মাসিকের সময়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ করার বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। তবে সব চিকিৎসা সবার জন্য উপযুক্ত নয়। সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণের উদ্দেশ্যে ডাক্তার কিছু বিষয় বিবেচনা করবেন, যেমন—
- অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন লক্ষণ
- মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সম্ভাব্য কারণ
- স্বাস্থ্যের সার্বিক অবস্থা
- বর্তমানে গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন কি না অথবা ভবিষ্যতে সন্তান ধারণের পরিকল্পনা আছে কি না
- রোগীর ব্যক্তিগত পছন্দ
সবকিছু বিবেচনা করে প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ, নির্দিষ্ট পদ্ধতি কিংবা অপারেশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত মাসিকের চিকিৎসা করা হয়। অনেক সময় রোগের তীব্রতা বিবেচনা করে ডাক্তার ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পরে প্রয়োজনবোধে ঔষধ পরিবর্তন করার কিংবা অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পিরিয়ড চলাকালীন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের চিকিৎসায় আপনার করণীয়
নিয়মিত পিরিয়ড শুরুর দিনটির হিসাব রাখুন, প্রয়োজনে ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখতে পারেন।মাসিক কত দিন থাকে তা হিসাব করুন।প্রতিদিন কতগুলো প্যাড বা ট্যাম্পন পরিবর্তন করতে হয় তা লিখে রাখুন।পেটে ব্যথা, মাথা ঘুরানো, শারীরিক দুর্বলতা বা অন্য কোনো সমস্যা হলে সেটাও লিখে রাখুন।সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য এই তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এসব তথ্য লিখে রাখার জন্য একটি ডায়েরি ব্যবহার করতে পারেন।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অনেকের আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা হয়ে থাকে। আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা থাকলে আয়রন ট্যাবলেট সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ করার চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে—বিভিন্ন ঔষধ, জন্মনিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত পদ্ধতি ও বিভিন্ন অপারেশন। প্রস্তাবিত সবগুলো চিকিৎসা পদ্ধতির সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে ডাক্তারের সাথে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে নিবেন। সেই সাথে গর্ভধারণের পরিকল্পনা থাকলে চিকিৎসার কারণে সন্তান ধারণের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কি না সেই বিষয়েও আলোচনা করে নেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার ঔষধ ও পদ্ধতি
জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি
কম্বাইন্ড ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল বা জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি একটি জনপ্রিয় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। তবে মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের চিকিৎসা এর ব্যবহার রয়েছে।
কীভাবে কাজ করে: এসব পিল বা বড়িতে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টোজেন নামক হরমোন থাকে। এগুলো মাসিক নিয়মিত করে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ কমিয়ে আনে এবং মাসিক চলাকালীন পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বাণু নিঃসরণ করতে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে এটি গর্ভধারণ প্রতিরোধ করে। যতদিন এই ঔষধ নিয়মমাফিক সেবন করা হবে ততদিন এটি গর্ভধারণে বাধা দিবে।
এসব পিলের কমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হলো—
- মুড বা মন-মেজাজ পরিবর্তন হওয়া
- বমি বমি ভাব
- মাথা ব্যথা
- ব্রেস্ট বা স্তনে ব্যথা
ইন্ট্রাইউটেরাইন সিস্টেম
এটি সাধারণত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত হলেও মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের প্রথম চিকিৎসা হিসেবে এই পদ্ধতিকে পছন্দ করা হয়। সাধারণ মানুষের কাছে এটি ‘জরায়ুর কাঠি পদ্ধতি’ হিসেবেও পরিচিত।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে এটি ৩-৫ বছর সুরক্ষা দিয়ে থাকে। এছাড়া ব্যবহার বন্ধ করার পরে এটি সন্তান ধারণের ওপর সাধারণত কোনো প্রভাব ফেলে না।
