ইনসুলিন

ইনসুলিন আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। পাকস্থলীর পেছনে থাকা অগ্ন্যাশয় বা প্যানক্রিয়াস নামের একটি গ্রন্থি থেকে এটি তৈরি হয়। ইনসুলিন রক্তে গ্লুকোজ, অর্থাৎ সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ডায়াবেটিস হলে দেহে সুগার নিয়ন্ত্রণের এই প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। এই ব্যাঘাত তিনভাবে ঘটতে পারে—

  • ১. শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি না হয়ে
  • ২. পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয়েও সেটি সঠিকভাবে কাজ না করলে। একে ‘ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স’ বলা হয়
  • ৩. শরীরে ইনসুলিন তৈরি হওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে

ইনসুলিন প্রোটিনজাতীয় একটি হরমোন। মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করা হলে অন্যান্য প্রোটিনের মতো এটিও হজম প্রক্রিয়ায় ভেঙে যায়। ফলে রক্তপ্রবাহে সঠিকভাবে পৌঁছতে পারে না। তাই এটি ট্যাবলেট অথবা ক্যাপসুল হিসেবে সেবন করা যায় না। ইনসুলিন যেন রক্তপ্রবাহে সঠিকভাবে পৌঁছতে পারে সেটি নিশ্চিত করার জন্য ইনজেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন নিতে হয়।

ইনসুলিনের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। রোগীর ডায়াবেটিসের ধরন এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী ডাক্তার ইনসুলিনের ধরন ও ডোজ নির্ধারণ করে দিবেন।

ইনসুলিন কেন নিতে হয়

জন্মগত কারণেই টাইপ ১ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত রোগীদের শরীরে ইনসুলিন যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি হয় না। অপরদিকে জন্ম পরবর্তী কোনো স্বাস্থ্যগত অবস্থা, জীবনধারা অথবা খাদ্যাভ্যাসের কারণে দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি না হলে অথবা পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হলেও সেটি সঠিকভাবে কাজ করতে না পারলে সেটিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিস বলে।

উভয় ধরণের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেই যদি শরীরে ইনসুলিনের অভাব হয়, তাহলে শরীরে বাহির থেকে ইনসুলিন যোগান দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত সব রোগীর এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিছু সংখ্যক রোগীর চিকিৎসায় ইনসুলিন নিতে হয়।

শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য ফিরে আসলে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এভাবে এটি স্বল্পমেয়াদী বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন মারাত্মক জটিলতার ঝুঁকি কমিয়ে আনে।

উল্লেখ্য, ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ইনসুলিন ব্যবহারের পাশাপাশি সুস্থ জীবনধারা মেনে চলা এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চেকআপে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিয়মিত শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে ডায়াবেটিসের স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি কমে আসে।

ইনসুলিন নেওয়ার পদ্ধতি

সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকার কারণে অনেকেই নিজে নিজে ইনসুলিন নেওয়ার সময়ে শরীরের ভুল স্থানে, ভুল ডোজে ইনসুলিন নিয়ে ফেলেন। একারণে একদিকে রক্তের সুগার সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না এবং অন্যদিকে চামড়া শক্ত হয়ে গিয়ে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়।

ইনসুলিন সাধারণত ইনসুলিন সিরিঞ্জ ও ইনসুলিন পেন—এই দুইটি মাধ্যমে নেওয়া হয়ে থাকে। ইনসুলিন দেওয়ার নিয়ম আর্টিকেলে ঘরে বসেই এই দুই পদ্ধতিতে ইনসুলিন নেওয়ার পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলের নির্দেশনা অনুসরণ করে রোগী নিজেই সহজ ও সঠিকভাবে ইনসুলিন নিতে পারবেন।

ইনসুলিন ইনজেকশন নিয়ে শঙ্কা

অনেকেই ইনসুলিন ইনজেকশন শুরু করার আগে এটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। কারও কারও সুঁই দেখে ভয় লাগতে পারে, কেউ কেউ অস্থির বোধ করতে পারে, ব্যথা নিয়ে চিন্তিত হতে পারে—এমনকি অনেকে অন্যদের সামনে ইনজেকশন নিতে লজ্জা অথবা ভয় পেতে পারে। এই ধরনের অনুভূতি হওয়া একেবারেই অস্বাভাবিক নয়।

