কারণে সিজার করা হয়েছে এবং আপনার সুস্থ হতে কেমন সময় লাগছে—এর ওপর ভিত্তি করে সময়টা কম-বেশি হতে পারে।
বিশেষ পরামর্শ
হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার সময়ে একটা ছাড়পত্র বা ডিসচার্জ লেটার দেওয়া হয়। এতে সিজার পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া থাকে। ছুটি নেওয়ার সময়ে ছাড়পত্রে নিচের বিষয়গুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেওয়া আছে কি না সেটা দেখে নিবেন—
- পেট ও জরায়ু কীভাবে কাটা হয়েছে
- কোন ধরনের সেলাই দেওয়া হয়েছে
- কাটা স্থানে কোনো ড্রেসিং লাগবে কি না। যদি লাগে তাহলে পদ্ধতি কী
- সেলাই কাটাতে হবে কি না। যদি কাটাতে হয় তাহলে কবে ও কোথায় কাটাতে হবে
- সেলাই নিয়ে গোসল করতে কোনো বাধা আছে কি না
- ভারী কাজ ও সহবাসের বিষয়ে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আছে কি না
সিজারিয়ান সেকশনের খরচ
অন্য যেকোনো অপারেশনের মতো সিজারিয়ান অপারেশন করাতেও কিছু খরচ রয়েছে। হাসপাতালে যাওয়ার আগে এর জন্য প্রস্তুতি থাকা ভালো। সিজারের খরচ সরকারি হাসপাতালে এক রকম, বেসরকারি হাসপাতালে আরেক রকম। বেসরকারি হাসপাতালে বা চেম্বারে কোন ডাক্তার অপারেশন করছেন সেটার ভিত্তিতেও খরচ কম-বেশি হতে পারে।
বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান সেকশন করতে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খরচ মিলিয়ে ২ থেকে ১২ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে। গড়ে ৭ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। বেসরকারি হাসপাতালে সিজার করাতে সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে।[৭] তবে কোনো জটিলতার কারণে রোগীকে আইসিইউ অথবা HDUতে রাখতে হলে খরচ অনেকখানি বেড়ে যেতে পারে।