কীভাবে কাজ করে: ইন্ট্রাইউটেরাইন সিস্টেম বা IUS একটি ছোট প্লাস্টিকের যন্ত্র। একজন ডাক্তার জরায়ুতে এটি প্রবেশ করিয়ে দেবেন। IUS থেকে ধীরে ধীরে প্রজেস্টোজেন নামের একটি হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি জরায়ুর ভেতরের এন্ডোমেট্রিয়াম নামক প্রাচীরকে তাড়াতাড়ি বাড়তে বাধা দেয়। এন্ডোমেট্রিয়াম পাতলা হলে পিরিয়ডের সময়ে রক্তক্ষরণের পরিমাণ কমে আসে। তবে এর উপকারিতা পেতে কমপক্ষে ৬টি মাসিক অপেক্ষা করতে হতে পারে।
তবে ইন্ট্রাইউটেরাইন সিস্টেম এর তুলনায় পিল ব্যবহারের সুবিধা হলো, IUS বের করে ফেলার পরেও গর্ভধারণ করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে, কিন্তু পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলে কয়েকদিনের মধ্যেই সহজে গর্ভধারণ করা যায়।
ইন্ট্রাইউটেরাইন সিস্টেম এর সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে—
- অনিয়মিত মাসিক হওয়া, যা ৬ মাসেরও অধিক সময় ধরে স্থায়ী হতে পারে
- ব্রেস্ট বা স্তনে চাপ দিলে ব্যথা অনুভব করা
- ব্রণ
- মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা কোনো মাসে পিরিয়ড না হওয়া
নন স্টেরয়েডাল অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস
IUS অনুপযোগী হলে বা রোগ নির্ণয়ে সময়ের প্রয়োজন হলে NSAIDs জাতীয় ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। এছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য অপেক্ষা করার সময়েও NSAIDs জাতীয় ঔষধ সেবন করতে হতে পারে।
নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস বা NSAIDs হলো এক ধরনের প্রদাহনাশক ঔষধ। এগুলো সাধারণ মানুষের কাছে ‘ব্যথার ঔষধ’ হিসেবে পরিচিত। এ জাতীয় ঔষধের মধ্যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধগুলো হলো—
- আইবুপ্রোফেন
- মেফেনামিক এসিড
- ন্যাপ্রোক্সেন
এসব ঔষধ সেবনের নির্দিষ্ট নিয়ম ও ডোজ রয়েছে। তাই ঔষধগুলো (বিশেষত মেফেনামিক এসিড ও ন্যাপ্রোক্সেন) কেবলমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।
কীভাবে কাজ করে: প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সাথে সম্পর্কিত একটি হরমোন। এই জাতীয় ঔষধ শরীরে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের মতো পদার্থ নিঃসরণ কমিয়ে দেয়, ফলে মাসিকে রক্তক্ষরণের পরিমাণ কমে যায়। এছাড়া ঔষধগুলো পিরিয়ডকালীন পেট ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
এ জাতীয় ওষুধগুলো ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়। এটি মাসিকের একদম শুরু থেকে বা মাসিক শুরুর আগে থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়া পর্যন্ত সেবন করা হয়।
এটি কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নয়, সন্তান ধারণের সম্ভাবনার ওপর এর কোনো প্রভাব নেই।
রক্তক্ষরণের পরিমাণ কমলে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না হলে ঔষধটি যতদিন ইচ্ছা খাওয়া যায়। তবে সেবনের সময়ে অবশ্যই ডাক্তারের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
ট্রানেক্সামিক এসিড
কোনো রোগী IUS ব্যবহারে অনুপযোগী হলে বা রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সময়ের প্রয়োজন হলে ট্রানেক্সামিক এসিড সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্য কোনো চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য অপেক্ষা করার সময়েও আপনাকে ট্রানেক্সামিক এসিড দেওয়া হতে পারে।
কীভাবে কাজ করে: এটি সাধারণত ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল হিসেবে পাওয়া যায়। ঔষধটি জরায়ুতে রক্ত জমাট বাঁধাতে সাহায্য করে কাজ করে।
ট্রানেক্সামিক এসিড সাধারণত দিনে ৩ বার করে সর্বোচ্চ ৪ দিন খাওয়া যায়। মাসিক শুরু হওয়ার সাথে সাথে এটি খাওয়া শুরু করতে হয়।
এটি কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নয়। সন্তান ধারণের সম্ভাবনার ওপর এর কোনো প্রভাব নেই। প্রয়োজনবোধে ট্রানেক্সামিক এসিডকে আরেক ধরনের প্রদাহনাশক ঔষধের (NSAIDs) সাথে সমন্বয় করে সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
ট্রানেক্সামিক এসিডের সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে—
- ডায়রিয়া
- বমি বমি ভাব
- বমি
সাইক্লিকাল প্রোজেস্টোজেন
অন্যান্য চিকিৎসা কাজ না করলে সাইক্লিকাল প্রোজেস্টোজেন (Cyclical Progestogen) নামক ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। মাসিক চক্রের একটি অংশে এটি ট্যাবলেট আকারে খাওয়া হয়। ডাক্তার এই ঔষধটি সেবনের নিয়ম জানিয়ে দিবেন।