তবে এসব অনুভূতি যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওপর প্রভাব ফেলে—অর্থাৎ, একারণে যদি নিয়মিত ইনসুলিন নেওয়া না হয়—তাহলে তার ফল মারাত্মক হতে পারে।

এই অবস্থা থেকে মুক্তির অনেক উপায় আছে। আপনি যদি সুঁই দেখে ভয় পান তাহলে ডাক্তারকে এই বিষয়টি জানাতে হবে। তিনি আপনার জন্য সঠিক মাপের সুঁই বেছে দিতে পারবেন।

ঠাণ্ডা ইনসুলিন নিতে অস্বস্তি অনুভব করলে ইনসুলিন এমনভাবে সংরক্ষণ করবেন যেন তাপমাত্রা খুব কম না হয়, আবার বেশিও না হয়। ইনসুলিন সংরক্ষণের বিষয়ে আমাদের আর্টিকেলটি অনুসরণ করতে পারেন।

ইনসুলিন নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা ও প্রশ্নগুলো একটি খাতায় লিখে রাখুন। এতে আপনি নিজেই বেশ কিছু সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। কোনো দুশ্চিন্তা বা প্রশ্নই ‘নির্বুদ্ধিতা’ নয়—এটি মাথায় রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে পরবর্তী চেকআপের সময়ে খাতাটি সাথে নিয়ে যান এবং ডাক্তারের কাছ থেকে সমাধান জেনে নিন।

আপনার পরিচিত কোনো আত্মীয়, বন্ধু, সহকর্মী অথবা প্রতিবেশী যদি ইনসুলিন ব্যবহার করে থাকে তাহলে তাদের সাথেও এই ব্যাপারে কথা বলতে পারেন। প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা ভিন্ন, তাই এসব আলোচনা থেকে আপনি আপনার জন্য উপযোগী কিছু টিপস জেনে নিতে পারবেন।

ইনসুলিন না নেওয়ার ফলাফল

টাইপ ১ ডায়াবেটিস এর রোগীদের চিকিৎসায় ইনসুলিন নেওয়া আবশ্যক। এক্ষেত্রে নিয়মমতো ইনসুলিন না নিলে জীবন হুমকির মুখে পড়বে। ইনসুলিন না নিলে রক্তে সুগারের পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়ে ‘ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস’ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কিটোঅ্যাসিডোসিস ডায়াবেটিস এর একটি জটিলতা। সময়মতো চিকিৎসা না করালে এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। এজন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নির্ধারিত ডোজে নিয়মিত ইনসুলিন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর রোগীর চিকিৎসায় ডাক্তার ইনসুলিন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকলে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ইনসুলিন ব্যবহার করা চালিয়ে যেতে হবে। ইনসুলিন না নিলে রক্তে সুগারের মাত্রা অনেক বেড়ে গিয়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। ইনসুলিনের নেওয়ার ব্যাপারে কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে ডাক্তারের সাথে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নিতে হবে।

ইনসুলিনের প্রকারভেদ

ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ইনসুলিন ব্যবহার করা হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এগুলোর প্রত্যেকটির কার্যপদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন। রোগীর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ইনসুলিন বেছে নিতে ডাক্তারের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে নিতে হবে। ইনসুলিনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধরন হচ্ছে—

  • র‍্যাপিড অ্যাক্টিং ইনসুলিন
  • শর্ট অ্যাক্টিং ইনসুলিন
  • মিক্সড ইনসুলিন
  • ইন্টারমিডিয়েট অ্যাক্টিং ইনসুলিন
  • লং অ্যাক্টিং ইনসুলিন
  • আলট্রা লং অ্যাক্টিং ইনসুলিন

র‍্যাপিড অ্যাক্টিং ইনসুলিন

এই ধরনের ইনসুলিন খাওয়ার ঠিক আগে অথবা পরে নিতে হয়। এগুলো ফাস্ট অ্যাক্টিং ইনসুলিন নামেও পরিচিত। সাধারণত ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যাক্টিং’ অথবা ‘লং অ্যাক্টিং’ ইনসুলিনের পাশাপাশি এসব ইনসুলিন নেওয়া হয়।