কীভাবে কাজ করে: প্রজেস্টোজেন একটি হরমোন, যা জরায়ুর ভেতরের এন্ডোমেট্রিয়াম নামক প্রাচীরকে তাড়াতাড়ি বাড়তে বাধা দেয়। এন্ডোমেট্রিয়াম পাতলা হলে পিরিয়ডের সময়ে রক্তক্ষরণের পরিমাণ কমে আসে। তবে এটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে কার্যকর নয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে—
- স্তনে ব্যথা
- দুই মাসিকের মাঝে রক্তপাত
অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার অপারেশন
মায়োমেকটোমি
আমাদের দেশে ফাইব্রয়েডের কারণে মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের চিকিৎসায় জনপ্রিয় একটি অপারেশন হলো মায়োমেকটোমি। এই অপারেশনের মাধ্যমে জরায়ুর প্রাচীর থেকে ফাইব্রয়েড সরিয়ে ফেলা হয়।
মায়োমেকটোমির পরেও সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে। তাই আমাদের দেশে সাধারণত ৪০ বছরের কম বয়সী রোগীদের অপারেশন হিসেবে মায়োমেকটোমি বেছে নেওয়া হয়।
এন্ডোমেট্রিয়াল অ্যাব্লেশন
এই অপারেশনে জরায়ুর ভেতরের এন্ডোমেট্রিয়াম নামক প্রাচীরকে পাতলা করা, সরিয়ে ফেলা অথবা নষ্ট করে ফেলা হয়। পিরিয়ডের সময়ে এন্ডোমেট্রিয়াম খসে রক্তক্ষরণ হয়। এই অপারেশনের পরে রক্তপাত আংশিক নাকি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হবে, অবশিষ্ট এন্ডোমেট্রিয়ামের অনুপাতের উপর নির্ভর করে।
এন্ডোমেট্রিয়াল অ্যাব্লেশনের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এন্ডোমেট্রিয়ামের স্তরটি পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলা হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে সুস্থ জরায়ু প্রাচীর নষ্ট না করে শরীরের বাইরে থেকেই আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে ফাইব্রয়েড ধ্বংস করা হয়।
এই অপারেশনের জন্য রোগিকে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে অজ্ঞান করা হয়। অপারেশনে বেশি সময় ব্যয় হয় না। সাধারণত অপারেশনের দিনেই বাড়ি ফেরা যায়।
অপারেশন-পরবর্তী অবস্থা
- অপারেশনের পরে কয়েকদিন মাসিকের মত রক্তপাত হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে ৩-৪ সপ্তাহ লালচে স্রাব নিঃসৃত হতে পারে। এই সময়ে ট্যাম্পন ব্যবহারকারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত।
- অপারেশনে তৃতীয় দিন পর্যন্ত পিরিয়ড ক্র্যাম্পস বা মাসিকের সময় যেমন ব্যথা হয়, সেরকম ব্যথা হতে পারে। প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন সেবন করলে এই ব্যথা সাধারণত কমে আসে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে আরও তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে উপযুক্ত ডোজের ব্যথানাশক বেছে নিতে হবে।
- এন্ডোমেট্রিয়াল অ্যাব্লেশনের পরে গর্ভধারণের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। গর্ভধারণ করলেও গর্ভপাত বা অন্যান্য জটিলতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যারা ভবিষ্যতে গর্ভধারণ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এই প্রক্রিয়াটি উপযুক্ত নয়।
- কখনো কখনো অ্যাব্লেশনের পরেও মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সমস্যার সমাধান হয় না। এক্ষেত্রে পুনরায় চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
ইউটেরাইন আরটারি এম্বোলাইজেশন
ফাইব্রয়েডের কারণে পিরিয়ডের সময়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে এই অপারেশনটি বেছে নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে ফাইব্রয়েডে রক্ত সরবরাহকারী ররক্তনালী আটকে দেওয়া হয়। এর ফলে ফাইব্রয়েড সংকুচিত হয়ে যায়।
এক্স-রে ব্যবহার করে উরুর একটি বড় রক্তনালীর ভেতর দিয়ে একটি ছোট টিউব প্রবেশ করানো হয়। এরপর টিউবের মধ্য দিয়ে ছোট ছোট বস্তুকণা প্রবেশ করিয়ে ফাইব্রয়েডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
হিস্টেরেক্টমি বা জরায়ু অপসারণ
এই অপারেশনের মাধ্যমে জরায়ু ফেলে দেওয়া হয়। তাই কেবলমাত্র সবগুলো বিকল্প পদ্ধতি চেষ্টা করার পরে এবং অপারেশনের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পরেই জরায়ু অপসারণ নিয়ে চিন্তা করা উচিত।
হিস্টেরেক্টমির পরে মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই অপারেশনের পরে রোগী আর সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের চিকিৎসার অন্যান্য অপারেশনের চেয়ে হিস্টেরেক্টমি করতে অধিক সময়ের প্রয়োজন হয়। এছাড়া অপারেশনের পর সুস্থ হতেও বেশি সময় লাগে। তাই বিশেষজ্ঞের সাথে সব ধরনের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার পরেই কেবল হিস্টেরেক্টমির সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।