এই ধরনের ইনসুলিন খুব দ্রুত কাজ করে। ইনজেকশন নেওয়ার ১৫ মিনিট পরে এগুলো কাজ করা শুরু করে এবং এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায় থাকে। এই ধরনের ইনসুলিন চার ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে থাকে। এর ডোজ নির্ভর করবে রোগী কী পরিমাণে সুগার জাতীয় খাবার খাচ্ছে তার ওপর।

বাংলাদেশে এই ধরনের ইনসুলিনের পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাসিলগ, গ্লাইসেট আর, ইনসুলেট এএসপি, মাইপার্ট ও নভোর‍্যাপিড পেনফিল।

শর্ট অ্যাক্টিং ইনসুলিন

এগুলোর কাজ করার পদ্ধতি র‍্যাপিড অ্যাক্টিং ইনসুলিনের মতোই। তবে এগুলো তুলনামূলকভাবে সামান্য ধীর গতিতে কাজ করে। তাই এই ইনসুলিন খাবার খাওয়ার ২৫ মিনিট আগে নিতে হয়। এসব ইনসুলিনকে বোলাস ইনসুলিনও বলা হয়।

ইনজেকশন নেওয়ার ৩০ মিনিট পর এ ইনসুলিন রক্তপ্রবাহে পৌছায় এবং দুই থেকে তিন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে। এটি তিন থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে। সাধারণত ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যাক্টিং’ অথবা ‘লং অ্যাক্টিং’ ইনসুলিনের পাশাপাশি এসব ইনসুলিন নেওয়া হয়।

বাংলাদেশে এই ধরনের ইনসুলিনের পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাক্টর‍্যাপিড এইচএম ও পেনফিল, অ্যানসুলিন আর, ডায়াসুলিন আর, জেনসুলিন আর, ম্যাক্সসুলিন আর ও ইনসুলেট আর।

মিক্সড ইনসুলিন

এটি ‘শর্ট অ্যাক্টিং’ ও ‘লং অ্যাক্টিং’ ইনসুলিনের মিশ্রণ। খাওয়ার সময়ে এগুলো নিতে হয়। তবে এসবের সাথে আলাদা করে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যাক্টিং’ অথবা ‘লং অ্যাক্টিং’ ইনসুলিন নিতে হয় না।

এসব ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়ার পাঁচ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পরে কাজ শুরু করে এবং ১০ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সাধারণত সকালের নাস্তা ও রাতের খাবারের ১০ থেকে ৩০ মিনিট আগে এসব ইনসুলিন নিতে হয়।

প্রি-মিক্সড ইনসুলিনের মতো কিছু ইনসুলিন আছে যেগুলো কিছুটা ঘোলাটে হয়ে থাকে। এগুলো নেওয়ার আগে যতক্ষণ পর্যন্ত ভায়ালের ভেতরে থাকা দানাদার অংশ তরলের সাথে মিশে গিয়ে দুধের মতো সাসপেনশন বা দ্রবণ তৈরি না করে ততক্ষণ পর্যন্ত ভায়াল আলতোভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হয়।

এই অবস্থায় পৌঁছাতে প্রতিবার ঘোলাটে ইনসুলিন নেওয়ার আগে ভায়ালটি সাধারণত ১০ বার করে মোট ২০ বার আলতো করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে উল্টেপাল্টে নিতে হয়। তবে ভায়াল বেশি জোরে ঝাঁকানো যাবে না। এতে বুদবুদ সৃষ্টি হয়, যার ফলে ডোজ ভুল হতে পারে।

বাংলাদেশে এই ধরনের ইনসুলিনের পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যানসুলিন ৩০/৭০ ও ৫০/৫০, ডায়াসুলিন ৩০/৭০ ও ৫০/৫০, ম্যাক্সসুলিন ৩০/৭০ ও ৫০/৫০, ইনসুলেট ৩০/৭০ ও ৫০/৫০, মিক্সটার্ড ৩০ ও ৫০।

ইন্টারমিডিয়েট অ্যাক্টিং ইনসুলিন

এই ধরনের ইনসুলিনকে ব্যাকগ্রাউন্ড ইনসুলিন বা বেসাল ইনসুলিনও বলা হয়। অর্থাৎ, এটি সারারাত অথবা অর্ধেক দিন ধরে কাজ করে। এগুলো সাধারণত দিনে এক থেকে দুইবার নিতে হয়।

এসব ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়ার দুই থেকে চার ঘণ্টা পরে কাজ শুরু করে এবং চার থেকে ১২ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে। এগুলো ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণের কাজ করে থাকে। এগুলোর সাথে প্রায়ই ‘র‍্যাপিড অ্যাক্টিং’ অথবা ‘শর্ট অ্যাক্টিং’ ইনসুলিন ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে এই ধরনের ইনসুলিনের পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যানসুলিন এন, ডায়াসুলিন এন, জেনসুলিন এন, ম্যাক্সসুলিন এন ৪০ ও ১০০, ইনসুলেট এন ও ইনসুলাটার্ড।

লং অ্যাক্টিং ইনসুলিন

এই ধরনের ইনসুলিন ইন্টারমিডিয়েট ইনসুলিনের মতো, তবে তুলনামূলকভাবে ধীরগতিতে কাজ করে। এগুলো দিনে একবার করে প্রতিদিন একই সময়ে নিতে হয়। ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যাক্টিং’ ইনসুলিনের তুলনায় এসব ইনসুলিন ব্যবহারে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি কম বলে দেখা গিয়েছে।

এসব ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়ার দুই ঘণ্টা পরে কাজ শুরু করে এবং ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে থাকে। এই ধরনের ইনসুলিন দিনে একবার নিতে হয়। প্রয়োজনবোধে এগুলোকে প্রায়ই র‍্যাপিড অ্যাক্টিং অথবা শর্ট অ্যাক্টিং ইনসুলিনের পাশাপাশি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে এই ধরনের ইনসুলিনের পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে ভাইব্রেন্টা, সেমগ্লি, লারসুলিন, ইনসুলেট জিএন, গ্ল্যারিন, লেভেমির ও অ্যাব্যাসাগ্লার।

আলট্রা লং অ্যাক্টিং ইনসুলিন

এই ধরনের ইনসুলিন ইনজেকশন দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন যোগান দেয়। এগুলো লং অ্যাক্টিং ইনসুলিনের মতো, তবে কিছুটা ধীরগতিতে এবং আরও লম্বা সময় ধরে কাজ করে।

এসব ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়ার ছয় ঘণ্টা পরে কাজ শুরু করে এবং ৩৬ ঘণ্টা অথবা তার চেয়েও বেশি সময় ধরে কাজ করে থাকে।

বাংলাদেশে এই ধরনের ইনসুলিনের ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে ট্রেসিবা।

ইনসুলিন সংরক্ষণের নিয়ম

ইনসুলিন সবসময় ২৫⁰ সেলসিয়াস তাপমাত্রার নীচে সংরক্ষণ করতে হয়। এক্ষেত্রে আদর্শ তাপমাত্রা হলো ২⁰–৬⁰ সেলসিয়াস। তাই ইনসুলিন ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করলে সবচেয়ে ভালো হয়। তবে এটি কখনও ডিপ ফ্রিজে রাখা যাবে না।

সাধারণত ইনসুলিন কক্ষ তাপমাত্রায় রাখা যায়। কিন্তু গ্রীষ্মকালে অথবা ঘরে হিটার চালু থাকলে কক্ষ তথা পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ২৫⁰ সেলসিয়াস এর অধিক তাপমাত্রায় দীর্ঘ সময় ধরে ইনসুলিন থাকলে সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ইনসুলিন যদি ২৮ দিনের বেশি সময় ধরে ফ্রিজের বাইরে রাখা হয় তাহলে ইনসুলিনের উপাদানগুলো ভেঙে যায়। তখন এটি ফেলে দিতে হয়। তাই তাপমাত্রা বিবেচনায় রেখে ইনসুলিন ফ্রিজে সংরক্ষণের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

তবে ইনসুলিন কখনও ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজারে (ফ্রিজের যেই অংশে বরফ হয় সেখানে) রাখা যাবে না। এতে ইনসুলিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কিছু ইনসুলিন একটু ভিন্ন পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হতে পারে। তাই ইনসুলিন কিনে আনার পরে প্যাকেটের ভেতরে থাকা নির্দেশিকাটি পড়ে দেখতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে কথা বলে ইনসুলিন সংরক্ষণের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

ইনসুলিন সংরক্ষণে চারটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  • প্রয়োজনের চেয়ে কয়েকটি বেশী ইনসুলিন ভায়াল অথবা কার্তুজ প্যাকেটসহ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
  • প্যাকেটের গায়ে লেখা মেয়াদ দেখে রাখুন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ইনসুলিন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • সূর্যের আলোতে অথবা উচ্চ তাপমাত্রায় ইনসুলিন রাখা যাবে না। যেমন: চুলার পাশে অথবা গরমের দিনে গাড়ির ভেতরে।
  • দূরপাল্লার ভ্রমণে ইনসুলিন সঠিকভাবে সংরক্ষণ করার জন্য বিশেষ ধরনের ‘কুল ব্যাগ’ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ইনসুলিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অন্যান্য ঔষধের মতোই ইনসুলিন নিলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভিন্ন ভিন্ন মানুষে ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। নতুন করে কোনো ইনসুলিন নেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে বিষয়টি ডাক্তারকে জানাতে হবে—

  • মাথাব্যথা
  • বমি বমি লাগা
  • সর্দিজ্বর অথবা ফ্লু এর মতো লক্ষণ

হাইপোগ্লাইসেমিয়া

ইনসুলিনের সবচেয়ে কমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো হাইপোগ্লাইসেমিয়া। রক্তে গ্লুকোজ তথা সুগারের পরিমাণ ন্যূনতম স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কমে গেলে তাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলা হয়। অনেকে একে সংক্ষেপে ‘হাইপো’ হিসেবে চেনেন। মূলত ইনসুলিন নিতে হয় এমন ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দেয়।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি অতিরিক্ত পরিমাণে ইনসুলিন নিলে অথবা ইনসুলিন নেওয়ার পরে খাবার না খেলে এই অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। ঘন ঘন হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ভুল ডোজে ইনসুলিন নেওয়া। তাই এমন ক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে কথা বলে সঠিক ডোজ এবং পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

‘হাইপো’ হওয়ার লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন: হাইপোগ্লাইসেমিয়া

ইনজেকশনের জায়গায় কালশিটে দাগ পড়া

ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়ার সময়ে চামড়ার নিচের কোনো ছোটো রক্তনালিকায় আঘাত লাগলে তা থেকে ত্বকে কালশিটে দাগ পড়তে পারে। যারা নিয়মিত ইনসুলিন নেয় তাদের ইনজেকশন নেওয়ার পদ্ধতিতে ত্রুটি না থাকলেও, কখনো কখনো এমন কালশিটে হতে পারে। এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা।

এই বিষয়ে দুশ্চিন্তা হলে ডাক্তার অথবা প্রশিক্ষিত নার্সের কাছ থেকে ইনসুলিন নেওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেবল সুঁইয়ের সাইজ পরিবর্তন করে অথবা প্রতিবার ইনসুলিন নেওয়ার পরে ব্যবহৃত সুঁই পরিবর্তন করে এমন কালশিটে দাগ পড়া কমিয়ে আনা যায়।

ইনজেকশনের জায়গা ফুলে যাওয়া

একই জায়গায় বারবার ইনসুলিন নেওয়া হলে জায়গাটি শক্ত হয়ে ফুলে যায়। একে মেডিকেলের ভাষায় ‘লাইপো-হাইপারট্রফি’ বা সংক্ষেপে ‘লাইপো’ বলা হয়। এমন ফোলা ইনসুলিন শোষণে ও সঠিকভাবে কাজ করতে বাধা দেয়।

তাই প্রতিবার ইনসুলিন নেওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন জায়গা বেছে নিতে হবে। আগেরবার যেখানে ইনসুলিন নেওয়া হয়েছে সেটি থেকে অন্তত এক সেন্টিমিটার বা আধা ইঞ্চি দূরে পরের ইনজেকশনটি দেওয়া উচিত।

বেশ কিছুদিন পার হওয়ার পরেও ‘লাইপো’ বা ফোলা সেরে না উঠলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এ ছাড়া বারবার ইনজেকশন দেওয়ার কারণে ত্বকে চুলকানি, লালচে দানা বা র‍্যাশসহ জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইনজেকশনের স্থান পরিবর্তন করার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। তবে এসব সমস্যা অনেকদিন ধরে ভোগালে সেক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ওজন বৃদ্ধি ও ইনসুলিন

ইনসুলিন নেওয়া শুরু করার পর রোগীর ওজন বেড়ে যেতে পারে। এর পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। যেমন—

  • রোগীর ডায়েট বা খাবারের তালিকা
  • কোন ধরনের ইনসুলিন নেওয়া হচ্ছে
  • কতটুকু ইনসুলিন নেওয়া হচ্ছে

ওজনের ওপর ইনসুলিন কেমন প্রভাব ফেলবে—সেটি কী ধরনের ইনসুলিন নেওয়া হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে। ইনসুলিনের ধরনের পাশাপাশি কোন ডোজে ইনসুলিন নেওয়া হচ্ছে সেটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত বেশি পরিমাণে ইনসুলিন নিতে হলে রোগীর হাইপো হতে পারে এবং ওজনও বেড়ে যেতে পারে। ‘হাইপো’ হলে রোগীর ক্ষুধা বেড়ে যায়, ফলে ওজনও বেড়ে যায়।

ইনসুলিন খাবার থেকে আসা গ্লুকোজ ব্যবহার করে শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এটি প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্লুকোজকে দেহে চর্বি হিসেবে জমা করে। ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ইনসুলিন এক ধরনের ‘গ্রোথ হরমোন’। যেকোনো ধরনের গ্রোথ হরমোনই শরীরের ওজন বাড়াতে পারে।

তবে স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও সুস্থ জীবনধারা মেনে চলার মাধ্যমে ওজন কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট এবং ডায়াবেটিস রোগীর ব্যায়াম ও ওজন আর্টিকেলগুলো পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।

নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া না করলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অধিক পরিমাণে ইনসুলিন নিতে হয়। একারণে ওজন বেড়ে যেতে পারে। একইভাবে ওজন কমানোর জন্য সুস্থ জীবনধারা মেনে সুষম খাবার খেলে তুলনামূলকভাবে কম পরিমাণে ইনসুলিন নিতে হয়। কিন্তু কিছুদিন পরে পুনরায় পূর্বের খাদ্যাভ্যাসে ফিরে গেলে এবং সেই অনুযায়ী ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে হলে ওজন আবারও বেড়ে যেতে পারে।

তাই ডায়েট ও জীবনধারায় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি ইনসুলিনের ডোজে কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে সেই বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

উল্লেখ্য, ডায়াবেটিস শনাক্ত হওয়ার পরে স্বল্প সময়ের মধ্যে ওজন কিছুটা কমে যেতে পারে। এটি ডায়াবেটিসের অন্যতম লক্ষণ। এক্ষেত্রে রোগীর সুস্থতা লাভের প্রক্রিয়ায় ওজন বেড়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে।

ইনসুলিন ওভারডোজ

প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ইনসুলিন নিলে ইনসুলিনের ওভারডোজ হতে পারে। ইনসুলিন ওভারডোজের ফলাফল মারাত্মক হতে পারে। এক্ষেত্রে রক্তের সুগার আশংকাজনকভাবে কমে গিয়ে গুরুতর হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে গেলে রোগী অসংলগ্ন আচরণ করতে পারে। এ ছাড়া খিঁচুনি হতে পারে—এমনকি রোগী মৃত্যুবরণ করতে পারে।

দুর্ঘটনাবশত অতিরিক্ত ইনসুলিন নিয়ে ফেললে সাথে সাথে মিষ্টি, চিনি দেওয়া শরবত অথবা গ্লুকোজ ট্যাবলেট খেতে হবে। অর্থাৎ, এমন শর্করা জাতীয় খাবার খেতে হবে যা দ্রুত রক্তে গ্লুকোজ যোগান দিয়ে সুগার বাড়াতে পারে।

পড়ুন: ইনসুলিন ওভারডোজের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা

ইনসুলিনের ডোজ অনেক বেশি হচ্ছে বলে মনে হলে অথবা ভুলে অনেক বেশি ইনসুলিন নিয়ে ফেললে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

ইনসুলিন সম্পর্কে যা জেনে রাখা প্রয়োজন

ইনসুলিন পেন

দুই ধরনের ইনসুলিন পেন বা কলম রয়েছে—

  • এক ধরনের ইনসুলিন পেন এর ভেতরে আগে থেকেই ইনসুলিন ভরা থাকে। কলমের ভেতরের ইনসুলিন শেষ হয়ে গেলে কলমটি ফেলে দিতে হয়।
  • আরেক ধরনের ইনসুলিন পেন আছে যেটির ভায়াল অথবা কার্তুজ (কার্ট্রিজ) পরিবর্তন করে বারবার ব্যবহার করা যায়।

আপনার জন্য কোন ধরনটি উপযুক্ত সেটি ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে জেনে নিন।

ইনসুলিন সংবেদনশীলতা ও আপনার ডোজ

ইনসুলিনকে কাজে লাগিয়ে রক্তের সুগারের মাত্রা স্থিতিশীল রাখার ক্ষমতাকে শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বলা হয়। যেসব মানুষের শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বেশি তাদের রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তুলনামূলকভাবে কম ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন হয়।

রোগীর ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কেমন সেটি নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে ডাক্তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিতে পারেন। এটি রোগীর জন্য ইনসুলিনের উপযুক্ত ডোজ নির্ণয়ে, এমনকি রোগীকে আদৌ ইনসুলিন নিতে হবে কি না সেটি নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স

শরীরের নিজস্ব ইনসুলিন অথবা বাইরে থেকে ইনজেকশনের মাধ্যমে নেওয়া ইনসুলিন দেহে সঠিকভাবে কাজ না করলে সেই ঘটনাকে ‘ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স’ বলা হয়। এই অবস্থায় ইনসুলিন রক্তের সুগারের মাত্রা ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ফলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়।

পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে মেদ থাকার কারণে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স দেখা দেয়। এক্ষেত্রে উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক থাকলেও কেবল বাড়তি মেদের কারণে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স-সহ নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শরীর সুস্থ রাখতে নারী-পুরুষভেদে পেটের মাপ কেমন হওয়া উচিত সেটি জানতে ‘ওজন কত হওয়া উচিত’ আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

উল্লেখ্য, স্থূলতা অথবা অতিরিক্ত ওজন ছাড়াও অন্যান্য কারণে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হতে পারে। যেমন, কৈশোরে হরমোন নিঃসরণ কিছুটা অস্থিতিশীল থাকায় এই সময়ে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ওজনের সাথে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর কোনো সম্পর্ক থাকে না।

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের চিকিৎসায় ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিসের অন্য কোনো ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এভাবে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়ানো যায়। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে কোন উপায়টি রোগীর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সেই সম্পর্কে ডাক্তারের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।

পড়ুন: পেটের মেদ কমানোর উপায়

শিশুদের ইনসুলিন

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মোট রোগীর মাত্র ৫–১০ শতাংশ টাইপ ১ ডায়াবেটিসে ভোগেন। কিন্তু এসব রোগীর মধ্যে শিশু-কিশোরদের সংখ্যাই বেশি।

টাইপ ১ ডায়াবেটিসের মূল চিকিৎসা হলো নিয়মিত ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়া। তাই আপনার শিশুর নিয়মিত ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন হলে তাকে নিজে নিজে ইনসুলিন নেওয়া শিখতে উদ্বুদ্ধ করুন।

ইনসুলিন পাম্প

ইনসুলিন পাম্প একটি ব্যাটারি চালিত যন্ত্র। এটি সারাদিন নিয়মিতভাবে শরীরে ইনসুলিন সরবরাহ করে। ইনসুলিন ইনজেকশনের বিকল্প হিসেবে ইনসুলিন পাম্প ব্যবহার করা যেতে পারে। ইনসুলিন পাম্প ব্যবহার করতে চাইলে এই ব্যাপারে একজন ডায়াবেটিস (এন্ডোক্রাইন) বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।